• ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
  • " />

     

    নামিবিয়াকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড

    নামিবিয়াকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড    

    সুপার ১২, শারজাহ (টস- নামিবিয়া/ বোলিং)
    নিউজিল্যান্ড ১৬৩/৪, ২০ ওভার (ফিলিপস ৩৯*, নিশাম ৩৫*, উইলিয়ামসন ২৮, শোলজ ১/১৫, এরাসমাস ১/২২, ভিসা ১/৪০)
    নামিবিয়া ১১১/৭, ২০ ওভার ( ভ্যান লিঙ্গেন ২৫, গ্রিন ২৩, বার্ড ২১, সাউদি ২/১৫, বোল্ট ১/২০, নিশাম ১/৬)

    ফলাফল: নিউজিল্যান্ড ৫২ রানে জয়ী

     

    পাকিস্তানের সাথে হার দিয়ে শুরু করা নিউজিল্যান্ড দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে তুলে নিল টানা ৩য় জয়; নামিবিয়াকে হারাল ৫২ রানে। গ্লেন ফিলিপস-জিমি নিশামের শেষ চার ওভারের ঝড়ে ৩৬ বলে ৭৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ১৬৩ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। জবাবে বোলারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নামিবিয়াকে ১১১ রানে বেঁধে ফেলে রানরেটেও বড়সড় অগ্রগতি নিশ্চিত করে কেন উইলিয়ামসনের দল।

    শারজাহর গত এক বছরের ইতিহাস পর্যালোচনায় ১৬৪ বড় লক্ষ্য মনে হলেও ছোট বাউন্ডারির কথা মাথায় রেখেই শুরু করে নামিবিয়া। রয়েসয়ে খেলে, খারাপ বলকে যথাযোগ্য জবাব দিয়ে পাওয়ারপ্লেতে স্টেফান বার্ড ও মাইকেল ভ্যান লিঙ্গেন মিলে তোলে ৩৬ রান।

    তিন ওভারের ঝড়ে অবশ্য এলোমেলো হয়ে যায় নামিবিয়ার ভালো শুরু। টানা তিন ওভারে জিমি নিশাম, মিচেল স্যান্টনার ও ইশ সোধির আঘাতে যথাক্রমে ফেরেন লিঙ্গেন, বার্ড ও উইকেটে নবাগত গেরহার্ড এরাসমাস। উইকেটে এসে জেইন গ্রিনকে সঙ্গী করে ক্ষণস্থায়ী প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন ডেভিড ভিসা। টিম সাউদির বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ১৬ রানে এরপর ফিরে যান ভিসা।

    ১৬ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের স্কোর ছিল: ৯৬/৪; নামিবিয়ার ছিল: ৯২/৪। তবে এখান থেকে যেই ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল কিউইরা, নামিবিয়ার ইনিংস গেল একেবারেই উল্টোপথে। যেখানে নিউজিল্যান্ড কোনও উইকেটই আর হারায়নি সেখানে কিউইদের দারুণ ডেথ বোলিংয়ে একেবারেই ভেঙে পড়ে নামিবিয়া। শেষ চার ওভারে তারা তুলতে পারে মোটে ১৯ রান। আর তারই মাঝে সাউদির দ্বিতীয় শিকার হয়ে গ্রিন ফেরার পর এক ওভারেই ট্রেন্ট বোল্ট ফেরান লফটি-ইটন ও ক্রেইগ উইলিয়ামসকে। শেষ দিকের দারুণ বোলিংয়ে বড় জয় নিশ্চিত করে রানরেটটাও বাড়িয়ে নেয় কিউইরা।  

    টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামতে হলে আগের দিনের মত বিধ্বংসী না হলেও ভালো শুরু করেন মার্টিন গাপটিল। ডেভিড ভিসার আঘাতে অবশ্য ৪র্থ ওভারে তাকে থামতে হয় ১৮ রানে। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের সাথে এরপর আরেক ওপেনার ড্যারিল মিচেল পাওয়ারপ্লে শেষে নিউজিল্যান্ডকে নিয়ে যান ৪৩ রানে।

    পাওয়ারপ্লের পরের ওভারেই এদিন একাদশে আশা বার্নার্ড শোলজের শিকার হয়ে ১৯ রানে ফেরেন মিচেল। ডেভন কনওয়েকে নিয়ে এরপর ধীরেসুস্থেই খেলছিলেন উইলিয়ামসন। নামিবিয়া অধিনায়ক গেরহার্ড এরাসমাসের বল স্টাম্পে ডেকে এনে অবশ্য গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তিনি ফিরে যান ২৮ রান করে। নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে হুট করেই অস্থিতিশীলতার আভাস মিললে এক ওভার পরেই ডাবলসের খোঁজে রান আউট হয়ে ১৭ রান ফিরে যান কনওয়ে। উইকেটে দুই নবাগত গ্লেন ফিলিপস ও জিমি নিশাম এরপর স্বভাবতই উইকেট থিতু হতে একটু সময় নেন।

    ১৬ ওভার শেষেও ১০০ ছুঁতে না পারা কিউইদের স্কোরবোর্ডে এরপর আসে অভাবনীয় পরিবর্তন। শেষ চার ওভারে রীতিমত ঝড় তোলেন এই দুজন; ভিসার ১৯তম ওভারে তো দুজন মিলে নিয়ে বসেন ২১ রান। ফিলিপস ২১ বলে ৩৯* ও নিশাম ২৩ বলে ৩৫* রান করে শেষ চার ওভারে এই আসরের সর্বোচ্চ ৬৭ রান তোলে এই দুজন; নিউজিল্যান্ড গিয়ে পৌঁছায় ১৬৩ রান পর্যন্ত।