"আমরা হৃদয়, রক্ত ও আত্মা দিয়ে খেলেছি"
৬৪ বছরের জীবনে স্নায়ুর ওপর দিয়ে ঝড় ঝাপটা কম যায়নি। তবে আজকের ম্যাচে যেটা হলো, সেটা আরেক বার ক্লদিও রানিয়েরির স্নায়ুর পরীক্ষা নিয়েছে। দুই মিনিটের মধ্যে দুই গোল খাওয়ার পর নিশ্চিত পরাজয়টাই যখন ভবিতব্য, শেষ মিনিটের পেনাল্টিতে সমতা আনার পর রানিয়েরি এখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতেই পারেন। আর জীবন দিয়ে খেলার জন্যই জয়টা এসেছে- সেটাই লেস্টার সিটি কোচ মনে করিয়ে দিলেন।
ঘরের মাঠে ওয়েস্ট হামের সঙ্গে ২-২ গোলের ড্রটা এমনিতে লেস্টারের জন্য হতাশারই। এই জয়টা পেলেই শিরোপার আরেকটু কাছে চলে যেতে পারত, পরের চার ম্যাচে আর মাত্র দুইটি জয় পেলেই চলত। তবে দশজন নিয়েও এক পয়েন্ট পাওয়ার আনন্দেই আপাতত রানিয়েরি আচ্ছন্ন, “আমি খুবই খুশি, কারণ শেষ মুহূর্তে হেরে যাওয়ার সময় যখন আপনি ড্র করেন, মানসিকভাবে এটা আমাদের জন্য দারুণ।”
দশজন নিয়ে খেলেও লিওনার্দো উলোয়ার পেনাল্টি গোলে সমতা ফিরিয়েছে লেস্টার। সেটি নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন রয়েছে। তবে তার আগে ভার্ডির লাল কার্ড ও ওয়েস্ট হামের প্রথম পেনাল্টি নিয়েও আছে বিতর্ক। রানিয়েরি অবশ্য ওদিকে গেলেন না, বরং খেলোয়াড়দের কৃতিত্ব দিলেন, “পিছিয়ে পড়ার পর আমরা দারুণ মনোবল দেখিয়েছি। আমরা হৃদয়, রক্ত ও আত্মা দিয়ে খেলেছি। কখনোই হাল ছেড়ে দেইনি।” লেস্টারের পরের চার ম্যাচ সোয়ানসি, ইউনাইটেড, এভারটন ও চেলসির সঙ্গে। এর মধ্যে চেলসি ও ইউনাইটেডের সঙ্গে ম্যাচ দুইটি তাদের মাঠে। লেস্টারের সামনে পথটা সহজ নয় মোটেই।