• ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
  • " />

     

    নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড ম্যাচে যে সংখ্যাগুলো গড়ে দিল পার্থক্য

    নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড ম্যাচে যে সংখ্যাগুলো গড়ে দিল পার্থক্য    

    একটি ম্যাচের পরতে পরতে লুকিয়ে থাকা উত্তেজনার পাশাপাশি স্বাভাবিকভাবেই মাইলফলক বা পরিসংখ্যানের দিকেও আমাদের নজর থাকে। সমর্থকরা সেসব পরিসংখ্যান নিয়ে প্রতিপক্ষের সমর্থকদের খোটা দিতেও কুণ্ঠাবোধ করেন না। তো সে উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন, ক্রিকেট খেলাটার সাথে পরিসংখ্যান এমনিতেও ওতপ্রোতভাবেই জড়িত। কিউইদের মধুর প্রতিশোধের এই ম্যাচেও দেখা মিলেছে কিছু তাৎপর্যপূর্ণ পরিসংখ্যানের। চলুন এক নজরে দেখে আসা যাক সেসব সংখ্যার কারিকুরি।  


    -প্রথমবারের মত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলো নিউজিল্যান্ড। একইসাথে প্রথমবারের মত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমি-ফাইনাল হারলো ইংল্যান্ড।

    - প্রসঙ্গ আবারও ইশ সোধি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেমি-ফাইনালের আগে টানা ৫ ম্যাচে নিজের প্রথম ওভারেই উইকেট পেয়েছিলেন সোধি। আজ সেই ধারায় ছেদ পড়লেও উইকেট অবশ্য পেয়েছেন দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই।   

    ৫.৫, ৫.৭৩- ইংল্যান্ড এই আসরে তাদের পঞ্চম বোলার হিসেবে বাবহার করেছে দুই স্পিনারকে। দুজনেই দলকে নিরাশ করেননি কোনও ম্যাচেই।

    মঈন আলী: ৭/৭৭, ১৪ ওভার (৫.৫ ইকোনমি রেটে)
    লিয়াম লিভিংস্টোন: ৬/৮৬, ১৫ ওভার (৫.৭৩ ইকোনমি রেটে)

    - এই আসরে পাওয়ারপ্লেতে জশ হেজলউড ও মুজিব উর রহমানের সাথে যৌথভাবে পাওয়ারপ্লেতে সর্বোচ্চ (৬) উইকেটশিকারি ক্রিস ওকস।

    ১৫.১- এদিন ইংল্যান্ড নিজেদের প্রথম ছয়ের দেখা পেয়েছিলো ১৬তম ওভারের প্রথম বলে। কোনও টি-টোয়েন্টিতে শেষ ২০১৪ সালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথম ১৫ ওভারে কোনও ছয়ের দেখা পায়নি ইংল্যান্ড।  

    ১১.৭- শেষ যেবার ইশ সোধি ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিলেন সেবার তাকে রীতিমত কচুকাটা করেছিল ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। সেবার ১১.৭ ইকোনমি রেটে রান গুনলেও সেই সোধি যে এরপর আমূলভাবে বদলে গিয়েছেন তার প্রমাণ রেখে এদিনও ছিলেন ধারাবাহিক। শেষদিকে কিছুটা খরুচে হওয়ায় ৮ ইকোনমি রেট নিয়ে স্পেল শেষ করলেও ফিরিয়ছেন আসরে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক জস বাটলারকে।

    ৫৭- আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ডেথ ওভারে (১৬-২০ ওভার) সর্বোচ্চ রানতাড়ার রেকর্ড গড়ে এদিন ম্যাচ জিতেছে নিউজিল্যান্ড। নিশাম-মিচেল ঝড়ে তিন ওভারেই তারা তুলেছে ৫৭! এর আগে ২০১০ সালে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করে ম্যাচ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০১০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সেমি-ফাইনালে। এছাড়াও ২০২১ সালে জিম্বাবুয়েও এর আগের সর্বোচ্চ ৫৬ রান করে ম্যাচ জিতেছিল স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে।   

    ১০৯- এই টুর্নামেন্টে রানতাড়া করতে নেমে এই ম্যাচের আগে শেষ দশ ওভারে কোনও দল ৯৮ রানের বেশি করতে পারেনি। শেষ দশ ওভারে নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজনীয় ১০৯ রান সেখানে তারা তুলে ফেলেছে ৯ ওভারেই!

    ১৬৭- আবু ধাবিতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানতাড়ার রেকর্ড গড়েই নিজেদের প্রথম ফাইনাল নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড। এই মাঠে এর আগের সর্বোচ্চ সফল রানতাড়ার রেকর্ড ছিল নামিবিয়ার: ১৬৫, যা তারা গড়েছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এই আসরেই, নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে।