মোহাম্মদ রিজওয়ান : আইসিইউ থেকে সেমির ট্র্যাজিক নায়ক
স্টার্কের তীব্র গতির বাউন্সার সামলেছেন, ‘ঠিক-ঠাক আছি’ বলে আশ্বাস দিয়েছেন নিজেকে চোয়ালে হেলমেটের চাপ লাগা সত্ত্বেও। রান আউট থেকে বাঁচতে ক্রিজের অনেক বাইরে থেকে ডাইভ দিয়েছেন- অথচ কে বলবে ম্যাচ শুরুর দুইদিন আগেও হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল মোহাম্মদ রিজওয়ানকে। ম্যাথিউ ওয়েড-মার্কাস স্টয়নিসের ওই পার্টনারশিপটা না হলে যে রিজওয়ানই হতেন সেমিফাইনালের ‘নায়ক’। ম্যাচ হেরে গেলেও কিছু যায় আসছে না পাকিস্তান ব্যাটিং কোচ ম্যাথু হেইডেনের জন্য, তাঁর কাছে মোহাম্মদ রিজওয়ান সবসময়ই একজন ‘সাহসী বীর’ হয়ে থাকবেন, সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তিনি
এরই মধ্যে রিজওয়ানের একটি ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, যেখানে তিনি আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন। পাকিস্তান দলের ডাক্তার নাজিবুল্লাহ সোমরো জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বুকে ইনফেকশনের ভয়ংকর ব্যথা নিয়ে দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি হতে হয় পাকিস্তান দলের ব্যাটার-কিপারকে।
তবে সবাইকে বিস্মিত করে দুইদিনের মাঝেই আইসিইউ থেকে ছাড়া পেয়ে যান রিজওয়ান, এবং দেশের হয়ে খেলার তীব্র আকাঙ্খা থেকেই এমন হয়েছে বলে জানিয়েছেন নাজিবুল্লাহ, ‘স্পষ্টতই তার মাঝে দৃঢ় সংকল্প এবং অদম্য ইচ্ছাশক্তি থেকে বোঝা যায় দেশের জন্য খেলার জন্য সে কতটা মুখিয়ে থাকে, এবং সে আজকে সেটা দেখিয়েছে’।
আইসিইউ থেকে বের হয়েই খেলেছেন ৬৭ রানের ইনিংস, বুকে ইনফেকশনের ব্যথা নিয়ে বল ছুড়ে ফেলেছেন স্ট্যান্ডে; ব্যথা পেয়েও সহ্য করে গেছেন তীব্র গতির বাউন্সার।
পাকিস্তান দলের ব্যাটিং কোচ ম্যাথু হেইডেনের চোখে তাই রিজওয়ান ‘অনবদ্য’। ‘সে একজন সাহসী বীর, পুরো টুর্নামেন্টেই সে দুর্দান্ত ছিল এবং ওর অসীম সাহস’- রিজওয়ানকে নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি।
আর দলের ক্যাপ্টেন বাবর আজমও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন রিজওয়ানের প্রতি। ‘সে দলের জন্যই খেলে। সে যেভাবে আজ খেলেছে সেটা ছিল অসাধারণ। ম্যাচের আগে ওকে একটু অসুস্থ দেখাচ্ছিল। ওর শরীর ঠিক আছে কিনা জিজ্ঞেস করলে সে জোরের সঙ্গেই ম্যাচ খেলবে বলে আমাকে জানায়’।