• লা লিগা
  • " />

     

    "বার্সেলোনায় যা হচ্ছে তা স্বাভাবিক নয়"

    "বার্সেলোনায় যা হচ্ছে তা স্বাভাবিক নয়"    

    “অন্য কারো হেরে যাওয়া আমাকে খুশি করে না। আমার জীবনে এর কোন প্রভাব নেই। আমি একজন খেলোয়াড়। বার্সেলোনার সাথে আমার শত্রুতা নেই। আমার তো মনে হয় আপনাদেরই (কাতালান সংবাদমাধ্যম) আমার সাথে কোন শত্রুতা আছে.”

    বার্সেলোনা সমর্থকদের সাথে তাঁর সম্পর্কের ঝাঁঝটা নতুন করে জানানোর কিছু নেই। ২০০০ সালে বার্সেলোনা থেকে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেয়ার পর সেখানে খেলেছেন পাঁচ মৌসুম। দু’দলের সাথেই সম্পর্ক ছিল যার লা লিগার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর মতামতের আলাদা মূল্য থাকাটাই তো স্বাভাবিক। বার্সেলোনার সাথে ফিগোর সম্পর্কের তিক্ততাটা এতোটাই প্রকট যে কাতালান সংবাদ মাধ্যমের সামনেও খুব একটা আসেন না ফিগো। শুরুতেই মনে করিয়ে দিয়েছেন সে কথাও। গেটাফের বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদের জয় নাকি বার্সার ভ্যালেন্সিয়ার কাছে হেরে যাওয়া? কোন ঘটনায় বেশি খুশি হয়েছেন এই পর্তুগীজ? এমন প্রশ্নের জবাবে বিধ্বংসী কোন উত্তরই আশা করেছিলেন সাংবাদিকেরা। উত্তেজনায় জল ঢেলে দিয়ে উল্টো কাতালান মিডিয়ারই এক হাত নিলেন ফিগো।
       
    স্বভাবতই তাই ফিরে এলো বার্সেলোনার বর্তমান পরিস্থিতি। বার্সার টানা ৩ হারে জমে উঠেছে লা লিগার শিরোপা দৌড়ও। এই ঘটনার সাথে ফিগো মিল খুঁজে পাচ্ছেন ২০০৩/০৪ মৌসুমের রিয়াল মাদ্রিদের সাথে। সেবার লিগের শেষ ৭ ম্যাচ হেরে শীর্ষস্থান থেকে ছিটকে চার নম্বরে শেষ করেছিল রিয়াল। আর লিগ জিতেছিল ভ্যালেন্সিয়া।

    নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই তাই বললেন “বার্সেলোনায় যা হচ্ছে তা স্বাভাবিক নয়। যখন একটা দলের গতি নষ্ট হয়ে যায় তখন যতো রকম দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে, সবই ঘটে যায়।”   

    “যেমন আমাদের কথাই ধরুন। কুইরোজের অধীনে ওই মৌসুমে আমাদের কি হয়েছিল? ওটাকে আসলে কোনোভাবেই বিশেষায়িত করা যায় না। পুরো মৌসুম জুড়েই ভালো খেলছিলাম আমরা, কিন্তু এক সপ্তাহের ফল বিপরীতে গেলে, ভোল পালটে যেতে পারে... এটাই আসলে খেলা।“    

    বার্সেলোনার টানা ৪ ম্যাচ জয়শূন্য থাকা থাকার পেছনে লুইস এনরিকের কৌশল বা খেলোয়াড়দের মান নিয়েও কোন প্রশ্ন তোলেননি এই পর্তুগীজ। বরং বার বার ওই একই কথাই বললেন। “টানা এতোগুলো হার বার্সেলোনার জন্য অযৌক্তিক। এর কারণটা খেলার ছন্দ হারিয়ে ফেলা। এর জন্য খেলোয়াড়দের মানই একমাত্র কারণ নয়।“

    এক মাস আগেও লা লিগার শিরোপাটা অনেকেই দেখছিলেন বার্সেলোনার হাতেই। বার্সার টানা ৩ হারে লিগ এখন উন্মুক্ত। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা - সবার সামনেই লিগ জয়ের সমান সুযোগ থাকছে। এই অবস্থান থেকে বার্সেলনাকে লিগ জিততে হলে নিজেদেরকে প্রমাণ করতে হবে বলেই মনে করছেন ন্যু ক্যাম্পে ৫ বছর কাটানো এই পর্তুগীজ। “লিগের পরিস্থিতি এখন খুবই উত্তেজনাপূর্ণ। এখন খুব কম ভুল করারই সুযোগ থাকছে। নিজেদেরকে প্রমাণ করেই লিগ জিততে হবে।'' 


    কাতালান সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হবেন আর সেই বিতর্কিত বার্সা থেকে রিয়াল ট্রান্সফার নিয়ে কথা হবে না- তা কেমন করে হয়! ফিগোও বোধ হয় মেনেই নিয়েছেন, বাকি জীবনটা এমন প্রশ্ন তাঁর পিছু ছাড়ছে না। কথায় কথায় এবার তাই নিজে থেকেই বললেন, “আমি বার্সেলোনা ছাড়ার কারণ ছিল খেলা বিষয়ক আর অর্থনৈতিক। আমার কাছে মনে হয়েছে সেখানে (বার্সেলোনায়) আমার প্রকৃত স্বীকৃত পাইনি।'' এসব নিয়ে যে এখন আর মাথা ঘামান না সে কথাও বললেন কিছুটা তাচ্ছিল্যের সুরেই, “সত্যি বলতে শনি-রবিবার আমার গলফ খেলেই কাটে। আমার পৃথিবী রিয়াল মাদ্রিদ বা বার্সেলোনাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয় না। আমি অন্য কিছু করতে পেরেই খুশি।”