অনিশ্চিত দিবা-রাত্রির টেস্ট?
ফ্লাডলাইটের রোশনাই, গোলাপী বল। সবুজ উইকেট, হ্যাজলউড-বোল্ট-স্টার্কদের সুইং আর গতির প্রদর্শনী। তিন দিনেই ১,২৩,৭৭৬ জন দর্শক অ্যাডিলেড ওভালে। সিরিজের আগের দুই টেস্টে খাবি খাওয়া বোলাররাই যেন হয়ে উঠলেন রোমাঞ্চের কেন্দ্রবিন্দু!
ইতিহাসের প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট যেন জানান দিল, টিকে থাকতেই ক্রিকেটের আঙ্গিনায় আসা তার! যে নিউজিল্যান্ড শুরুতে আপত্তি জানিয়েছিল, তারাই আবার বাংলাদেশের সংগে খেলার আগ্রহ জানিয়ে রাখে!
অস্ট্রেলীয়রাও আগ্রহী হয়ে ওঠে আরও বেশী ম্যাচ আয়োজনের। দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তানের সঙ্গে একটি করে টেস্ট দিবা-রাত্রির আয়োজন করার পরিকল্পনায় ভেন্যুও ঠিক করা হয়। তবে বাগড়া বাঁধালো দক্ষিণ আফ্রিকা।
দিবা-রাত্রির টেস্টের রোমাঞ্চে যেন একটু জলই ঢেলে দিল দক্ষিণ আফ্রিকা। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, জল ঢাললেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা!
আসছে অস্ট্রেলীয় গ্রীস্মে দক্ষিণ আফ্রিকার একটা টেস্ট খেলার কথা ছিল ফ্লাডলাইটের আলোয়, প্রোটিয়া খেলোয়াড়রা আপত্তি জানিয়েছেন তাতেই। কারণ, গোলাপী কুকাবুরায় অস্ট্রেলীয়রা ‘বাড়তি’ সুবিধা পাবে বলেই ধারণা তাদের।
ধারণা খুব যে ‘অমূলক’, তা কিন্তু নয়। শেফিল্ড শিল্ডের পর নিউজিল্যান্ডের সংগে টেস্ট, অস্ট্রেলীয়রা তো বেশ ‘অভিজ্ঞ’ই দিবা-রাত্রির টেস্টে। সেখানে প্রোটিয়াদের কোনো পর্যায়েই গোলাপী বলে খেলার অভিজ্ঞতা নেই!
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া অবশ্য ‘গোলাপী’ টেস্টের আগে একটা প্রস্তুতি ম্যাচের ব্যবস্থা করতে চেয়েছিল, তবে আফ্রিকানদের কাছে তা ‘যথেষ্ট’ মনে হয়নি। তবে আফ্রিকানদের এই অনাগ্রহতে আবার এটাও বোঝা যায়, আফ্রিকা-অস্ট্রেলিয়া সিরিজটা আসলেই কতটা ‘গুরুত্বপূর্ণ’ তাদের কাছে!
আফ্রিকানরা আপত্তি জানালেও অবশ্য পাকিস্তানীরা রাজিই হয়েছে দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলতে। দক্ষিণ আফ্রিকার পরই অস্ট্রেলিয়া যাবে পাকিস্তান, কথা ছিল আফ্রিকার সংগে শেষ ও পাকিস্তানের সংগে প্রথম টেস্টটি হবে দিবা-রাত্রির।
তবে এখন মনে হচ্ছে ভরসা শুধুই পাকিস্তান!