শেষের নাটকের পর ইনিংস ব্যবধানে হেরে গেল বাংলাদেশ
পাকিস্তান ৩০০-৪ ডিক্লে
বাংলাদেশ ৮৭ ও ২০৫
ফলঃ পাকিস্তান ইনিংস ও ৮ রানে জয়ী
মিরপুরে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। তাইজুল ইসলাম ও এবাদত হোসেন ঠেকিয়ে দিচ্ছেন সাজিদদের। আলো কমে আসছে, যে কোনো সময় আম্পায়ার খেলা শেষের ঘোষণা দিতে পারেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না বাংলাদেশের। সাজিদের বল তাইজুলের প্যাডে লাগল, আম্পায়ার আউট দিলেন। বাংলাদেশ রিভিউ নিল, লাভ হলো না। সাজিদরা স্টাম্প তুলে শুরু করে দিয়েছেন উল্লাস। যে ম্যাচে হারটা একটা সময় মনে হচ্ছিল অনেক কঠিন, সেটাকেই সহজ বানিয়ে ছাড়ল বাংলাদেশ। বৃষ্টিতে প্রায় আড়াই দিন পন্ড হয়ে যাওয়ার পরেও হেরে গেল। পাকিস্তানের কাছে ধবলধোলাই হলো টেস্টেও।
বিপর্যয়টা কালকেই হয়ে গেছে বাংলাদেশের। সকালে যখন সাকিবরা নেমেছিলেন, ফলো অন এড়াতে তখনও ২৫ রান করতে হতো। কিন্তু তাইজুলের উইকেট দিয়ে সকালেই ধস শুরু। এরপর শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাকিব যখন আউট হলেন, ফলো অনের ১০১ রান থেকে তখনো ১৪ রান দূরে বাংলাদেশ। স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তান আবারও সিদ্ধান্ত নিল ব্যাট করানোর।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে আবারও টপ অর্ডারদের আসা যাওয়ার মিছিল। নবাগত মাহমুদুল হাসান জয়ের হাসান আলীর বলে বোল্ড হওয়া দিয়ে শুরু, এরপর সাদমান ইসলাম ফিরে যান শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে এলবিডব্লু হয়ে। হাসান আলীর ভেতরের দিকে ঢোকা বলে এলবিডব্লু মুমিনুল, আর শাহীনের আরেকটি বাউন্সারে শান্ত আরেক দফা ব্যর্থ।
এরপর মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস শুরু করলেন প্রতিরোধ। দুজনে একটা পর্যায়ে শুরু করলেন শইট খেলা, জুটিও ৫০ ছাড়িয়ে যাচ্ছিল বড় কিছুর দিকে। তখনই লিটনের মতিভ্রম, সাজিদের বলে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন শর্ট স্কয়্যার লেগে। ফিরলেন ৪৫ রানে। মুশফিক ও সাকিব যখন মনে হচ্ছিল চা বিরতি পার করে দেবেন, তখনই আত্মহত্যা। রান আউট হয়ে ফিরে গেলেন মুশফিক, ৪৮ রানে।
সাকিব ও মিরাজ এরপর প্রতিরোধ দীর্ঘায়িত করছিলেন। সাকিব পেলেন ফিফটি, হয়ে গেল টেস্টে ৪ হাজার রান ও ২০০ উইকেটের ডাবল। কিন্তু ব্রেক থ্রু দিলেন বাবর আজম, মিরাজকে এলবিডব্লু করে পেয়ে গেলেন নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক উইকেট। মিরাজ ফিরলেন ১৪ রানে। এরপর আশা হয়ে ছিলেন সাকিব, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৬৩ করে সাজিদের বলে হলেন বোল্ড। এরপর খালেদ আউট হলেন, তাইজুল আর এবাদতের ওপর ছিল আশা। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। বাংলাদেশের আরেকটি পরাজয়ের গল্প লেখা হলো।