মাদ্রিদ ডার্বিতে অ্যাটলেটিকোকে শাসিয়ে রিয়ালের অনায়াসে জয়
রীতিমত উড়ছে যেন রিয়াল মাদ্রিদ। কার্লো আনচেলত্তির মাদ্রিদের এ যাত্রা থামাতে পারল না বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদও। মাদ্রিদ ডার্বিতে সিমিওনের অ্যাটলেটিকোকে ২-০ গোলে অনায়াসে হারিয়ে শীর্ষস্থান আরোও শক্ত করেছে আনচেলত্তির মাদ্রিদ। ম্যাচে পুরোটা সময় জুড়ে আলো ছড়িয়েছেন এই মৌসুমের দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ভিনিসিয়াস জুনিয়র।
হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট কাটিয়ে পুরোপুরি সুস্থ হননি, তবুও মাদ্রিদ ডার্বির দিন দলের ক্যাপ্টেন বেনজেমাকে ছাড়া দল নামাতে চাননি রিয়াল বস ‘ডন’ কার্লো। গত মৌসুমের চমৎকার ফর্ম এই মৌসুমেও সমানতালে নিয়ে যাচ্ছেন এই ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ড। ম্যাচের ১৬ মিনিটের মাথায় মাঠের অনেক নিচে নেমে এসে তিনিই আক্রমণ শুরু করেন। সেখান থেকে ফরোয়ার্ড রান করে বক্সে চলে আসতে না আসতেই পায়ে পেয়ে যান ভিনিয়াসের বাড়ানো ক্রস। দুর্দান্ত এক ভলিতে গোল করে ম্যাচের শুরুতেই লিড পেয়ে যায় রিয়াল।
ম্যাচের ৫৬ মিনিটে লিড দ্বিগুন করেন মার্কো আসেনসিও; তবে এবারো গোলের কারিগর সেই ভিনিসিয়াস। অফসাইড ট্র্যাপ ফাঁকি দিয়ে বক্সের ডানসাইড থেকে দেওয়া নিচু বল আনমার্কড অবস্থায় সোজা জালে পাঠিয়ে দেন আসেনসিও।
তবে তুমুল চেষ্টা করে গেছে সিমিওনের অ্যাটলেটিকো। প্রথমার্ধে মাঠে না থাকলেও পরে এসে নামিয়েছেন সুয়ারেজ-জোয়াও ফেলিক্সদের। তবে কেউই ভেদ করতে পারেননি কোর্তোয়ার দেয়াল। রিয়ালের জয়ের পেছনে আরেক বড় কারিগর যে তিনিই! ম্যাথিয়াস কুনহা, গ্রিজমান, সুয়ারেজ, ফেলিক্সের সবমিলিয়ে ছয়টি বড় সুযোগ ঠেকিয়ে দিয়েছেন; যার তিনটিই ছিল বিপজ্জনক। ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে ফেলিক্সের নেওয়া শট সরাসরি মুখে গিয়ে লাগলেও বড় কোন ইনজুরি হয়নি। কোন অঘটন না ঘটেই দুই গোলের পার্থক্য রেখে ডার্বি জিতে নিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
এই নিয়ে লা লিগায় টানা ৯ ম্যাচ অপরাজিত থাকল আনচেলত্তির দল, সঙ্গে টেবিলে শীর্ষস্থান হলো আরও দৃঢ়। টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা সেভিয়ার সঙ্গে তাদের পয়েন্ট ব্যবধান আট, অ্যাটলেটিকোর সঙ্গে ১৩! আর ওসাসুনার সঙ্গে ড্র করে বসায় বার্সেলোনা নেই রিয়ালের ধারে কাছেও, টেবিলের অষ্টম স্থানে থাকা বার্সেলোনার পয়েন্ট মাত্র ২৪; যা রিয়ালের থেকে ১৮ পয়েন্ট কম।