সিডন্স পরামর্শক, বেতন বাড়ল মেয়েদের
ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির প্রধানের পদ থেকে আকরাম খান সরে দাঁড়াচ্ছেন সেটা অনুমিতই ছিল। সেটাকে ঘিরেই নাজমুল হাসান পাপনের প্রেস ব্রিফিং নিয়ে ছিল যত আগ্রহ-কে হতে যাচ্ছেন নতুন প্রধান, কে কে পাচ্ছেন নতুন পদ। সেটা জানালেন, সাথে দিলেন আরেক বিস্ময়কর সংবাদ-জেমি সিডন্সকে ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। বেশ কিছু নতুন তথ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটারদের বেতন বাড়ানোর কথাও জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি।
২০২২ ওয়ানডে বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারের দারুণ পারফর্ম্যান্সের পর কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা নারী ক্রিকেটারদের বেতন ৩৩% বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। দুটি বা তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে সাজানো হবে তাদের এই নতুন বেতন কাঠামো।
নারীদের ক্রিকেটে এই পরিবর্তনের পাশাপাশি আসে অনুমিত সেই পরিবর্তনের ডাকও। ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির প্রধান হিসেবে আকরাম খানের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন জালাল ইউনুস। তবে আকরাম খান থাকছেন বিসিবির সাথেই, ”ফ্যাসিলিটিজ ম্যানেজমেন্ট কমিটি” এর প্রধান হিসেবে। পাশাপাশি প্রতিবন্ধী ক্রিকেটের দিকটাও সামলাবেন তিনি। পাশাপাশি মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশনস ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তানভির আহমেদ, টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান হয়েছেন সাজ্জাদুল ইসলাম ববি এবং বাংলা টাইগারস কমিটির প্রধান হয়েছেন কাজী ইমাম আহমেদ।
তবে সব ছাপিয়ে বিস্ময় হয়ে এসেছে জেমি সিন্ডন্সের ঘোষণাটাই। বিবৃতিতে বিসিবি সভাপতি বলেন, “ আমরা তাকে (সিডন্স) ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। তবে ঠিক কোন জায়গায় তিনি কাজ করবেন তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সেটা হতে পারে হাই পারফর্ম্যান্স দলের সাথে, হতে পারে অনূর্ধ্ব- ১৯ দলের সাথে আবার হতে পারে জাতীয় দলের সাথেও। আশা করছি, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি নাগাদ তিনি আমাদের সাথে যোগ দিবেন।”
২০০৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সিডন্সের অধীনে বাংলাদেশ পেয়েছিল বিদেশের মাটিতে কোনও দলকে টেস্ট সিরিজে ওয়াইটওয়াশ করা, ঘরের মাটিতে নিউজিল্যান্ডকে ৪-০ ব্যবধানে হারানোর মত সাফল্য। প্রায় এক যুগ পর সাকিব-তামিমদের আজকের ব্যাটসম্যান হয়ে ওঠার অন্যতম কারিগর তাই আবারও ফিরছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটে। সিডন্স এবার অবশ্য কাদের সাথে কাজ করবেন তা এখনও নির্ধারিত না হওয়াতে আপাতত জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্সের জায়গা নিয়ে থাকছে না কোনও সন্দেহ। ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ প্রিন্স তাই হয়ত মেয়াদ পূর্ণ করার সুযোগ পাচ্ছেন।
এছাড়া শেখ হাসিনা ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণ নিয়ে তাদের পরিকল্পনার কথা জানতে চাওয়া হলে সভাপতি বলেন, “স্টেডিয়াম নিয়ে অতিসত্বর কাজ শুরু করতে চাই আমরা। কিন্তু বিষয়টা বেশ সময়সাপেক্ষ। কেননা স্টেডিয়ামের ধারণ ক্ষমতা হতে যাচ্ছে প্রায় ৫০,০০০। সেজন্য পুরো কাজ শেষ হতে প্রায় তিন বছরের মত সময় লাগতে পারে।”