সিলেটে লো স্কোরিং ফাইনালে শিরোপা সেন্ট্রাল জোনের
ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপ ফাইনাল, সিলেট (টস- সেন্ট্রাল জোন/ ফিল্ডিং)
বিসিবি সাউথ জোন- ১৬৩, ৪৮.৫ ওভার ( পিনাক ৩৫, নাহিদুল ৩১, অমিত ২৯, সৌম্য ২/১৯, মৃত্যুঞ্জয় ২/২৬, নাজমুল ২/২৮)
ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন- ১৬৪/৪, ৪২.৩ ওভার (আল-আমিন ৫৩*, মিজানুর ৩৯, মোসাদ্দেক ৩৩, নাসুম ৩/৩২, মাহেদী ১/৩২)
ফলাফল: সেন্ট্রাল জোন ৬ উইকেটে জয়ী
চার দিনের ম্যাচের টুর্নামেন্টের পর ওয়ানডেতেও শিরোপা জিতল মধ্যাঞ্চল। সেন্ট্রাল জোনের বোলারদের দাপতে মাত্র ১৬৩ রানেই গুটিয়ে যাওয়ার পর নাসুম আহমেদের স্পিন জাদুতে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল সাউথ জোন। তবে আল-আমিনের ৫৯ বলে ৫৩* ও সেন্ট্রাল জোন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেনের ৮৫ বলে ৩৩* রানে ৬ উইকেট হাতে রেখেই ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপের শিরোপা নিশ্চিত করেছে সেন্ট্রাল জোন।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামতে হলেও আনামুল হক-পিনাক ঘোষের ওপেনিং জুটি তুলে ফেলেছিল ৫০ রান। ২০ রানে আনামুলকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন নাজমুল ইসলাম। তার বিদায়ে ওপেনিং জুটি ভাঙার পরেই নামে ধস। সৌম্য সরকারের আঘাতে পিনাক ৩৫ রানে ফেরার পরের ওভারের নাজমুলের দ্বিতীয় শিকার হয়ে রানের খাতা খোলার আগেই ফিরে যান তৌহিদ হৃদয়।
৬৫ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসার পর অধিনায়ক জাকির হোসেনকে নিয়ে বিপদ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন অমিত হাসান। বাঁধ সাধেন সেন্ট্রাল জোনের অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন; ১৪ রানে ফেরান প্রতিপক্ষের অধিনায়ককে। সেই মোসাদ্দেকের কাছেই কিছুক্ষণ পরে ২৯ রানে ফিরে যান অমিতও। হাসান মুরাদের আঘাতে এরপর মাত্র ২ রানেই মাহেদী হাসানও ফিরলে ১১১ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ঘোর বিপদে পড়ে সাউথ জোন।
ফরহাদ রেজাকে নিয়ে এরপর নাহিদুল ইসলাম প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও সেই চেষ্টা ধোপে টেকেনি। মুরাদের শিকার হয়ে ফরহাদ ফেরার কিছুক্ষণ পরেই ৩১ রান করে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর শিকার হয়ে ফিরে যান নাহিদুল। পরে তিনি নাসুম আহমেদকেও ফেরান। ১২ রান করে শেষ দিকে কামরুল ইসলাম রাব্বি চেষ্টা করলেও সৌম্য সরকারের কাছে থামতে হলে সাউথ জোন গুটিয়ে যায় ১৬৩ রানেই।
১৬৪ রানের লক্ষ্যে সৌম্য-মিজানুর রহমানের সুচনাও হয় ভাল। পেসারদের স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে থাকা সৌম্যের ছন্দপতন হয় নাসুম আহমেদ আক্রমণে আসতে। ২১ রানে সৌম্য ফেরার পর উইকেটে এসে কিছুক্ষণের মাঝেই মাহেদী হাসানের শিকার হয়ে ফিরে যান আব্দুল মজিদ। নাসুমের ঘূর্ণিজালে দিশেহারা হয়ে মোহাম্মদ মিঠুনও এরপরেই ফিরে যান মাত্র ৪ রান করে। দুর্দান্ত সেই স্পেলে ৩৯ রান করে দারুণ খেলতে থাকা মিজানুরকেও ফেরান নাসুম।
তবে নাসুমের সেই স্পেলের ধাক্কা সামলে এরপর দলকে শক্ত হাতে এগিয়ে নেন মোসাদ্দেক হোসেন ও আল-আমিন। মোসাদ্দেক এক প্রান্ত আগলে রাখলে অন্য প্রান্তে আক্রমণের ভূমিকা বুঝে নেন আল-আমিন। দুজনে মিলে আর কোনও বিপদ ঘটতে দেননি। মাহেদী-নাসুমদের সামলে ৮৮ রানের অবিছিন্ন জুটি গড়ে দলকে পৌঁছিয়ে দেন জয়ের বন্দরে; বোলারদের দারুণ বোলিংয়ের যথাযোগ্য মর্যাদা রেখে দুজনে মিলে নিশ্চিত করেন শিরোপা।