বেনজেমার হ্যাটট্রিক ও বার্নাব্যুতে যেভাবে 'রিয়াল-কামব্যাক' দেখল পিএসজি
এমন রাত আগেও দেখেছে পিএসজি। ন্যু ক্যাম্পে বার্সেলোনার কাছে বা নিজেদের মাঠে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে হয়েছে সেই অভিজ্ঞতা। তারপরও মেসি-নেইমার-এমবাপ্পের মতো তিন ফুটবলার নিয়ে এমন কিছু আবার হবে, হয়তো ভাবেনি। সেটাই হয়েছে, আরও একবার চ্যাম্পিয়নস লিগ তাদের কাছে হয়ে থাকল দুর্বোধ্য এক ধাঁধাঁই। আর সেই অভিজ্ঞতা তাদের দিয়েছে করিম বেনজেমা নামের একজন। বার্নাব্যুর দর্শককে আরেকটি জাদুর রাত উপহার দিয়েছেন হ্যাটট্রিকে। প্রথম লেগে ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকেও তাই ৩-১ গোলে জিতে দুই লেগ মিলে ৩-২তে এগিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গেছে রিয়াল। আর পিএসজিকে বিদায় নিতে হয়েছে খালি হাতেই।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ আর প্রতি আক্রমণে জমজমাট হয়ে ওঠে ম্যাচ। শুরুতেই থিবো কোর্তোয়াকে কাজে নেমে পড়তে হয়, দুবারই এমবাপেকে করেছেন গোলবঞ্চিত। ২৫ মিনিটে প্রথম গোলটা পেয়েই গিয়েছিলেন বেনজেমা, কিন্তু তার শট আঙুলের ছোঁয়ায় বাঁচিয়ে দেন ডোন্নারুমা। ১০ মিনিট পর এমবাপে ভেবেছিলেন রাতের প্রথম গোলটা পেয়ে গেছেন, কিন্তু সেটা বাতিল করে দেওয়া হয় নুনো মেন্ডেসের অফসাইডে থাকার কারণে।
পাঁচ মিনিট পর ঠিকই এমবাপে পেয়ে যান নিজের প্রথম গোলটা। অফসাইড ট্র্যাপ ভেদ করে দলকে এগিয়ে দেন। তখন মনে হচ্ছিল, পিএসজির কোয়ার্টার ফাইনালের রাস্তা অনেকটাই পরিষ্কার। বিরতির পর আবার গোল পান এমবাপে, এটিও বাতিল হয়ে যায় অফসাইডের জন্য।
শেষ পর্যন্ত ৬১ মিনিটে প্রথম গোলটা পেয়ে যায় রিয়াল। ডোন্নারুমা একটা ব্যাকপাস ধরে ঠিকমতো রিসিভ করতে পারেননি। বলটা ছিনিয়ে নেন বেনজেমা। সেখান থেকে ভিনিসিয়াসের পা ঘুরে আবার তার কাছে আসে। জোরালো শটে বল জড়িয়ে দেন জালে। এরপর ভিনিসিয়াস নিজেই সুযোগ পান, কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি।
তবে সেটার জন্য আফসোস করতে দেননি বেনজেমা। ৭৬ মিনিটে মদ্রিচের দুর্দান্ত এক রানের পর ভনির পাস থেকে আবারও ফিনিশ করেন বেনজেমা। দুই মিনিট পর এবার সরাসরি মার্কিনিওসের ভুল, বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে তুলে দেন বেনজেমার পায়ে। সুযোগ কাজে লাগিয়ে পেয়েছেন হ্যাটট্রিক, চ্যাম্পিয়নস লিগে যা সবচেয়ে বেশি বয়সে। সেই সঙ্গে রিয়ালকেও তুলে দিয়েছেন পরের পর্বে।