• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    ফোডেন-ডি ব্রুইনার জাদুতে উতরে গেল সিটি, সেমিতে এক পা লিভারপুলের

    ফোডেন-ডি ব্রুইনার জাদুতে উতরে গেল সিটি, সেমিতে এক পা লিভারপুলের    

    ম্যান সিটি ১:০ অ্যাট. মাদ্রিদ

    বেনফিকা ১:৩ লিভারপুল


    ফুটবলীয় মতাদর্শের দিক দিয়ে পেপ গার্দিওলা ও ডিয়েগো সিমিওনে সম্পূর্ণ দুই মেরুর বাসিন্দা। এজন্যই হয়তো দুজনের খুব একটা দেখা হয় না ফুটবল মাঠে। তবে শেষবার যখন দেখা হয়েছে, তখন বায়ার্নকে নিয়ে গার্দিওলার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার স্বপ্নকে গুড়িয়ে দিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছিল সিমিওনের অ্যাটলেটিকো। দ্বৈত্যবধের জন্য সুপরিচিত সিমিওনে এবারও একই পরিকল্পনা নিয়েই নেমেছিলেন। কিন্তু ডি ব্রুইনার অসাধারণ এক গোলে প্রথম লেগে হেরেই বাড়ি ফিরতে হয়েছে মাদ্রিদের দলটিকে। 

    দিনের অপর ম্যাচে বেনফিকাকে তাদের ঘরের মাঠে ৩-১ গোলে হারিয়েছে লিভারপুল। এই জয়ে বলতে গেলে সেমিতে এক পা রেখেই ফেলেছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। 

    ইতিহাদ স্টেডিয়ামের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগটি সিমিওনের স্ক্রিপ্ট অনুযায়ীই চলছিল। ঘরের মাঠে সিটির পায়ে যে সিংহভাগ বলের দখল থাকবে, সেটা জানাই ছিল। কিন্তু ৬৭ শতাংশ বলের দখল রেখেও অ্যাটলেটিকোকে তেমন ভোগাতে পারেনি সিটিজেনরা। ফেলিপে-স্যাভিচদের প্রায় নিশ্ছিদ্র রক্ষণের মধ্য দিয়ে পরিষ্কার সুযোগই তেমন তৈরি করতে পারেনি জেসুসরা। 

    গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধেও একই ধারার ফুটবল অব্যাহত থাকে। প্রতি ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও একজন পাকা নাম্বার নাইনের অভাবটা অনুভব করছিল সিটি। এই স্থিতাবস্থার মাঝে গার্দিওলার এক সাবস্টিটিউশন ম্যাচের চেহারা বদলে দেয়। ৬৮তম মিনিটে রিয়াদ মাহরেজের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন ফিল ফোডেন। নামার সাথে সাথেই ডিবক্সের সামনে থেকে অসাধারণ এক পাসে অ্যাটলেটিকো ডিফেন্ডার রেইনাল্ডোকে নাটমেগ করে ডি ব্রুইনাকে খুঁজে নেন তিনি। সিক্স ইয়ার্ড বক্সের ডান পাশে বলটি পেয়ে এক টাচেই তাকে গোলের বাম অংশে পাঠিয়ে দেন ডি ব্রুইনা। বেলজিয়ান তারকার এই গোলটিই শেষ পর্যন্ত ম্যাচের একমাত্র গোল হয়ে থাকে। 

    এদিকে লিসবনে বেনফিকাকে হারাতে তেমন বেগ পেতে হয়নি লিভারপুলের। গ্রুপ পর্বে বার্সা ও শেষ ষোলোতে আয়াক্সকে হারানো পর্তুগিজ দলটি প্রথমার্ধে দাঁড়াতেই পারেনি সালাহ-মানেদের সামনে। কর্নার থেকে ইব্রাহিমা কোনাতে ও লুইস ডিয়াজের হেডিং পাস থেকে সাদিও মানে গোল করলেও প্রথমার্ধে বেশ কয়েকটি সহজ সুযোগ হাতছাড়া করে লিভারপুল। 

    প্রথমার্ধে ০-২ ব্যবধানে পিছিয়ে যাওয়া বেনফিকা অবশ্য অন্য রূপে হাজির হয় দ্বিতীয়ার্ধে। ডিফেন্সে বসে থাকার বদলে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা শুরু করে তারা। এতে লাভও হয়। কোনাতের এক ভুলে গোল দিয়ে বসেন বেনফিকার ডারউইন নুনেজ। ৪৯ মিনিটে গোল দেওয়ার পর আরও কয়েকটি পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করে বেনফিকা। কিন্তু তার একটিও জাল পর্যন্ত গড়ায়নি।

    অ্যানফিল্ডে কঠিন এক দ্বিতীয় লেগের চিন্তা করে যখন মাঠ ছাড়ছিল কিছু বেনফিকা সমর্থক, তখন তাদের কফিনে সর্বশেষ পেরেকটি মারেন এতদিন রাইভাল দল পোর্তোতে খেলা লুইস ডিয়াজ। ৮৭তম মিনিটের কেইটার পাস থেকে বক্সের ভেতর বল পেয়ে যান ডিয়াজ। গোলকিপারকে কাটিয়ে সেই বল জালে জড়ান বেনফিকার মাঠে কখনো না হারা এই কলম্বিয়ান। সিটির বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ দুই ম্যাচ সামনে রেখে এই ৩-১ ব্যবধানের জয়কে হাসিমুখেই বরণ করেছেন ইয়ুর্গেন ক্লপ।