• লা লিগা
  • " />

     

    ডার্বি জিতে শঙ্কামুক্ত অ্যাটলেটিকো

    ডার্বি জিতে শঙ্কামুক্ত অ্যাটলেটিকো    

    অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ১:০ রিয়াল মাদ্রিদ 


    শিরোপা ধরে রাখার মিশন নিয়ে মৌসুম শুরু করা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের জন্য মৌসুমটা একেবারেই ভালো যায়নি। শিরোপা ধরে রাখা তো দূরের কথা, ডিয়েগো সিমিওনের দল মৌসুমের একটি বড় অংশ কাটিয়েছে চতুর্থ স্থানের আশেপাশে। গত সপ্তাহেই নগরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে শিরোপা হাতছাড়া করা অ্যাটলেটিকো আজ তাদের কাছে হেরে বসলে শীর্ষ চারে শেষ করা নিয়েও শঙ্কা দেখা যেত। তবে ঘরের মাঠে ইয়ানিক কারাসকোর পেনাল্টিতে ১-০ গোলের জয় নিয়েই ম্যাচ শেষ করেছে তারা।   

    লিগ শিরোপা ইতোমধ্যে নিশ্চিত করে ফেলেছে রিয়াল মাদ্রিদ। তাই বাস্তবিকভাবে এই ম্যাচের তেমন গুরুত্ব ছিল না তাদের কাছে। মাদ্রিদের শুরুর একাদশও তারই ইঙ্গিত দেয়। বুধবার ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ম্যাচ জেতা দল থেকে সাত জনকে বসিয়ে রেখে একাদশ সাজান কার্লো আনচেলত্তি। একাদশে জায়গা পান লুকা ইয়োভিচ, জেসুস ভালেহো, লুকাস ভাসকেজ ও লুনিনের মতো খেলোয়াড়েরা।

    ওয়ান্দা মেট্রোপালিতানোতে রিয়ালের বিপক্ষে নামা পূর্ণশক্তির অ্যাটলেটিকো বেশ আগ্রাসীভাবে ম্যাচ শুরু করে। প্রথম ১০ মিনিটেই তিনটি বড় সুযোগ তৈরি করে রোহিব্লাঙ্কোরা। তবে কোরেয়া-কারাসকোদের প্রাথমিক আক্রমণ প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয় মাদ্রিদ। 

    মৌসুমে অনেকবার আক্রমণভাগ পরিবর্তন করা ডিয়েগো সিমিওনে এদিন মার্কোস ইয়ুরেন্তেকে আক্রমণভাগে খেলান। প্রথমার্ধে ম্যাথুস কুনিয়াকে নিয়ে বেশ কয়েকটি দুর্দান্ত আক্রমণও করেন ইয়ুরেন্তে। সেরকম একটি আক্রমণ থেকেই ম্যাচের প্রথম লাইফলাইন পায় অ্যাটলেটি। ৩৬ মিনিটে ইয়ুরেন্তের বাড়ানো বল নিয়ে মাদ্রিদের বক্সে ঢুকে পড়েন কুনিয়া। কিন্তু শট নেওয়ার আগেই তাকে ভূপাতিত করেন রিয়ালের সেন্টারব্যাক ভালেহো। অ্যাটলেটিকো প্লেয়াররা পেনাল্টির আবেদন করে গেলেও খেলা চালিয়ে যেতে বলেন রেফারি। 

    মাদ্রিদ খেলা চালিয়ে নেয়। পাল্টা-আক্রমণেও উঠে প্রায় সাথে সাথেই। অপর পাশে গিয়ে রদ্রিগো শট নিলেও তা ফিরিয়ে দেন ইয়ান ওবলাক। এরপর, ভিএআরের শরণাপন্ন হয়ে সিদ্ধান্ত বদলান রেফারি। অ্যাটলেটিকোকে পেনাল্টি উপহার দেওয়ার পাশাপাশি ভালেহোকে দেখান হলুদ কার্ড। ৪০ মিনিটে সেই পেনাল্টি থেকেই ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন কারাসকো। 

    প্রথমার্ধের শেষদিকে সমতা ফেরানোর চেষ্টা করে মাদ্রিদ। কিন্তু ৪৫ মিনিটে নেওয়া রদ্রিগোর শট অল্পের জন্য বাইরে দিয়ে যায়, এবং পরের মিনিটে ইয়োভিচের নেওয়া শট ফিরিয়ে দেন ওবলাক। 

    দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠে। পুরো ৪৫ মিনিটেই চলে এন্ড-টু-এন্ড ফুটবল। দুই দল মিলে এই অর্ধে মোট ২০টি শট নিয়েও স্কোরবোর্ড অপরিবর্তিতই থাকে।  

    দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে নামা আন্তোয়ান গ্রিজমান অ্যাটলেটিকোর আক্রমণকে আরেকটু গতিশীল করেন। কিন্তু একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে গেলেও গোলের দেখা পাননি এই ফরাসি। তার নেওয়া তিনটি শটই অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। 

    আর দ্বিতীয়ার্ধে ভিনিসিয়াস, মদ্রিচ ও ভালভার্দেকে নামিয়ে ম্যাচে সমতা ফেরানোর জোর চেষ্টা চালান আনচেলত্তি। কিন্তু তার দল প্রথমার্ধের চেয়ে আক্রমণ বেশি করলেও ইয়ান ওবলাককে পরাস্ত করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত স্কোরলাইন ১-০’ই থেকে যায়। ম্যাচসেরা হন ওবলাক। 

    ২০১৮ সালের পর অ্যাটলেটিকোর জেতা প্রথম মাদ্রিদ ডার্বি এটি। তবে শুধু ডার্বির জন্য না, এই ম্যাচের ফলাফল আরেকটি কারণেও স্বস্তি বয়ে আনবে অ্যাটলেটিকো শিবিরে। এই ম্যাচ জিতেই যে পাঁচে থাকা রিয়াল বেটিসের উপর ছয় পয়েন্টের লিড নিয়েছে তারা। শেষ তিন ম্যাচ থেকে চার পয়েন্ট জোগাড় করতে পারলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে তাদের আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফুটবল।