আর্জেন্টিনা-ইতালির ফাইনালিসিমার সবকিছু
বর্তমান ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালি ও কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে নিয়ে মাঠে গড়াবে ফাইনালিসিমা। ২ জুন রাত ১২.৪৫ মিনিটে ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের দুই চ্যাম্পিয়নকে নিয়ে ইংল্যান্ডের বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে পর্দা উঠবে এই মহারণের। তবে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন এই ফাইনিলিসিমা কী? ইতালিয়ান এই শব্দের অর্থ মহা ফাইনাল।
গত বছর ডিসেম্বরে এক সমঝোতা চুক্তি সাক্ষর করেছে ইউয়েফা ও কনমেবল। দুই মহাদেশের ফুটবল উন্নয়ন, পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ও ফুটবলের সম্প্রসারণই চুক্তির মূল উদ্দেশ্য। এই চুক্তির মেয়াদ ২০২৮ সাল পর্যন্ত। নারী ফুটবল, যুব ফুটবল, ফুটসালও এই চুক্তির অন্তর্ভুক্ত। সেই পরিকল্পনারই অন্যতম এক অংশ ফাইনালিসিমা। তাই ২৯ বছর পর আবারও চালু হচ্ছে এক ম্যাচের এই টুর্নামেন্ট।
এর আগে দুইবার মুখোমুখি হয়েছিল দুই মহাদেশের চ্যাম্পিয়নরা। সর্বপ্রথম ১৯৮৫ সালে ও দ্বিতীয়বার ১৯৯৩ সালে। যদিও এই ম্যাচের নাম তখন ফাইনালিসিমা ছিল না। ১৯৮৫ সালের সেই ম্যাচে উরুগুয়েকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল স্বাগতিক ফ্রান্স। ১৯৯৩ সালে ডেনমার্কের সাথে ১-১ গোলে ড্র করেও টাইব্রেকারে জিতেছিল আর্জেন্টিনা। তখন আন্তঃমহাদেশীয় এই ম্যাচের নাম ছিল আর্তেমিও ফ্রাঞ্চি কাপ। ১৯৮৩ সালে সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ হারানো ইউয়েফার প্রয়াত সভাপতি আর্তেমিও ফ্রাঞ্চির নামানুসারে চালু হয় এক ম্যাচের এই ফুটবল উৎসব। তবে নাম বদলে গেলেও ফাইনালিসিমায় থাকছে আর্তেমিও ফ্রাঞ্চির ছোঁয়া। জয়ী দলকে দেয়া হবে আর্তেমিও ফ্রাঞ্চি ট্রফি।
আর্জেন্টিনা-ইতালির এই ম্যাচে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ফল না এলে ভাগ্য নির্ধারণ হবে পেনাল্টি শুট আউটে। অর্থাৎ থাকছে না অতিরিক্ত সময়ের ব্যবস্থা। হাইভোল্টেজ এই ম্যাচকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে স্কোয়াড ঘোষণা করেছে দুই দলই। লিওনেল মেসিরা অনুশীলন সেরেছেন অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের হোম গ্রাউন্ডে। ইউরোপের চ্যাম্পিয়ন ইতালিও তৈরি হচ্ছে তাদের ঘরের মাঠেই।
দুই দলের শেষ ৫ ম্যাচের ৪টিতেই জিতেছে আর্জেন্টিনা। তবে সব মিলিয়ে এগিয়ে আছে ইতালিই। ১৫ ম্যাচের ৬টিতে জিতেছে আজ্জুরিরা। আলিবিসেলেস্তেদের দখলে আছে ৫ জয়। বাকি ৪ ম্যাচ ড্র হয়েছে।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব থেকে বাদ পড়ে টালমাটাল ইতালি শিবির। তবে এই ম্যাচ জিতে হাসি ফেরাতে চাইবে নিশ্চিত। আলাদা নজর থাকবে জর্জো কিয়েল্লিনির ওপর। ফাইনালিসিমা দিয়েই দীর্ঘ আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন এই ডিফেন্ডার। এই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন জর্জিনহো এবং তরুণ যানিওলো। ওদিকে স্বভাবতই আর্জেন্টিনার আক্রমণ আবর্তিত হবে লিওনেল মেসিকে ঘিরে। কোপা আমেরিকার গত আসরের সর্বোচ্চ স্কোরারের সাথে নজরে থাকবেন লতারো মার্টিনেজ-জুলিয়ান আলভারেজরাও।