মেসি ৮৬, রোনালদোর ১১৭: এই বছরে কার কয়টা ম্যাচ, প্রতিপক্ষ কারা
একই রাতে মাঠে নেমেছিলেন লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এস্টোনিয়ার বিপক্ষে মেসি করেছেন পাঁচ গোল, অন্যদিকে রোনালদো সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে করেছেন জোড়া গোল। সেই সঙ্গে দুজন আন্তর্জাতিক ফুটবলে নিজেদের নিয়ে গেছেন আরও ওপরে।
মেসি রাতটা শুরু করেছিলেন ৮১ গোল নিয়ে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই হ্যাটট্রিক করে ছুঁয়ে ফেললেন হাঙ্গেরি কিংবদন্তি ফেরেংক পুসকাসের ৮৪ গোলের রেকর্ড। এরপর করলেন আরও দুই গোল, ৮৬ তে শেষ করলেন রাত। একদম কাছেই আছেন মালয়েশিয়ার মোখতার দাহারি যিনি করেছেন ৮৯ গোল। এরপর আছেন আলি দাইয়ি। সবার ওপরে থাকা রোনালদোও কাল করেছেন জোড়া গোল। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগে নেমেছিলেন ১১৫ গোল নিয়ে। কাল জোড়া গোল করে নিয়ে গেছেন ১১৭তে। সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক গোলের রেকর্ডটা আগেই নিজের করে নিয়েছিলেন। ৩৮ বছর বয়সে সেটি নিয়ে যাচ্ছেন আরও ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এই দুজনের কাছাকাছি একজন আছেন, যিনি আসতে পারেন সামনে। নেইমারের ব্রাজিলের হয়ে ৭৩ গোল হয়ে গেছে, পেলেকে ধরার জন্য দরকার ৭৭ গোল। বর্তমান খেলছেন এমন ফুটবলারদের মধ্যে নেইমার ও মেসির মধ্যে আছেন তিন জন। পোল্যান্ডের রবার্ট লেভানডফস্কির গোল ৭৫টি। ৮০ গোল করে আছে ভারতের সুনীল ছেত্রী ও আমিরাতের আলি মাবকুতের।
এই বছরেই বিশ্বকাপ। সেখানে অন্তত চারটা ম্যাচ খেলতে পারছেন মেসি-রোনালদো। কিন্তু তার আগে কতটা ম্যাচ খেলতে পারবেন দুজন? রোনালদো রখএই মাসেই নেশন্স লিগের আরও দুইটি ম্যাচ আছে পর্তুগালের, প্রতিপক্ষ চেক প্রজাতন্ত্র ও সুইজারল্যান্ড। সেপ্টেম্বরে আবার নেশন্স লিগে চেক প্রজাতন্ত্র ও স্পেনের বিপক্ষে নামবেন রোনালদোরা। এরপর মিশন বিশ্বকাপ, তার আগে কোনো প্রীতি ম্যাচ খেলবেন কি না নিশ্চিত নয়।
আর্জেন্টিনার একটি ম্যাচ আছে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের, সেটি খেলতে হবে ব্রাজিলের বিপক্ষে। এর পর বিশ্বকাপের আগে আরও দুইটি প্রীতি ম্যাচ খেলার কথা। কিন্তু সেগুলোতে প্রতিপক্ষ কারা থাকবে তা নিশ্চিত নয় এখনো। সব মিলে বিশ্বকাপের আগে তিনটি ম্যাচ খেলতে পারে, তবে এখনো চূড়ান্ত হয়নি কিছু।