• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    ফ্যান্টাসি প্রিমিয়ার লিগে দল সাজাবেন? যে সাত প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন

    ফ্যান্টাসি প্রিমিয়ার লিগে দল সাজাবেন? যে সাত প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন    

    শুরু হয়ে যাচ্ছে প্রিমিয়ার লিগ ফুটবল, আর ঘনিয়ে আসছে প্রিমিয়ার লিগের অফিসিয়াল ফ্যান্টাসিতে দল বানানোর সময়সীমাও। দল সাজানোর আগে আপনার মনে কিছু প্রশ্ন আসবেই। এই লেখায় সেসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার একটা চেষ্টা করা যাক।

     

    দুই না তিন প্রিমিয়াম?

    মিডফিল্ড বা ফরওয়ার্ডদের মধ্যে দশের বেশি যাদের মূল্য তাদের ধরে নেওয়া হয় প্রিমিয়াম। এবার সেরকম ফুটবলারদের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই এগিয়ে সালাহ। এখন পর্যন্ত ৬০ শতাংশের দলে তিনি আছেন। প্রিমিয়ার লিগের সবচেয়ে পরীক্ষিত ফ্যান্টাসি ফুটবলারের জন্য এটাই স্বাভাবিক। এরপর ডিফেন্ডারদের মধ্যে ট্রেন্ট আলেকজান্ডার আরনলডও প্রায় অটোপিক। স্ট্রাইকারদের মধ্যে প্রিমিয়াম কাকে রাখবেন সেটা নিয়েই প্রশ্ন। হালান্ডের ওনারশিপ এখনো কেইনের চেয়ে এগিয়ে, কিন্তু ডেডলাইন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে কমছে ব্যবধান। হালান্ড কমিউনিটিশিল্ডে খুব ভালো করতে পারেননি। কিন্তু সিটির শুরুর ফিক্সচার চিন্তা করলে তাকে বাদ দেওয়া কঠিন। আবার কেইনের প্রি সিজন ফর্ম ভালো, তার ওপরেও অনেকে আস্থা রাখছেন। কিন্তু যদি কেইন, হালান্ড আর সালাহ এই তিনজনকেই নিতে চান তাহলে কেমন হবে? সেক্ষেত্রে আপনার দলের ব্যালান্স একটু দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। ট্রেন্ট, রবার্টসন, ক্যান্সেলোর মতো ডিফেন্ডারদের সাথে দিয়াজ, মাউন্টদের দামের কাউকে নেওয়াও কঠিন হতে পারে। সেক্ষেত্রে শুরুতে দুই প্রিমিয়াম নিয়ে খেলাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। সালাহর সাথে কেইন বা হালান্ডের যে কোনো একজনকেই বেছে নিচ্ছেন অনেকে।

    বাজেট মিডফিল্ডার কীভাবে নেবেন?

    বাজেট মিডফিল্ডার বলতে মূলত যাদের দাম ছয় বা এর নিচে তাদেরকেই ধরা হয়। দল বানানোর জন্য এরকম একাধিককে নিতে হতে পারে আপনার। এদের মধ্যে কয়জন খেলবেন সেটা আপনার ফর্মেশনের ওপর নির্ভর করবে। এবার বাজেট মিডফিল্ডার হিসেবে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন ফুলহামের আন্দ্রেয়াস পেরেরা। মাত্র ৪.৫ দামে তাকে ‘বাজেট এনাবলার’ হিসেবে বেঞ্চের জন্য নিচ্ছেন অনেকেই। আর স্টার্টার হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় পরে তাকে রাখা যেতে পারে একাদশেও। এছাড়া বাজেট মিডফিল্ডারের মধ্যে এগিয়ে আছেন উলভসের নে্তো, অ্যাস্টন ভিলার লিওন বেইলি, আর্সেনালের মারটিনেলি,  নিউক্যাসলের ব্রুনো গুইমারেস। এদের সবারই প্রসপেক্ট ভালো, মিডফিল্ডার হলেও গোল বা অ্যাসিস্টের ভালো সম্ভাবনা আছে। তবে ডিফারেনশিয়াল হিসেবে বাজেট মিডফিল্ডারের মধ্যে বিবেচনায় আসতে পারেন লিডসের অ্যারনসন বা রদ্রিগো, লেস্টারের ড্রিউসবেরি হল, নটিংহাম ফরেস্টের লিনগার্ড, উলভসের পডেন্স বা গিবস-হোয়াইট। গত মৌসুমে ওয়েস্ট হামের বেনরাহমা যেমন চমকে দিয়েছিলেন, এবার সেরকম কে হবেন সেটাই বড় প্রশ্ন।

     

    জেসুস, হালান্ড, কেইন ছাড়া অপশন কই?

    এবার তিন স্ট্রাইকার নিয়ে দল সাজাচ্ছেন কম ফ্যান্টাসি প্লেয়ারই। স্ট্রাইকারদের মধ্যে জেসুস সবচেয়ে এগিয়ে। আর্সেনালের ফরোয়ার্ডের ওনারশিপ এর মধ্যেই এফপিএলের সর্বকালের রেকর্ড গড়ে ৭৩ শতাংশ হয়ে গেছে। হালান্ড ও কেইন আছে এরপরেই। কিন্তু তারপর বাজেট এনাবলার হিসেবে লিডসের স্যাম গ্রিনউড এগিয়ে। যাকে হয়তো বেঞ্চেই বসে থাকতে হবে। এ ছাড়া লিভারপুলের ডারউইন নুনেজকে নিয়ে আগ্রহ থাকলেও বাকিদের অনেকেই নিচ্ছেন না। বাজেট স্ট্রাইকারদের মধ্যেও সেরকম কাউকে নিয়ে আগ্রহ চোখে পড়ছে না। সেক্ষেত্রে ১ বা ২ স্ট্রাইকার নিয়েই একাদশ সাজাচ্ছেন সবাই।

     

     

    ফিক্সচার না ফর্ম?

    ফ্যান্টাসিতে সবসময় যে প্রশ্ন থাকে, ফিক্সচার নাকি ফর্ম, কার ওপর জোর দেওয়া উচিত। প্রিসিজনে অনেক দল ভালো করলেও প্রথম দিকে সুবিধাজনক ফিক্সচার নেই তাদের। আবার আগের এফপিএলে যাদের ইতিহাস ভালো, তাদের ফিক্সচার ভালো না থাকলেও কি নেওয়া উচিত? এবার অবশ্য লিভারপুল, সিটি, আর্সেনাল সবারই শুরুর ফিক্সচার ভালো। চেলসি,  ম্যান ইউনাইটেড, টটেনহামেরটা তুলনামূলক কঠিন হলেও একেবারে খারাপ নয়। এর বাইরে দলগুলোর মধ্যে উলভস, ভিলা, লিডস শুরুর দিকে নেওয়ার জন্য ভালো অপশন হতে পারে। নেতোর প্রিসিজনের ফর্মের সাথে ফিক্সচার মিলেই তাকে নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। তাই এই দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে পারাটাই সবচেয়ে কঠিন কাজ।

    লিভারপুল, সিটির ট্রিপল আপ?

    লিভারপুলের যে ফিক্সচার, তাতে এই দল থেকে অনেকেই অন্তত দুইজন নিচ্ছেন। সালাহ ও ট্রেন্ট এগিয়ে আছেন স্বাভাবিকভাবেই। প্রশ্ন হচ্ছে, তৃতীয় এসেট কে? লুইজ দিয়াজ ও নুনেজ দুইজন এখানে এগিয়ে আছেন। নুনেজ শিল্ডে গোল পেলেও প্রথম ম্যাচে একাদশে থাকবেন কি না নিশ্চিত নয়। দিয়াজ ভালো অপশন, তবে শিলদে তাকে সেরকম গোল করার অবস্থায় দেখা যায়নি। রবার্টসন প্রমাণিত ফ্যান্টাসি সেট, লিভারপুল থেকে তিনি হতে পারেন তৃতীয় পছন্দ। সিটির ক্ষেত্রে ক্যান্সেলো-হালান্ড এগিয়ে, তবে এর বাইরে চট করে বলার উপায় নেই। ওয়াকার, এডারসন ডিফেন্স থেকে আসতে পারেন, কিন্তু মিডে মাহরেজ, গ্রিলিশ, ফোডেনের মধ্যে রোটেট হতে পারে। কেভিন ডি ব্রুইনের দাম অনুযায়ী তাকে অনেকেই নিচ্ছেন না, তবে সবাই জানে কেডিবি হতে পারেন বড় ডিফারেনশিয়াল।

     

    ফর্মেশন কেমন হবে?

    এখন পর্যন্ত এবার ৪-৪-২, ৫-৪-১, ৫-৩-২ এসব ফর্মেশন বেশি জনপ্রিয় দেখা যাচ্ছে। গত মৌসুমে যেহেতু ডিফেন্ডারদের পয়েন্ট আউটপুট বেশি ছিল, এবারও ডিফেন্স হেভি টিম বেশি দেখা যাচ্ছে। যারা এক ফরোয়ার্ড নিয়ে খেলছেন, তাদের মূল সমস্যা হচ্ছে কোনো কারণে তিনি না খেললে তার জায়গায় বেঞ্চ থেকে অন্য ফরোয়ার্ডের পয়েন্ট পাওয়ার সম্ভাবনা কম। সেকারণে ৪-৪-২বা ৫-৩-২ হতে পারে শুরু করার জন্য নিরাপদ পছন্দ।

    ওয়াইল্ডকার্ড বা চিপ কখন?

    এবার সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে, বিশ্বকাপের ঠিক পরেই একটি ওয়াইল্ডকার্ডে আনলিমিটেড ট্রান্সফার পাওয়া যাবে। যারমানে প্রথম ওয়াইল্ডকার্ড খেলে ফেলতে হবে প্রথম ১৬ গেমউইকের আগে। সেক্ষেত্রে অষ্টম বা নবম গেমউইক হতে পারে ওয়াইল্ডকার্ড ব্যবহার করার জন্য ভালো সময়। অনেকে অবশ্য পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে এর আগেও খেলতে পারে। যেহেতু শুরুর দিকে ডাবল গেমউইক নেই, তাই ফ্রি হিট, বেঞ্চ বুস্ট বা ট্রিপ ক্যাপ্টেন সবাই হয়তো পরের দিকের জন্যই রাখতে পারেন।চ