• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    লেভাকে নিয়েও বায়ার্নের সামনে অসহায় বার্সা

    লেভাকে নিয়েও বায়ার্নের সামনে অসহায় বার্সা    

    বায়ার্ন মিউনিখ ২:০ বার্সেলোনা 


    বিগত কয়েক বছরে মাঠের ফুটবলে বার্সেলোনা কিছুটা ভুগলেও বায়ার্ন মিউনিখের মতো আর কোনো দলের সামনে ধারাবাহিকভাবে অসহায়ত্ব বরণ করতে দেখা যায়নি তাদের। কাতালানদের বিপক্ষে বায়ার্নের সর্বশেষ চার ম্যাচের ফলাফল ছিল ৩-০, ৩-০, ৮-২, ৩-২। সেই ধারা মেনে মঙ্গলবার আলিয়াঞ্জ এরিনায় আবারও জয় তুলে নিয়েছে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। এবারের স্কোর ২-০। 

    নতুন প্রেসিডেন্ট ও নতুন ম্যানেজারের আগমন, এবং দলবদল বাজারে মোটা অঙ্ক খরচ করে গত এক বছরে আবার নতুন রূপে ফিরেছে বার্সা। জাভির অধীনে বার্সা-সুলভ ফুটবল খেলে লিগে প্রতি সপ্তাহে ম্যাচও জিতে যাচ্ছে ক্লাবটি। বায়ার্নের মাঠেও সেই উদ্যম নিয়েই পা রেখেছিল বার্সা। 

    আলিয়াঞ্জ এরিনায় ইতিবাচকভাবেই ম্যাচ শুরু করে বার্সা। প্রথম ৩০ মিনিটে কয়েকটি দুর্দান্ত সুযোগও তৈরি করে সফরকারীরা। লেভানডফস্কির হেড ও গাভির শট বাইরে দিয়ে যাওয়ার পর ওয়ান-অন-ওয়ানে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নিয়ে একটি পরিষ্কার সুযোগ নষ্ট করেন উসমান ডেম্বেলে। ২৬ মিনিটে লেভার কাট-ব্যাক থেকে রাফিনহার নেওয়া শটও অল্পের জন্য বাইরে দিয়ে যায়। 

    বার্সেলোনার ইতিবাচক ফুটবল ও হাই প্রেসের সামনে প্রথমার্ধে ছন্দে খেলতে না পারলেও দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের চেহারা বদলে দেয় বায়ার্ন। ৫০ মিনিটে সানে উইং থেকে ভিতরে ঢুকে শট নেওয়ার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। তার পাঠানো বল মানে, মুলার, কিমিখ হয়ে যায় গোয়ের্জকার পায়ে। এই জার্মান মিডফিল্ডারের নেওয়া শট টার স্টেগান ফিরিয়ে দিলেও কর্নার পায় বায়ার্ন। সাবিটজারের নেওয়া সেই কর্নারে হেড করে বল জালে জড়ান লুকাস হার্নান্দেজ। 

    তিন মিনিটের মাঝে ব্যবধান দ্বিগুণ করে স্বাগতিকরা। এবার মধ্যমাঠ থেকে বল নিয়ে বার্সার রক্ষণের দিকে এগুতে থাকেন মুসিয়ালা। দুজন বার্সা খেলোয়াড়কে পাশা কাটিয়ে সামনে রান নেওয়া সানেকে পাস দেন তিনি। দুই সেন্টারব্যাকের মাঝ দিয়ে দৌড়ে গিয়ে আলতো ছোঁয়ায় গোল করেন সানে। 

    জেগে উঠা আলিয়াঞ্জ এরিনায় পরের দশ মিনিটে আরও দুটি বড় সুযোগ তৈরি করে বায়ার্ন। কিন্তু এবার লক্ষ্য খুঁজে পাননি সানে ও মুসিয়ালা। 

    ৬৩ মিনিটে ম্যাচে ফেরার দুর্দান্ত একটি সুযোগ পায় বার্সা। পেদ্রি-লেভানডফস্কির টিকি-টাকাসুলভ পাসিংয়ে আক্রমণে উঠে তারা। পেদ্রির সর্বশেষ পাসে বক্সের ভেতর ফাঁকা বল পেয়ে যান লেভা। কিন্তু এই বর্ষীয়ানের নেওয়া শটও বাইরে দিয়ে যায়। বাকি সময়ে বার্সা ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করলেও কেউ নয়্যারকে আর ভোগাতে পারেনি। যে কারণে ২-০ ব্যবধানেই শেষ হয় ম্যাচ। 

    প্রতিবারের মতো শেষ ফলাফল পরাজয় হলেও এই হার থেকে কিছু ইতিবাচক দিক নিয়ে ফিরবে বার্সা। শ্যুটিং ব্যতীত বাকি ফুটবলে ভালোই মুন্সিয়ানা দেখাতে সক্ষম হয়েছে জাভির শিষ্যরা। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে চাপে পড়লে এই বদলে যাওয়া বার্সাও উতরাতে পারবে কি না, সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।