হালান্ড ডার্বিতে ব্যবধান গড়লেন সেই হালান্ডই
এটা যেন হবারই ছিল। পুরো ম্যাচে প্রায় অদৃশ্য হয়ে থাকা আর্লিং হালান্ড একমাত্র সুযোগ থেকে গোল করে হারালেন তার সাবেক ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে। হালান্ডের মতোই চিরাচরিত ভঙ্গিমায় শেষ দশ মিনিটের ঝড়ে ২-১ গোলের কামব্যাক সম্পন্ন করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দিনের অপর ম্যাচে মেসি-নেইমার-এমবাপের গোলে জয় পেয়েছে পিএসজি। জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ, পিএসজি, বেনফিকা, ও নাপোলিও।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধটা কাটে ম্যাড়ম্যাড়ে ফুটবলে। মাঠে দর্শকদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সাড়া না পাওয়ার কারণে বা অন্য যেকোনো কারণেই হোক, প্রথমার্ধে সিটির ফুটবলে স্বাভাবিক ছন্দ ও ক্ষিপ্রতার দেখা মেলেনি। যে কারণে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে ডর্টমুন্ড একের পর এক আক্রমণ করে ইতিহাদ স্টেডিয়ামকে আরও নিশ্চুপ করে দিতে সক্ষম হয়। ৫৬ মিনিটে মার্কো রয়েসের ক্রস থেকে সিটি রক্ষণকে বোকা বানিয়ে গোলও করে বসেন জুড বেলিংহাম।
কিন্তু এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গেই সঙ্গেই আক্রমণে আসা বন্ধ করে দেয় ডর্টমুন্ড। আর পিছিয়ে পড়া সিটি হঠাৎ করেই যেন জেগে উঠে।
প্রিমিয়ার লিগে প্রায় সপ্তাহেই এরকম চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয় সিটির। এবং প্রায় প্রতিবারই ঠাণ্ডা মাথায় কামব্যাক করে তিন পয়েন্ট কুড়াতে সক্ষম হয় গার্দিওলার শিষ্যরা। চাপের মুখে সিটি খেলোয়াড়দের পরিপক্বতা চোখে পড়ে এ ম্যাচেও। ম্যাট হুমেলস-নিকোলাস সুলেরা জানেপ্রাণে ডিফেন্ড করে গেলেও আক্রমণে নিজেদের সৃজনশীলতা দেখানো বন্ধ করে না সিটিজেনরা। এরপরও যখন ডর্টমুন্ডের রক্ষণকে ভাঙতে সক্ষম হচ্ছিলেন না ডি ব্রুইনারা, তখন দলের জন্য আশীর্বাদ হয়ে উপস্থিত হন জন স্টোনস। ৮০ মিনিটে সবাইকে অবাক করে দিয়ে ডি বক্সের বাইরে থেকে দূরপাল্লার এক শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন এই ইংলিশ ডিফেন্ডার। সমতায় ফেরে সিটি।
হুমেলসদের কড়া মার্কিংয়ের কারণে পুরো ম্যাচে তেমন বলের দেখাই না পাওয়া হালান্ড তিন মিনিটের মাথায় করেন আরেক ওয়ান্ডার গোল। ৮৩ মিনিটে মাঠের বাঁপাশ থেকে ক্রস করেন জোয়াও ক্যান্সেলো। ডর্টমুন্ডের দুই ডিফেন্ডারের মাঝখান দিয়ে এগিয়ে তাদের মাথা অবধি লাফ দিয়ে আলতো ছোঁয়ায় শট করেন হালান্ড। তার এই সেকেন্ডের প্রচেষ্টাতেই শেষ পর্যন্ত জয় নিশ্চিত হয় সিটির।
এদিকে ইসরায়েলি দল ম্যাকাবি হাইফার বিপক্ষে জয় পেয়েছে পিএসজি। যদিও ইসরায়েলের স্যামি ওফার স্টেডিয়ামে প্রথম গোল পেয়েছিল স্বাগতিকরাই। ২৪ মিনিটে টাইরন চেরির গোলে স্বাগতিকরা এগিয়ে যাওয়ার পর ৩৭ মিনিটে পিএসজির হয়ে সমতা ফেরান লিওনেল মেসি। দ্বিতীয়ার্ধে কিলিয়ান এমবাপেকে দিয়ে দলের দ্বিতীয় গোলটি করান এই আর্জেন্টাইন। ৮৮ মিনিটে মার্কো ভেরাত্তির লং বল থেকে দলের তৃতীয় গোল করেন নেইমার। দিনের অপর ম্যাচে ফেদে ভালভার্দে ও মার্কো আসেন্সিওর গোলে আরবি লাইপজিগকে হারিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ।