বাবা-ছেলের একই দিনে ইতিহাস!
কাকতালীয় শব্দটা ফুটবলে বহু ব্যবহারে একটু ক্লিশে হয়ে গেছে। তবে পিটার স্মেইকেলের পথ ধরে ছেলে ক্যাসপার স্মেইকেল যা করলেন,তাতে এই শব্দটাও যেন একটু কম হয়ে যাচ্ছে!
২মে, ১৯৯৩। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ শুরু হয়েছে মাত্র এক মৌসুম আগে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড পুরো মৌসুমেই খেলেছে দাপটের সঙ্গে। ১লা মে-তে ইপসউইচকে ২-১ গোলে হারিয়ে শিরোপার আরেকটু কাছাকাছি চলে গেল রেড ডেভিলরা। পরের দিন দুইয়ে থাকা ব্ল্যাকবার্ন রোভার্স পয়েন্ট হারালেই তারা চ্যাম্পিয়ন। শেষ পর্যন্ত ব্ল্যাকবার্ন ঠিকই পয়েন্ট হারাল। ওই সময় ইউনাইটেডের গোলপোস্টের নিচে অতন্দ্র প্রহরী ছিলেন পিটার স্মেইকেল। দলের প্রিমিয়ার লিগ জয়টা উদযাপন করেছিলেন ম্যাচ না খেলেই।
কী অবিশ্বাস্য, ২৩ বছর পর ঠিক এই ২ মে-তেই আরেকটা ইতিহাস লেখা হলো ছেলে ক্যাসপারের হাত ধরে। বাবার মতো এদিন ছেলেরও ম্যাচ ছিল না, প্রতিপক্ষের দিকেই তাকিয়ে ছিলেন চ্যাম্পিয়নশিপ নিশ্চিত হবার জন্যে। টটেনহামের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে চেলসি সেই উপলক্ষ্য এনে দিল লেস্টার সিটিকে।
আরো অবিশ্বাস্য হলো, ১৯৯৩ সালে পিটারের বয়স ছিল ২৯। আর ছেলে ক্যাসপারও সেই ২৯ বছর বয়সেই লেস্টারকে এনে দিলেন ঐতিহাসিক একটা শিরোপা।
কাকতালীয়, অবিশ্বাস্য, অভাবনীয়- শব্দগুলোও কম হয়ে যাচ্ছে না ?