জাকিরের সেঞ্চুরি, সাকিবের পাল্টা আক্রমণ : এক ঘণ্টাও টিকল না বাংলাদেশ
হাতে ছিল চার উইকেট, নিতে হতো আরও ২৪১ রান। ছিল পুরো একটা দিনও। ভারতের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের পঞ্চমদিন বাংলাদেশের সমীকরণ ছিল এমনই। সেই পথে আর হাঁটা হলো কই? দিনের প্রথম সেশনে এক ঘণ্টাও টিকল না বাংলাদেশ। সিরাজ-কুলদীপরা বাংলাদেশকে গুটিয়ে দিতে সময় নিলেন মাত্র ৪৮ মিনিট। ৩২৪ রানে অল আউট হয়ে সাকিবরা ম্যাচ হারলেন ১৮৮ রানে।
চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের প্রাপ্তি কী? জাকির হাসানের সেঞ্চুরি আর সাকিবের মারকুটে ৮৪। এর বাইরে সেই জীর্ণশীর্ন ব্যাটিং ডিসপ্লেই চোখে লেগেছে প্রতিবারের মতো। লক্ষ্য ছিল ৫১৩ রানের, সেটা গাণিতিকভাবে সম্ভব হলেও সামর্থ্যের বিচারে ধরাছোঁয়ার বাইরেই থাকার কথা ছিল। হয়েছেও সেটাই। তবে জাকির-শান্তর ওপেনিং জুটি কিছুটা হলেও আশার পালে হাওয়া দিয়েছিল।
১২৪ রানের জুটি অবশ্য ভেঙেছে শান্তর অদ্ভুত শটে সিলেকশনে। তিনে ইয়াসির, চারে নামা লিটন; দুজনই ব্যর্থ। মিডল অর্ডারে মুশফিক-লিটনের ডিসমিসালগুলোও টেস্ট ক্রিকেট বিরোধীই বলা চলে। এক প্রান্ত আগলে রেখে ছিলেন অভিষিক্ত জাকির হাসান। চতুর্থ বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে অভিষেকেই সেঞ্চুরি পেয়েছেন তিনি। সেঞ্চুরি ছোঁয়ার কয়েক বল পরই অবশ্য থামতে হয়েছে তাকে।
এর পরের গল্পটা সাকিবের ব্যাটেই লেখা হয়েছে। মাঠে নেমেছেন আক্রমণাত্মক মানসিকতা নিয়েই। অক্ষর প্যাটেলকে এক্ ছক্কা আর চার মেরে শুরু। দিনের শেষটা অবশ্য ধীরেসুস্থেই করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে। এই জুটি হারের ব্যবধান যেমন কমিয়েছে, তেমনি চট্টগ্রাম টেস্টকেও নিয়ে গেছে পঞ্চমদিনে। শেষদিনের সকালের সেশনেও সাকিব হাত খুলে খেলেছিলেন, তাতে বাঁহাতি এই ব্যাটার পেয়েছেন নিজের ৩০তম টেস্ট ফিফটি।
এর আগে প্রথম ইনিংসে পূজারার ৯০, শ্রেয়াস আইয়ারেরে ৮৬, অশ্বিনের ৫৮ ও কুলদীপের ৪০ রানে ৪০৪ রানের সংগ্রহ পেয়েছিল ভারত। তাইজুল-মিরাজ নেন চারটি করে উইকেট। জবাবে ব্যাট করতে নেমে সিরাজ-কুলদীপের দারুণ বোলিংয়ে ১৫০ রানেই থামে বাংলাদেশ। ফলো-অন করানোর সুযোগ থাকার পরেও ভারত দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নেমে শুভমান গিল-পূজারার জোড়া সেঞ্চুরিতে ২৫৮ রানের ইনিংস ঘোষণা করে। লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫১৩।