যে কারণে বাতিল হয়নি মেসির সেই গোল
ফ্রান্সকে হারিয়ে তিন যুগের অপেক্ষা ফুরিয়েছে আর্জেন্টিনার। ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপের শিরোপা তুলে ধরেছে আলিবিসেলেস্তেরা। ফুরিয়েছে লিওনেল মেসির অপেক্ষাও। কিন্তু ফাইনালে মেসির ব্যক্তিগত দ্বিতীয় গোলটি নিয়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়। চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে সেই গোলের মুহূর্তের ছবি। একাধিক ফরাসি গণমাধ্যম দাবি তুলেছে মেসির করা সেই গোলটি অবৈধ বলে। তবে ফাইনালে রেফারির দায়িত্ব পালন করা সাইমন মার্চিনিয়াক বলেছেন মেসির সেই গোল অবৈধ ছিল না।
বিশ্বকাপের দায়িত্ব পালন শেষে নিজের দেশ পোল্যান্ডে ফিরে এক সংবাদ সম্মেলনে সেই গোল আর গোলকে ঘিরে হওয়া সমালোচনা নিয়ে কথা বলেছেন মার্চিনিয়াক। মেসির সেই গোলের বৈধতা নিয়ে কোনো আপত্তি নেই তার। বরং কিলিয়ান এমবাপের দ্বিতীয় গোলের সময় সাত ফরাসি বদলি খেলোয়াড় মাঠে ঢুকে পড়েছিলেন বলে জানান এই পোলিশ রেফারি।
ম্যাচের ১১৮ মিনিটে গোল করেন দলকে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে নেন মেসি। তখন সাইডলাইন থেকে দুই আর্জেন্টাইন বদলি খেলোয়াড় মাঠে ঢুকে পড়েছিলেন বলে অভিযোগ তুলেছে ফরাসি সংবাদমাধ্যম লে’কিপ। এমনকি সেই গোল বাতিলের দাবি এবং ফাইনাল পুনরায় খেলানোর দাবিতে এক পিটিশনে সাক্ষর দিয়েছেন দুই লাখ মানুষ।
এ বিষয়ে মার্চিনিয়াক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ফরাসি গণমাধ্যম এই ছবিটা এড়িয়ে গেছে, আমাদের কাছে এমন একটি ছবি আছে, যেখানে দেখতে পাবেন এমবাপের একটি গোলের সময় সাইডলাইন থেকে ফ্রান্সের সাতজন বদলি খেলোয়াড় মাঠে ঢুকে গিয়েছিল।’ তখন নিজের মুঠোফোনে সেই মুহুর্তের একটি ছবি দেখান মার্চিনিয়াক।
ফিফার নিয়মানুযায়ী গোলের মুহুর্তে কোনো বদলি খেলোয়াড় বা কোচিং স্টাফের সদস্য মাঠে ঢুকে পড়লেই গোল বাতিল হয় না। রেফারি তখনই গোল বাতিল করতে পারবেন, যদি সেই বদলি খেলোয়াড় বা দলের কোনো সদস্যের কারণে যদি মাঠের খেলা বাধাপ্রাপ্ত হয় কিংবা তারা যদি মাঠের খেলায় হস্তক্ষেপ করেন। মেসির গোলের সময় মাঠে ঢুকে পড়া দুই আর্জেন্টাইন ফুটবলার ছিলেন বেশ দূরে, সাইডলাইনের কাছে। অর্থাৎ মাঠের খেলায় তাদের কারণে বিঘ্ন ঘটেনি। সেই কারণেই মেসির গোলটি বাতিল হয়নি।