ব্রিজে চেলসিকে হারিয়ে আবার শিরোপার দৌড়ে গার্দিওলার সিটি
চেলসি ০:১ ম্যান সিটি
ম্যাচের আগে শীর্ষে থাকা আর্সেনালের সঙ্গে ম্যানচেস্টার সিটির পয়েন্ট ব্যবধান ছিল আট। পেপ গার্দিওলা তো বলেই বসেছিলেন, আর্সেনালকে ধরা সম্ভব না। কিন্তু স্টামফোর্ড ব্রিজে ঠান্ডার রাতে সিটিজেনরা আবার প্রমাণ করল কেন তারা সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে সফল ইংলিশ দল (গত পাঁচ মৌসুমে চার শিরোপা)। বৃহস্পতিবার গ্রাহাম পটারের দলকে ট্যাকটিক্সের দাবায় হারিয়ে আবার শিরোপার দৌড়ে নিজেদের ফিরিয়ে আনল গার্দিওলার সিটি।
২০০৮ সাল থেকে, গত ১৪ বছরে ইংলিশ ফুটবলে সিটি ও চেলসির মতো সাফল্য ও শিরোপার দেখা পায়নি আর কোনো দল। নতুন যুগের এই দুই ইংলিশ পরাশক্তির লড়াইও তাই আলাদা তাৎপর্য বহন করে। ২০১৯-২০ মৌসুমে চেলসি সিটিকে হারানোর কারণেই নিশ্চিত হয়েছিল লিভারপুলের শিরোপা। পরের মৌসুমে সিটিকে হারিয়েই আবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতে চেলসি। কিন্তু এরপর আর সিটির বিপক্ষে কোনো জয়ের দেখা পায়নি লন্ডনের ক্লাবটি। সেই ধারা বজায় রইল আজও।
স্টামফোর্ড ব্রিজে ম্যাচের প্রথমার্ধে দুই দলই প্রায় সমানে সমান খেলে। ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই রহিম স্টার্লিং ইনজুরড হয়ে যাওয়ায় তার জায়গায় নামেন পিয়ের এমেরিক অবামেয়াং। ২২ মিনিটে ইনজুরি নিয়ে সরে যান চেলসির আরেক ফরওয়ার্ড ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিক। তবে তার জায়গায় নামা কার্নি চুকুমেকা প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে ডেডলক প্রায় ভেঙেই ফেলেছিল। তার শট বারে লেগে ফিরে না গেলে পণ্ড হতে পারতো হালান্ড-ফোডেনদের সব প্রচেষ্টা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে অবশ্য পরিষ্কার গেমপ্ল্যান নিয়ে নামে সিটি। প্রথম মিনিটে থেকেই একাধারে আক্রমণ চালাতে থাকে তারা। প্রথমার্ধে সুবিধা করতে না পারা কাইল ওয়াকার ও জোয়াও ক্যান্সেলোকে বসিয়ে দেন গার্দিওলা। নাথান আকেকে পাঠান রাইটব্যাক পজিশনে। সেই পজিশন থেকে বরাবরই এটাকিং রান নিতে শুরু করেন আকে। ডি ব্রুইনার ক্রসে হেড করে প্রায় গোলও করে বসেছিল একবার।
তবে গার্দিওলার আরেক দফা পরিবর্তনের আগে সিটির ভাগ্য খোলেনি। ৬০ মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন রিয়াদ মাহরেজ ও জ্যাক গ্রিলিস। এই দুই জনের বদৌলতেই শেষ পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত গোলটির দেখা পায় চ্যাম্পিয়নরা। ৬৩ মিনিটে লেফট উইং থেকে নেওয়া গ্রিলিসের ক্রসে পা ছুঁইয়ে গোল করেন রাইট উইঙ্গার মাহরেজ। বাকি সময়ে চেলসি ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করলেও এডারসনকে খুব একটা চিন্তায় ফেলতে পারেননি হ্যাভার্জরা।
স্টামফোর্ড ব্রিজে সিটির টানা তৃতীয় জয় এটি। এই জয়ে শীর্ষে থাকা আর্সেনালের পাঁচ পয়েন্টের ব্যবধানে চলে এসেছে তারা। অপরদিকে হতাশাজনক এক মৌসুমের মধ্যে থাকা চেলসি ১৭ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে এখন অবস্থান করছে টেবিলের ১০ম স্থানে।