কষ্ট পেয়েছেন গার্দিওলা
মৌসুমের মাঝামাঝিতে ঠিকানা বদলানোর ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই মিউনিখে সময়টা ভালো যাচ্ছে না পেপ গার্দিওলার। নতুন গন্তব্য ম্যানচেস্টার সিটিতে খেলোয়াড় ‘ভাগিয়ে’ নিয়ে যেতে তৎপরতা চালানো, ক্লাবের সাথে প্রতারণা করার মতো অভিযোগ থেকে শুরু করে কেন তাঁকে মনে রাখবে না বায়ার্ন- খবরের শিরোনাম হয়েছে সবই। বিদায়কালে ড্রেসিংরুমে ঝাড়া অসন্তোষও যখন গণমাধ্যমের মুখরোচক গল্পের রসদ হয়ে যাচ্ছে, কাতালান কোচ বলছেন এসবের ফলে তাঁর নয়, ক্ষতিটা হচ্ছে জার্মান চ্যাম্পিয়নদেরই।
পুরনো খবরঃ গার্দিওলাকে ঘিরে 'অস্থির' বায়ার্ন?
স্থানীয় এক দৈনিকের খবর অনুসারে, খেলোয়াড়দের ইনজুরি থেকে সারিয়ে তুলতে অতিরিক্ত সময় নেয়ার দায়ে দলের ফিজিওথেরাপিস্টদের ওপর ক্ষোভ ঝেড়েছেন গার্দিওলা। সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে প্রশ্ন উড়ে গেলে ব্যাপারটা অস্বীকার করেন নি গার্দিওলা। তবে ঘরের খবর বাইরের লোকে জানায় কষ্ট যে পেয়েছেন সেটাও গোপন করছেন না, “যে-ই এসব কথা বাইরে বলেছে, আমাকে আহত করার জন্যই বলেছে।”
অবশ্য এটা যে তাঁর জন্য আর কোনো সমস্যা নয়, বলে রাখছেন সে কথাও, “ড্রেসিংরুমে যা কিছু ঘটে সেসব ড্রেসিং রুমের মধ্যেই থাকা উচিৎ। আমি যেহেতু আগামী মৌসুম থেকে এখানে থাকছি না তাই এটা আমার জন্য আর কোনো সমস্যা নয়, কিন্তু বায়ার্নের জন্য অবশ্যই। গত তিন বছরে এ ধরণের ঘটনা বহুবার ঘটেছে।”
সুযোগ পেয়ে বলে যান গার্দিওলা, “আমার খেলোয়াড়-স্টাফদের সাথে আমি কথা বলবো, ভালোমন্দ মতামত দিবো এসব তো খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু এখানে এমন ব্যক্তি আছে যারা এসব কথা বাইরে বলে বেড়াচ্ছে কারণ তাঁরা আমাকে কষ্ট দিতে চায়। যে বা যারা এসব করছে, সে বা তারা হয়তো আগামী মৌসুমেও এখানেই থাকবে। এবং স্পষ্টতই তারা এটা বুঝতে পারছে না যে এভাবে আসলে আমার নয়, ক্ষতিটা করা হচ্ছে ক্লাবের এবং দলের।”
চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে না পারায় তাঁকে মনে রাখার কোনো কারণ নেই বায়ার্নের- এমন সব মন্তব্যেরও প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন বাভারিয়ানদের বিদায়ী কোচ, “আমি এখানে আমার সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই করেছি। এখন যদি বলেন যে আমাকে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততেই হত, তাহলে তো আমি ব্যর্থই। লিখতে চান তো লিখে ফেলুন, আমি ব্যর্থ।”