• ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২
  • " />

     

    বাংলাদেশের উদযাপন দেখেছেন মেসি, জানিয়েছেন এমবাপের সাথে ফাইনালের পরের গল্প

    বাংলাদেশের উদযাপন দেখেছেন মেসি, জানিয়েছেন এমবাপের সাথে ফাইনালের পরের গল্প    

    বিশ্বকাপের পর লিওনেল মেসি রেডিও আরবানের পর এবার ডায়রিও ওলেকে দিয়েছেন হৃদয় উজাড় করা আরেকটি সাক্ষাৎকার। সেখানেই বলেছেন, বাংলাদেশের আর্জেন্টিনা নিয়ে মাতামাতি চোখে পড়েছে তার। কথা বলেছেন আরও অনেক কিছু নিয়েই। 

    বিশ্বকাপের সময় পুরো বাংলাদেশে শুরু হয়ে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা নিয়ে উন্মাদনা। সেই উন্মাদনার খবর বিশ্বকাপ চলার সময়েই পৌঁছে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা ক্যাম্পে। কোচ লিওনেল স্কালোনি নকআউটে সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসার কথা। তবে লিওনেল মেসি কতটা জানেন, সেটা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। এবার ডায়রিও ওলেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি নিজেই বললেন বাংলাদেশের কথা, 'হ্যাঁ, আমি সবকিছু জানি। দেখেছিও (বাংলাদেশের উদযাপন)। পুরো দেশ যে আমাদের জার্সিতে ছেয়ে গেছে, যেটা সোফি (সাংবাদিক সোফি মার্টিনেজ) আমাকে ফাইনালের আগেই ইন্টারভিউতে বলেছিল। আর্জেন্টিনার ১০ নম্বর জার্সি পুরো বিশ্বে দেখা, অসাধারণ একটা ব্যাপার।'

    প্রশ্ন উঠেছিল ফাইনালের পর মেসি কি এমবাপের সাথে কথা বলেছেন? পিএসজি সতীর্থকে নিয়ে করা এই প্রশ্নেরও উত্তর দিয়েছেন মেসি, 'হ্যাঁ, আমরা ম্যাচের পর আর্জেন্টিনাতে কেমন উদযাপন করেছি, ছুটি কীভাবে কাটিয়েছি এসব নিয়ে কথা বলেছি। এর বেশি কিছু নয়।'

    মেসি বলেছেন, ক্যারিয়ার শেষে ফিরে যেতে যান বার্সায়, কারণ সেটাই তার ঘর। বিশ্বকাপ শেষে পিএসজিতে ফিরে সতীর্থদের কাছ থেকে গার্ড অনার পেয়েছিলেন। যদিও বড় কোনো কিছু ঘটা করে দেওয়া হয়নি, তবে যেটা পেয়েছেন সেটা নিয়েও খুব উচ্ছ্বসিত নন মেসি, 'আমি আসলে এসব ঠিক পছন্দ করি না। এভাবে সবার মনযোগের কেন্দ্রে থাকলে আমার অস্বস্তি লাগে। অবশ্যই ওরা যেটা করেছে সেটা খুবই সুন্দর, দারুণ একটা ব্যাপার।'

    মেসি বলেছেন, ফাইনালের সবকিছু রেখে দিয়েছেন নিজের কাছে, 'আমি ফাইনালের সবকিছু রেখে দিয়েছি নিজের কাছে। বুট, টি শার্ট থেকে শুরু করে সবকিছু। ওখানে যা আছে সব ফেডারেশনের সম্পদ। তবে আমার নিজের স্মৃতিগুলো আমি মার্চে বার্সেলোনায় নিয়ে যেতে চাই। '

    ২০২৬ বিশ্বকাপ নিয়ে এখনো জানেন না মেসি, 'আমি এখনো বলতে পারছি না। হ্যাঁ, আমি আরও কিছুদিন জাতীয় দলের হয়ে খেলা চালিয়ে যেতে চাই। আমি আগেই বলেছি পরের বিশ্বকাপে খেলাটা হবে খুব খুব কঠিন। আমি ফুটবল ভালোবাসি, কিন্তু নিজের শারীরিক অবস্থাও বুঝতে হবে আমাকে। আমি চাইব যেন আমি এটা উপভোগ করি। তবে কাজটা খুব কঠিন। বয়স ৩৬ হয়ে যাবে আমার, ক্যারিয়ার কোথায় যাচ্ছে সেটাও আমাকে দেখতে হবে।'

    সবশেষে ধন্যবাদ দিয়েছেন ঈশ্বরকে, 'আমি নিশ্চিত ছিলাম ঈশ্বর আমাকে একটা বিশ্বকাপ উপহার দেবেন। জানি না কেন, এটা নিয়ে ভেতরে ভেতরে একটা বিশ্বাস ছিল আমার। ঈশ্বরই ঠিক করেছেন আমার জন্য এই মুহূর্তটা আসবে।'