দুর্দান্ত ইনিংসের পর বাংলাদেশের চেনা কন্ডিশনে খেলার কৃতিত্ব দিলেন মালান
বলতে গেলে বাংলাদেশের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়েছেন একাই। মিরপুরে প্রথম ওয়ানডে ডাভিড মালানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতেই ইংল্যান্ড পেয়েছে লো স্কোরিং ম্যাচে ৩ উইকেটের জয়। এই বাংলাদেশ অবশ্য মালানের বেশ চেনা, ডিপিএল থেকে বিপিএল- এই দেশে খেলে গেছেন নানা ফরম্যাটে। বাংলাদেশে খেলার এই অভিজ্ঞতার কথাই বললেন ম্যাচ শেষে।
২০১৩-১৪ সালে প্রথম প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলেছিলেন মালান। পরের বছর খেলেন আবার, সব মিলে খেলেছেন ২৪টি ম্যাচ। এরপর বিপিএলে খেলেছেন কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স, বরিশাল বুলস ও সর্বশেষ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে। সব মিলে বাংলাদেশে খেলেছেন ৫২ ম্যাচ, এর মধ্যে ২৭টিই মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। তবে ইংল্যান্ডের হয়ে এই প্রথম খেললেন বাংলাদেশে।
কাল ম্যাচ শেষে বাংলাদেশে খেলার এই অভিজ্ঞতার কথা বললেন এই ব্যাটসম্যান, ‘প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে দুই মৌসুম খেলাটা ছিল দারুণ একটা অভিজ্ঞতা। এটা আমার কাজে দিয়েছে। ইংল্যান্ডে আপনাকে স্কয়্যারে অনেক বেশি খেলতে হবে। এখানে দিনের বেলা উইকেট অনেক স্কিডি ছিল। পরে এটা ভালো হতে শুরু করে আবার বিকেলে স্লো হয়ে যায়। ইংল্যান্ডে যেভাবে স্পিন খেলেছি, এখানে তার চেয়ে অন্যভাবে খেলতে হয়েছে। ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেলার আগেই এখানে খেলাটা আমার খেলায় অনেক উন্নতি করেছে। ’
২১০ রান তাড়া করে মালান পুরোটা সময় কাল ক্রিজ আঁকড়ে ছিলেন, শেষ পর্যন্ত মাঠ ছেড়েছেন অপরাজিত ১১৪ রানে। মালান ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনে তার খেলার কৃতিত্ব দিলেন, ‘যত বেশি আপনি ভিন্ন কন্ডিশনে খেলবেন, তত আপনার খেলা ভালো হবে। আপনি আগে সফল হন বা ব্যর্থ হন, ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনে খেলাটা সবসময় কাজে দেবে। এখানে ব্যাট করাটা একদমই সহজ ছিল না। কিন্তু ধৈর্য ধরে থাকার পুরস্কার পেয়েছি শেষ পর্যন্ত, বিশেষ করে শেষের দিকে যখন ডিউ ছিল।’
সব মিলে মালান মনে করছেন, এটা তার খেলা সেরা ইনিংসগুলোর একটি, ‘হ্যাঁ, আমার খেলা ইনিংসগুলোর মধ্যে এটাকে শুরুর দিকেই রাখব আমি। সব মিলে বেশ সন্তুষ্টিজনক ইনিংস ছিল এটা।’