রয়ের সেঞ্চুরির সাথে বাটলার-মঈন-কারানে ভর করে ইংল্যান্ডের বড় সংগ্রহ
২য় ওয়ানডে, মিরপুর (টস-বাংলাদেশ/বোলিং)
ইংল্যান্ড- ৩২৬/৭, ৫০ ওভার (রয় ১৩২, বাটলার ৭৬, মঈন ৪২, তাসকিন ৩/৬৬, মিরাজ ২/৭৩, তাইজুল ১/৫৮)
টসে জিতে বোলিং নেওয়ার বিস্ময়কর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তামিম আরও এক বিস্ময় উপহার দিলেন দুই স্পিনার দিয়ে বোলিং শুরু করে। পিচে কোনও স্পিন সহায়তা না দেখে দ্রুতই চতুর্থ ওভারে তাসকিন আহমেদকে আনতেই জেসন রয়কে বিপদে ফেলেছিলেন তিনি। স্লিপের পাশ দিয়ে সেবার বল উড়ে চলে গেলে আর পেছন ফিরে তাকাননি রয়। অন্য প্রান্তে থাকা ফিল সল্টকে সেই স্লিপেই তালুবন্দি করে তাসকিনই এনে দিয়েছেন প্রথম শিকারের ঘ্রাণ। শুধু তাই নয়, রয় ও উইকেটে নবাগত ডাভিড মালানকেও বেশ কয়েকবার খাবি খাইয়েছেন। তবে মাটি কামড়ে পরে থেকে, সুযোগ বুঝে বাউন্ডারি বের করে নিয়ে ৫৪ বলেই ফিফটি তুলে নেন রয়। তাইজুলের করা ১৫তম সেই ওভারে তিনি ১৬ রান তুলে গিয়ার পরিবর্তনের ইঙ্গিতটাও দিয়ে রাখেন। স্রোতের বিপরীতে পরের ওভারে দারুণ এক অফ স্পিনিং ডেলিভারিতে ১১ রানে থাকা মালানকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে ম্যাচ বাংলাদেশের দিকে ফেরানোর সুযোগ করে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
মালানের বিদায়ের সুযোগ নিয়ে দারুণ এক স্পেলে মিরাজ-তাইজুল বেঁধে রাখেন ইংলিশদের। উইকেটে এসে ধুঁকতে থাকা জেমস ভিন্সকে সেই চাপের সুযোগ নিয়েই ৫ রানে ফেরান তাইজুল। তবে সেই উইকেটটা যেন ইংল্যান্ডের জন্য শাপেবর হয়েই এসেছিল। জস বাটলার উইকেটে এসে সুইপ, রিভার্স সুইপের পসরা বসিয়ে বাংলাদেশের বোলিং ছত্রভঙ্গ করলেন, সেই সাথে রয়কেও সুযোগ করে দিলেন হাত খোলার। সেই সুযোগ দুহাত ভরে নিয়ে ১০৪ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রয়, যেটা তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১২তম ও বাংলাদেশের বিপক্ষে ২য়। সেঞ্চুরির পর বাটলারলে সঙ্গী করে বাউন্ডারি উৎসবে মাতেন; বাজে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশও তাদের উপহার কম দেয়নি। তারই মাঝে তার প্রিয় সুইপ খেলতে গিয়েই সাকিবের পাতা এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি, শেষ হয় ১২৪ বলে ১৩২ রানের দারুণ এক ইনিংস। পরের ওভারেই উইল জ্যাকসকে ১ রানেই ফিরিয়ে ইংল্যান্ডের লাগাম টেনে ধরার সুযোগ তৈরি করেছিলেন তাসকিন। তবে সেই সুযোগ ভেস্তে ৫০ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন বাটলার। ৪৪তম ওভারে মিরাজকে টানা দুইবার মাঠছাড়া করে বাটলার যখনই মরণ কামড় দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন তখনই ঠিক পরের বলে মিরাজের দুর্দান্ত ফিরতি ক্যাচে থামেন তিনি, ৬৪ বলে ৭৬ রান শেষে।
অবশ্য বাটলার যেটা শেষ করে যেতে পারেননি সেটা করে দিয়েছেন মঈন আলী। সেই মিরাজকেই পরে এক ওভারে মেরেছেন দুই ছয়। ৪৮তম ওভারে তাসকিনকে পেয়ে বাউন্ডারি দিয়ে শুরু করলেও তাসকিনের নিচু হয়ে আসা পায়ের ওপরের বলে বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়ে তিনি থামেন ৩৫ বলে ৪২ রানের ইনিংস শেষে। মঈন যেখানে শেষ করেছেন সেখান থেকেই আক্রমণের ব্যাটন তুলে নিয়ে কাজটা সেরেছেন স্যাম কারান। তাসকিনের শেষ ওভারে মেরেছেন টানা দুই ছয়, সেই সাথে ১৯ বলে ৩৩* রান করে ইংল্যান্ডকে এনে দিয়েছেন বাংলাদেশের মাটিতে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।