ধবলধোলাইয়ের শংকার সাথে শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সামনে যে অশনী সংকেত
টেস্ট আর টি-টোয়েন্টিতে যেমনই হোক, ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সংসারটা সাজানো গোছানোই ছিল। দেশের মাটিতে ২০১৬ সালের পর এই সিরিজের আগ পর্যন্ত হারেনি, এমনকি গত বছর বিদেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আছে সিরিজ জয়ের কীর্তি। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেটাই হয়ে গেল এলোমেলো। শেষ ওয়ানডের আগে বাংলাদেশ বার্তা পেল, সামনের বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের পথটা সহজ নয়।
প্রথম দুই ওয়ানডেতে দুই রকম উইকেটে খেলেছে বাংলাদেশ। মিরপুরে প্রথম ওয়ানডেতে ছিল মন্থর উইকেট, যেটাকে বলা হয় পুরোপুরি মিরপুরীয় উইকেট। সেই ম্যাচে তাও লড়াই করেছে বাংলাদেশ, কিন্তু পরের ওয়ানডেতে তুলনামূলক ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে একরকম অসহায় আত্মসমর্পণই করেছে বাংলাদেশ। তৃতীয় ওয়ানডের আগে সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা রঙ্গনা হেরাথ অবশ্য আশাবাদী, বাংলাদেশ ধবলধোলাই ঠেকিয়ে দিতে পারবে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, চট্টগ্রামের উইকেট আদর্শ ওয়ানডে উইকেটের মতোই হতে পারে। হেরাথও বললেন, মিরপুরের চেয়ে চট্টগ্রামে স্পিনাররা সহায়তা কম পাবেন।
তবে বিশ্বকাপের আগে এই ম্যাচের গুরুত্ব বাংলাদেশ দলের কাছে অন্যখানে। ধবলধীলাই এড়ানোর জন্য তো বটেই, যে অভিজ্ঞতা দেশের মাটিতে গত ১০ বছরে হয়নি বাংলাদেশ। সর্বশেষ ২০১৪ সালে ভারতের বিপক্ষে সিরিজে কোনো ওয়ানডে জিততে পারেনি বাংলাদেশ।
তবে হেরাথ আপাতত ধবলধোলাইয়ের চেয়েও বড় চিন্তা করছেন। এই ম্যাচটা দেখছেন বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি হিসেবে, 'এটা তো একটা ম্যাচ। এরপর আরও অনেক ম্যাচ আছে, এরপর আয়ারল্যান্ড আছে, আফগানিস্তান আছে, এই ম্যাচটা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বকাপের আগে আরও অনেক ম্যাচ আছে।'
ধবলধোলাইয়ের চেয়েও তাই চিন্তার করার আরও কারণ আছে বাংলাদেশের।