• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    নিজেদের অবাক করে দিয়ে চেলসির ডর্টমুন্ড-বধ

    নিজেদের অবাক করে দিয়ে চেলসির ডর্টমুন্ড-বধ    

    চেলসি (২) ২:০ (১) বরুশিয়া ডর্টমুন্ড


    বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে হারানোটা তেমন কঠিন হবার কথা ছিল না। ঘরের মাঠে মাত্র দুই গোলের জয় দরকার ছিল চেলসির। কিন্তু অদ্ভুতুড়ে ব্যাপার হচ্ছে, গ্রাহাম পটারের দল তাদের সর্বশেষ সাত ম্যাচে মোট গোল করেছে মাত্র দুটি। তাই রহিম স্টার্লিং ও কাই হ্যাভার্জের গোল, এবং কুলিবালিদের ক্লিনশিট রাখাটা এক অর্থে স্মরণীয় এক পারফরম্যান্সই চেলসির জন্য।

    চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে এই স্মরণীয় পারফরম্যান্স দিয়েই ডর্টমুন্ডকে কোনোভাবে হারিয়েছে লন্ডনের ক্লাবটি, নিশ্চিত করেছে কোয়ার্টার ফাইনাল। দিনের অপর ম্যাচে ক্লাব ব্রুজকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বেনফিকা।

    স্টামফোর্ড ব্রিজে এদিন শুরু থেকে ইতিবাচক ফুটবল খেলে চেলসি। প্রথমার্ধে হ্যাভার্জ দুবার গোলবঞ্চিত হন। ২৮ মিনিটে তার শট বারে লেগে ফিরে আসে। ১০ মিনিটে পর তার অপর শট বারে লেগে ভিতরে ঢুকলেও বিল্ড-আপে স্টার্লিংয়ের অফসাইডের জন্য বাতিল হয় সেই গোল।

    তবে শেষ পর্যন্ত ডেডলক ভাঙেন স্টার্লিংই। ৪৩ মিনিটে চিলওয়েলের ক্রসে সরাসরি শট নিতে গিয়ে মিসহিট করেন এই ২৮ বছর বয়সী। তবে বলের নিয়ন্ত্রণ হারাননি তিনি। সামনে থাকা মার্কো রয়েসকে কাটিয়ে বক্সের আরেকটু ভিতরে ঢুঁকে ডান পায়ের শটে গোল করেন স্টার্লিং। অ্যাগ্রিগেটে সমতা ফেরায় চেলসি।

    দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই একটি পেনাল্টি উপহার পায় চেলসি। চিলওয়েলের ক্রসে হাত লাগিয়ে বসেন ম্যারিয়াস উলফ। ভিএআরের পরামর্শে পাওয়া এই পেনাল্টি নিতে যান কাই হ্যাভার্জ। প্রথমার্ধে দুবার পোস্টে বল লাগানো হ্যাভার্জের পেনাল্টিও ফিরে আসে পোস্টে লেগে। তবে আবারও চেলসির ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হয় ভিএআর। এবার দেখা যায়, হ্যাভার্জ তার স্পট-কিক নেওয়ার আগেই বক্সে ঢুঁকে গিয়েছিল কিছু ডর্টমুন্ড খেলোয়াড়। যে কারণে আবার পেনাল্টি নেওয়ার সুযোগ পান হ্যাভার্জ। এবার আর ভুল করেননি এই জার্মান ফরওয়ার্ড। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় চেলসি।

    তারপর ম্যাচের বাকি সময়ে একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে যেতে থাকা ডর্টমুন্ড। ফরওয়ার্ডরা এদিন তেমন কিছু করতে না পারলেও বেলিংহাম-উলফরা দলকে সমতা ফেরানোর খুব কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত যদিও গোলবিহীন অবস্থাতেই ম্যাচ শেষ করে জার্মান দলটি। দুর্দান্ত ছন্দে থাকা ডর্টমুন্ডের জন্য বছরের প্রথম পরাজয় এটি। আর চেলসির জন্য ১৩ ম্যাচে তৃতীয় জয়।