লাইপজিগকে 'সেভেন আপ' খাইয়ে হালান্ডের গোলমেশিনে চড়ে কোয়ার্টারে সিটি
ম্যান সিটি (৮) ৭:০ (১) আরবি লাইপজিগ
লিগে দারুণ ছন্দে থাকা লাইপজিগ প্রথম লেগে ড্র করে কিছুটা লড়াইয়ের আভাস দিলেও ইতিহাদ স্টেডিয়ামে দাঁড়াতেই পারল না জার্মানি দলটি। প্রথমার্ধেই নকআউটের সকল উত্তেজনা কেড়ে নিয়ে লাইপজিগকে গোলবন্যায় ভাসিয়েছে পেপ গার্দিওলার ম্যান সিটি। ৭-০ গোলের এই বিশাল জয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসে ঘরের মাঠে সিটির সবচেয়ে বড় জয়। আর্লিং হালান্ডের ক্যারিয়ারেরও সবচেয়ে বড় রাত ছিল এটি। সব গোলের রেকর্ড ভেঙে চলা এই ২২ বছর বয়সী ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো এক ম্যাচে পাঁচ গোল করেছেন।
শুরু থেকেই লাইপজিগের উপর চড়াও হওয়া সিটি ম্যাচের প্রথম ব্রেকথ্রু পায় ২০তম মিনিটে, ভিএআরের বদৌলতে। সিটির আক্রমণের সময়ে বক্সের ভেতর হাত দিয়ে একটি ক্রস আটকে দিয়েছিলেন লাইপজিগ ডিফেন্ডার বেনজামিন হেনরিকস। সেই হ্যান্ডবল মাঠের রেফারি না দেখলেও ভিএআরের পরামর্শে পরবর্তীতে সিটিকে পেনাল্টি দেন তিনি। পেনাল্টি জালে জড়িয়ে সিটির গোলউৎসব শুরু করেন হালান্ড।
দুই মিনিটের মধ্যেই আরেকটি গোল করেন হালান্ড। এবার ডি ব্রুইনার শট বারে লেগে ফিরে আসলে তাতে হেড করে স্কোর ২-০’তে নিয়ে যান তিনি।
প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ম্যান সিটি নাম্বার নাইন। এই গোলটিও বলতে গেলে কুড়িয়ে পাওয়া গোলই। ডি ব্রুইনার কর্নার থেকে রুবেন ডিয়াজের হেড পোস্টে লেগে গোললাইন ধরে এগুতে শুরু করে। গোললাইনের সামনে দাঁড়িয়ে না হালান্ড পা ছুঁইয়ে তাকে গোল বানিয়ে দেন।
এই গোলের সঙ্গে সঙ্গে লাইপজিগের ম্যাচে ফেরার একদমই ফিকে হয়ে যায়। ৩-০ ও অ্যাগ্রিগেটে ৪-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় সিটিজেনরা।
দ্বিতীয়ার্ধের চতুর্থ মিনিটেই আবার গোল করে সিটি। এবার বক্সের ভেতর ঢুঁকে একজন ডিফেন্ডারকে পাশ কাটিয়ে বাঁ পায়ে লো শট নিয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন গুন্ডোগান।
৫৩ মিনিটে আবার গোল করেন হালান্ড। এই গোলটিও আসে কর্নার থেকে। হালান্ডের প্রাথমিক হেড গোলরক্ষক ফিরিয়ে দেয়, এরপর আকানজিও চেষ্টা করেন। শেষ পর্যন্ত বল আবার যায় হালান্ডের কাছে, যার ভলিতে স্কোরলাইন ৫-০ হয়।
হালান্ডের পঞ্চম ও সিটির ষষ্ঠ গোলটিও আসে কর্নার থেকে। এবারও আকানজির হেড গোলরক্ষক ফিরিয়ে দেয়, আর ফিরতি বলে শট নিয়ে গোল করেন হালান্ড। সিটির সর্বশেষ গোলটি করেন ডি ব্রুইনা। যোগ করা সময়ে বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের বাঁকানো শটে গোল করেন এই বেলজিয়ান।
দিনের অপর ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করেছে পোর্তো ও ইন্টার মিলান। ১-০ গোলের অ্যাগ্রিগেট নিয়ে তাই কোয়ার্টারে জায়গা করে নিয়েছে ইন্টার- এসি মিলান ও নাপোলির পর ইতালির তৃতীয় দল হিসেবে।