খেলে বিদায় নিল লিভারপুল
রিয়াল মাদ্রিদ (৬) ১:০ (২) লিভারপুল
ঘরের মাঠে ২-৫ গোলে হারার পর দ্বিতীয় লেগে হিসাব উল্টে দেওয়ার চিন্তা করাটাই দোষের। দলটা লিভারপুল বলেই হয়তো অনেকে অসম্ভাব্য কোনো মিরাকলের আশা দেখছিল। কিন্তু প্রতিপক্ষ রিয়াল মাদ্রিদ। লিভারপুলের সব চাপ সামলে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে আরেকটি লড়াকু জয় তুলে নিয়েছে তারা। ১-০ গোলের এই জয়ে অ্যাগ্রিগেট দাঁড়িয়েছে ৬-২, যা ইয়ুর্গেন ক্লপ যুগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লিভারপুলের সবচেয়ে বড় পরাজয়।
প্রথম লেগে ৫-২ গোলের বিশাল জয় পেলেও এই লেগকে মোটেও হালকাভাবে নেয়নি রিয়াল মাদ্রিদ। বরং লিগের চেয়ে এই ম্যাচকেই বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন কার্লো আনচেলত্তি। দ্বিতীয় লেগের পূর্বে এস্পানিওলের বিপক্ষে লা লিগার ম্যাচে করিম বেনজেমা ও অ্যান্টনিও রুডিগারকে শুরুর একাদশ থেকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন মাদ্রিদ ম্যানেজার। যে কারণে এই ম্যাচে পূর্ণ শক্তি নিয়েই নামতে সমর্থ হয়েছে স্বাগতিকরা।
অপরদিকে ম্যাচের আগেরদিন লিভারপুলের দুই মিডফিল্ডার, হেন্ডারসন ও বাইচেটিচ অসুস্থতার জন্য ছিটকে যায়। এক ফ্যাবিনিও ব্যতীত রেগুলার মিডফিল্ডারদের কাউকে না পাওয়া ক্লপ তখন একাদশ গড়েন চার ফরওয়ার্ড নিয়ে। মিডফিল্ডের ফ্যাবিনিওর সঙ্গ দেন ৩৭ বছর বয়সী মিলনার। তবে এই মিডফিল্ড নিয়েও ম্যাচের বড় সময় মাদ্রিদের সাথে টক্কর দিয়ে লড়ে যায় লিভারপুল। প্রথমার্ধে সিংহভাগ আক্রমণ তারাই করে। কিন্তু গোলের সামনে জটা-গাকপো কেউই বিশেষ কিছু উপহার দিতে সক্ষম হননি। মাঠের অপর পাশে রিয়ালের দুটি বড় আক্রমণ- ভিনিসিয়াসের ক্রস থেকে সিক্স ইয়ার্ড বক্সে এসে মিলিতাওয়ের শট ও কামাভিঙ্গার দূরপাল্লার শট ফিরিয়ে দিয়ে লিভারপুলকে ম্যাচে রাখেন অ্যালিসন।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই খেলার গতি কমিয়ে দেয়। নেতিয়ে যাওয়া লিভারপুলকে চাঙ্গা করতে এলিয়ট ও ফিরমিনোকে বদলি নামান ক্লপ। কিন্তু তারাও গোলের সামনে লিভারপুলের ভাগ্য বদলাতে পারেননি।
এরইমধ্যে, ৭৯ মিনিটে এক আক্রমণ থেকে একটি ফ্লুক গোল করে বসে রিয়াল। বল নিয়ে ভিতরে ঢুকার চেষ্টা করা বেনজেমাকে ট্যাকেল করে প্রথমে সরিয়ে দিয়েছিলেন ভ্যান ডাইক। ফিরতি বল বক্সে ঢুকা ভিনিশিয়াসের সামনে গিয়ে পড়লেও তিনি পা পিছলে পড়ে যান। কিন্তু মাটিতে শুয়ে থেকেও বলে টোকা দিয়ে বেনজেমাকে অ্যাসিস্ট করে ফেলেন ভিনি। সাথে সাথে যেন সব সংশয় দূর হয়ে যায় সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে।
রিয়ালের মতোই বড় জয় নিয়ে কোয়ার্টারের টিকিট কেটেছে নাপোলি। ভিক্টর ওমিসহেনের জোড়া গোলে তারা ফ্রাঙ্কফুর্টকে ঘরের মাঠে ৩-০ গোলে হারিয়েছে। অ্যাগ্রিগেট স্কোর দাঁড়িয়েছে ৫-০।