বায়ার্নের "ঈদের সকাল"
সকাল ১১টা বেজে নয় মিনিট। বায়ার্ন মিউনিখ ঘোষণা দিল, বেনফিকা থেকে রেনাটো সানচেজকে দলে ভিড়িয়েছে।
সকাল ১১টা ৪২ মিনিট। আবারও বায়ার্ন মিউনিখের আনুষ্ঠানিক বার্তা দিল, ম্যাট হামেলসের সঙ্গে তারা চুক্তি করেছে।
বায়ার্নের নতুন কোচ কার্লো আনচেলত্তি কার মুখ দেখে ঘুম দেখে উঠেছিলেন কে জানে? এক দিনেই দুইজনকে দলে ভেড়াল বায়ার্ন। দলবদলের মৌসুম শুরুর আগেই বায়ার্নের কেনাকাটা শুরু হয়ে গেল।
হামেলসের দলে ভেড়ানো অবশ্য চমক নয়।কয়েক দিন আগেই ডর্টমুন্ডের প্রতীক হয়ে যাওয়া এই ডিফেন্ডার জানিয়েছিলেন, সামনের মৌসুমে বায়ার্নে খেলতে চান। হামেলসকে আনতে বায়ার্নের ৩ কোটি ৮০ লাখ ইউরো খরচ করতে হয়েছে বলে গুঞ্জন।
তবে রেনাটো সানচেজকে দলে ভেড়ানোটা বড় একটা চমক হয়েই এসেছে। এই বছরের শুরু থেকেই শোনা যাচ্ছিল, বেনফিকার ১৯ বছর বয়সী মিডফিল্ডারকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড দলে ভেড়াবে। দুই পক্ষের মধ্যে কথাবার্তাও নাকি অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ইউনাইটেডের মুখ থেকে একরকম ছিনিয়ে নিয়েই সানচেজকে নিয়ে এলো বায়ার্ন। পর্তুগালের এই ফুটবলারকে আনতে খরচ করতে হয়েছে ৩ কোটি ৫০ লাখ ইউরো। তবে সেটা বেড়ে ৬ কোটি ইউরোতে যেতে পারে বলে গুঞ্জন। সানচেজকে যারা অনুসরণ করছেন, তাঁদের আকছে এত অর্থব্যয় হয়তো খুব বেশি অযৌক্তিক মনে হবে না। গত দুই মৌসুম থেকেই আলো ছড়াচ্ছেন, এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে ১৪ বার করে টেক অন ও ট্যাকল করেছেন। আর কোনো টিনএজার তাঁর আশেপাশেও নেই। এর মধ্যে পর্তুগাল জাতীয় দলেও অভিষেক হয়ে যাচ্ছে। কেন বায়ার্ন এত খরচ করল, তার কিছুটা আঁচ পাওয়া যাচ্ছে।