বাংলাদেশের তিন গতি তারকার আগুনে দগ্ধ আইরিশরা লুটিয়েছে ১০১ রানেই
৩য় ওয়ানডে, সিলেট (টস-আয়ারল্যান্ড/ব্যাটিং)
আয়ারল্যান্ড- ১০১, ২৮.১ ওভার (ক্যাম্ফার ৩৬, টাকার ২৮, ডহেনি ৮, হাসান ৫/৩২, তাসকিন ৩/২৬, এবাদত ২/২৯)
শেষ ওয়ানডেটায় বৃষ্টিকে কোনও সুযোগ না দেওয়ার পণ করেই যেন মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। ২৯তম ওভারেই আইরিশদের গুটিয়ে দিল বাংলাদেশ; আর সেই ধ্বংসযজ্ঞের মূল কারিগর তিন পেসার। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মত তিন পেসার মিলেই নিলেন সব উইকেট। হাসান মাহমুদও পূর্ণ করলেন এক ‘প্রথম’ - পেলেন প্রথমবারের মত ওয়ানডেতে পাঁচ উইকেটের দেখা।
আয়ারল্যান্ডের দুর্বিষহ ব্যাটিংয়ের প্রথম আঘাতটাও হেনেছিলেন হাসান। তাসকিন আহমেদের সাথে জুটি বেঁধে শুরু থেকেই আইরিশ ওপেনারদের চেপে ধরেছিলেন; ফলটাও পেলেন নিজেই। ৫ম ওভারে স্টিফেন ডহেনিকে উইকেটের পেছনে তালুবন্দি করিয়ে যেন তার কষ্টটাই লাঘব করলেন হাসান। ৯ম ওভারে এসে তো নিজেকে আরও এক ধাপ ওপরে নিয়ে গেলেন হাসান। ভেতরে ঢোকা এক বলে পল স্টার্লিংকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেললেন। এরপর রানের খাতা খোলার আগেই হ্যারি টেক্টরকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেললেন। পরের ওভারে অ্যান্ড্রু বালবির্নিকে স্লিপে তালুবন্দি করিয়ে উইকেটের মিছিলে যোগ দিলেন তাসকিনও।
লরকান টাকারকে নিয়ে এরপর পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন কার্টিস ক্যাম্ফার। নাসুম আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজদের স্পিনটাও ভালই সামলেছিলেন। আর যেই এবাদত হোসেনকে লক্ষ্য বানিয়ে হাত খোলার চেষ্টা করছিলেন সেই এবাদতই পরে ভাংলেন জুটি। ২৮ রানে থাকা টাকারকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেললেন; ঠিক পরের বলেই দারুণ এক বলে বুঝে উঠার আগেই উপড়ে ফেললেন উইকেটে আসা জর্জ ডকরেলের স্টাম্প। জোড়ায় জোড়ায় আঘাত হানার উৎসবে এরপর যোগ দিলেন তাসকিন, ২২তম ওভারে। কিছুটা খাটো লেংথের বলে অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনকে নাসুমের তালুবন্দি করিয়ে ফেরানোর এক বল পর উপড়ে ফেললেন মার্ক অ্যাডেয়ারের স্টাম্প। এক প্রান্ত আগলে লড়তে থাকা ক্যাম্ফারকেও রেহাই দিল না বাংলাদেশ। আক্রমণে এসে ২৭তম ওভারে ডিপ ফাইন লেগে তাসকিনের ক্যাচে হাসান ফেরালেন ক্যাম্ফারকে, ৩৬ রানে। প্রথমবারের মত ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পেসাররা মিলে তখন পেয়ে গেল ৯ উইকেট। পরে সেটাকে দশে পরিণত করলেন হাসান নিজের পরের ওভারের প্রথম বলেই; হিউমকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে। সেই সাথে নিজের প্রথম ৫-উইকেটটাও পূর্ণ করলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে।