বৃষ্টিতে বায়ার্নকে নাকানি-চুবানি খাওয়াল সিটি
ম্যান সিটি ৩:০ বায়ার্ন মিউনিখ
হাড্ডাহাড্ডি এক লড়াইয়ের আমেজ তুলেই শুরু হয়েছিল ম্যাচ। কিন্তু ম্যানচেস্টারের বৃষ্টিতে একেবারেই পথ হারিয়ে বসল বায়ার্ন মিউনিখ। রক্ষণের ভুল ও সিটির চাপের সামনে প্রথম লেগেই যেন ম্যাচটি হেরে বসেছে থমাস তুখেলের দল। ঘরের মাঠে আরেকটি আগ্রাসী পারফরম্যান্সে সেমিতে এক পা রেখে দিয়েছে পেপ গার্দিওলার সিটি। ৩-০ গোলের বড় জয়ের পথে জালের দেখা পেয়েছেন রদ্রি বার্নার্দো সিলভা ও আর্লিং হালান্ড।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুর সময় থেকেই মুষলধারে বৃষ্টি পড়তে দেখা যায়। এই বৈরী আবহাওয়ায় দুই দলই সতর্ক শুরু করে। ১৫-২০ মিনিটের একরকম ওয়ার্ম-আপ ফুটবল শেষে ধীরে ধীরে ম্যাচে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে শুরু করে সিটি। গোলমুখে হালান্ডের দুই এটেম্পটের পর ২৭ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ে নেওয়া দূরপাল্লার এক বাঁকানো শটে এডারসনকে পরাস্ত করেন রদ্রি।
এই গোলের পর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি সিটির হাতে চলে যায়। বিরতির আগে আরও দুই-তিনটি বড় সুযোগ তৈরি করে সিটি। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় সুযোগটি আসে ৩৪ মিনিটে, উপামেকানোর ভুলে। এই সেন্টারব্যাক বক্সের ভেতর ডি ব্রুইনার ক্রস ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হওয়ায় বলে পাঞ্চ করতে বাধ্য হন সোমার। গোলরক্ষক মাটিতে থাকা অবস্থাতেই ফাঁকা জালে শট নেন গুন্ডোগান। কিন্তু সেই শট সোমারের পায়ে লেগে ফিরে যায়।
১-০ গোলে পিছিয়ে বিরতিতে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতে একটু আগ্রাসন দেখাতে শুরু করে বায়ার্ন। প্রথম মিনিট থেকেই ফ্রন্টফুটে খেলতে শুরু করে তুখেলের দল। ফলশ্রুতিতে সিটির রক্ষণ ভেঙে বেশ কিছু বড় সুযোগ তৈরি করে তারা। বিশেষ করে প্রথম দশ মিনিটে লিরয় সানে একাই তিনটি শট নেন গোলমুখে। কিন্তু দুর্দান্ত সব ডাইভে তিনটি শটই ফিরিয়ে দেন এডারসন।
এই সময়ে সিটিও কাউন্টারে কিছু সুযোগ তৈরি করে। প্রথমার্ধে একবার ভুল করা উপামেকানো দ্বিতীয়ার্ধে একদমই খেই হারিয়ে ফেলেন। তার করা একের পর এক ভুলের কল্যাণেই অনেকগুলো আক্রমণ করে সিটি। সেরকম একটি আক্রমণ থেকেই দ্বিতীয় গোল পায় সিটিজেনরা। ৭০ মিনিটে বল নিয়ে সামনে এগিয়ে গ্রিলিসের কাছে বল হারান উপামেকানো। গ্রিলিস সামনে হালান্ডকে বল পাঠান। হালান্ড প্রথমে শট নেওয়ার চিন্তা করলেও বলে নিয়ে একটু সরে এসে বক্সের মাঝখানে ক্রস করেন তিনি। দৌড়ে এসে সেই ক্রসে ফ্রি হেডার বসান বার্নার্দো সিলভা।
এই গোলের পর যেন একবারে ভেঙ্গে পড়ে বায়ার্ন। দুটি বড় সুযোগ তৈরি করে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই আবার গোল করে সিটি। এবার সর্ট কর্নার থেকে বক্সে আসা ক্রসে হেড করে অপর প্রান্তে হালান্ডকে খুঁজে নেন জন স্টোনস। নরওয়েজিয়ানের ট্যাপ-ইন গোলে ৩-০ ব্যবধানের লিড পায় সিটি।
ম্যাচের বাকি সময়ে সিটি আরও কিছু বড় সুযোগ তৈরি করে। বায়ার্নও একটি গোল শোধ করার চেষ্টা করে তাদের বদলিদের নিয়ে। কিন্তু ৩-০ গোলের পরাজয় নিয়েই এদিন মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাভারিয়ানদের।