• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    ড্র নিয়েই সেমিতে সিটি, ইন্টার

    ড্র নিয়েই সেমিতে সিটি, ইন্টার    

    বায়ার্ন মিউনিখ (১) ১:১ (৪) ম্যান সিটি 

    ইন্টার মিলান (৫) ৩:৩ (৩) বেনফিকা 


    গতরাতের ধারা মেনে এ রাতেও কোনো কামব্যাকের দেখা মেলেনি ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। হেসেখেলে ড্র করেই সেমির টিকিট কেটে ফেলেছে প্রথম লেগের দুই বিজয়ী দল ম্যান সিটি ও ইন্টার মিলান।

    সান সিরোতে মোটামুটি একটি গোলউৎসব হলেও আলিয়াঞ্জ অ্যারিনার মূল নাটক ছিল বায়ার্নের রক্ষণাত্মক ভুল। প্রথম লেগের মতো এদিনও দলকে আরেকটি ভুলে যাওয়ার মতো রাত উপহার দিলেন দায়োত উপামেকানো। তার একের পর এক ব্লান্ডারেই পণ্ড হয়েছে বায়ার্নের ম্যাচে ফেরার সব আশা। 

    ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখকে দুই লেগ মিলিয়ে যেভাবে অনায়াসে হারিয়েছে সিটি, তা দেখেই বুঝা যায় পেপ গার্দিওলার অধীনে কতদূর এগিয়েছে দলটি। আলিয়াঞ্জ অ্যারিনায় খেলাটা কিন্তু এতটা সহজ ছিল না সিটিজেনদের জন্য। হ্যাঁ, প্রথম লেগ থেকে পাওয়া ৩-০ গোলের লিড তাদের এক পা ইতোমধ্যে সেমিতে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু গতবার রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষের ম্যাচ থেকে যদি কিছু শিখে থাকে তারা, সেটি হচ্ছে- শেষ বাঁশি বাজার আগ পর্যন্ত শেষ হয় না কোনো ম্যাচ। সারাদিন হওয়া বৃষ্টিতে কিছুটা নেতিয়ে যাওয়া পিচ এবং এরসঙ্গে বায়ার্ন ভক্তদের তৈরি করা প্রতিকূল পরিবেশে মানিয়ে নিতেও তেমন সময় নেননি ডি ব্রুইনারা।

    শুরুতে বায়ার্ন বলের দখল রাখলেও ১৯ মিনিটেই তাদের কামব্যাকের সব আশা শেষ হয়ে গিয়েছিল প্রায়। হালান্ডকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখে বসেছিলেন উপামেকানো। কিন্তু লাইন্সম্যান অফসাইডের পতাকা তুলায় সে যাত্রায় বেঁচে যান এই ফরাসি ডিফেন্ডার। কিন্তু আবার একটি ব্লান্ডার করতে বেশি সময় নেননি। ৩৫ মিনিটে বক্সের ভিতর হ্যান্ডবল করে সিটিকে পেনাল্টি উপহার দেন বায়ার্নের নাম্বার টু। কিন্তু সেই পেনাল্টি মিস করেন হালান্ড। দুই বছর পর কোনো পেনাল্টি মিস করলেন এই নরওয়েজিয়ান।

    তবে এ নিয়ে বেশিক্ষণ আফসোস করতে হয়নি তার। দ্বিতীয়ার্ধে আবার সেই উপামেকানোর কল্যাণেই গোল পান হালান্ড। ৫৭ মিনিটে ডি ব্রুইনার বাড়িয়ে দেওয়া বল নিয়ে বক্সে ঢুকা হালান্ডের সামনে এবার পিছলা খেয়ে পড়ে যান এই ডিফেন্ডার। এবার আর জাল খুঁজে পেতে ভুল করেননি এই গোলমেশিন। অ্যাগ্রিগেটে ৪-০ হয়ে যাওয়ায় ম্যাচের সব উত্তেজনা যেন তখনই নিভে যায়। তবে ভিএআরের কল্যাণে ম্যাচের শেষদিকে একটি পেনাল্টি পায় বায়ার্ন। সেটিকে জালে জড়িয়ে দলকে ঘরের মাঠে হারার লজ্জা থেকে রক্ষা করেন জশুয়া কিমিখ।

    দিনের অপর ম্যাচটি আরেকটু নাটকীয় হয়েছে। কিন্তু ৩-৩ গোলে ড্র করলেও প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ২-০ গোলে হারা বেনফিকা কখনোই এগিয়ে যেতে পারেনি এই ম্যাচে। শুরুতে বারেল্লার গোলে ইন্টার এগিয়ে যাওয়ার পর প্রথমার্ধের শেষদিকে গোল করে সমতা ফেরান বেনফিকার অর্সনেস। দ্বিতীয়ার্ধে গোলের খাতায় লিখান লাউতারো মার্টিনেজ ও হোয়াকিম কোরেয়া। ৭৮ মিনিটে ৩-১ গোলে এগিয়ে যায় ইন্টার, অ্যাগ্রিগেটে ৫-১। শেষদিকে বেনফিকা দুটি গোল পরিশোধ করলেও সেগুলো সান্ত্বনাসূচক গোল হিসেবেই থেকে যায়।