চেলসিকে ধুয়ে দিয়ে আবার শিরোপার দৌড়ে আর্সেনাল
আর্সেনাল ৩:১ চেলসি
সর্বশেষ চার ম্যাচে নয় পয়েন্ট হাতছাড়া করা আর্সেনালের শিরোপা স্বপ্ন প্রায় নিভে গেছে। সিটির কাছে অপদস্থ হয়ে ৩১ সপ্তাহ পর শীর্ষস্থান থেকে ছিটকে যাওয়া গানারদের জন্য এটি ছিল তাই জবাব দেওয়ার ম্যাচ। এমিরেটসের লন্ডন ডার্বিতে প্রথমার্ধেই চেলসিকে উড়িয়ে দিয়ে যথার্থ জবাবই দিল মিকেল আরতেতার দল। ধুঁকতে থাকা ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের চেলসি বরণ করল টানা ষষ্ঠ পরাজয়।
অভ্যাস-মাফিক দ্রুততার সাথে ম্যাচ শুরু করতে গত দুই ম্যাচেই ব্যর্থ হয়েছে আর্সেনাল। দশ মিনিটের মধ্যে গোল হজম করে দুই ম্যাচেই পথ হারিয়েছে তারা। এর আগের দুই ম্যাচে আবার দুই গোলের লিড শেষে শেষে তা হাতছাড়া করেছে। এমিরেটসে এর কোনোটা করার সক্ষমতা দেখা পারেনি ল্যাম্পার্ডের চেলসি। আর্সেনালের চাপে প্রথম ৩৫ মিনিটের সিংহভাগ খেলাই হয় চেলসির অর্ধে। শুরুতে সিলভা-ফোফানারা কোনোমতে রক্ষণ ধরতে পারলেও ১০-১৫ মিনিটের মধ্যেই ভঙ্গুর দশা দেখা যেতে শুরু করে তাদের রক্ষণে। খেলোয়াড়দের মার্ক করতে ও অফসাইড লাইন ধরার মতো মৌলিক রক্ষণাত্মক ব্যাপারগুলোতেও ভুল করতে শুরু করে তারা। যার সুযোগ ভালোভাবেই নেয় আর্সেনাল।
১৮ মিনিটে শাকার ডিফ্লেক্টেড পাস পেয়ে আলতো শটে কেপাকে পরাস্ত করেন বক্সে পুরোপুরি আনমার্কড অবস্থায় থাকা মার্টিন ওডেগার্ড। ৩১ মিনিটে আবারও আনমার্কড অবস্থায় বক্সে প্রবেশ করা ওডেগার্ড গোল করেন। এবারও শাকার লো ক্রস থেকেই।বক্সের ভেতর বল ক্লিয়ার ব্যর্থ হওয়া চেলসি তৃতীয় গোল খায় দুই মিনিটের মাঝেই। এবার গোলের খাতায় নাম লিখান গ্যাব্রিয়াল জেসুস।
৩৫ মিনিটের মধ্যেই পরাজয় একরকম নিশ্চিত হয়ে যাওয়া চেলসিকে হয়তো আরও ঘায়েল করতে পারত আর্সেনাল। কিন্তু তৃতীয় গোলের পর আক্রমণের মাত্রা অনেকটাই কমিয়ে দেয় তারা। দ্বিতীয়ার্ধেও রাখঢাক রেখেই খেলে দুই দল। যে কারণে হারিয়ে যায় প্রথমার্ধের উত্তাপ। তবে ৫১ মিনিটে একটি কর্নার থেকে নিজেদের চতুর্থ গোল প্রায় করেই বসেছিল আরতেতার দল। কিন্তু একদম গোললাইনে দাঁড়িয়ে থিয়াগো সিলভার করা অসাধারণ এক ক্লিয়ারেন্সে বেঁচে যায় চেলসি। পরের ১০ মিনিটে আরও বেশ কয়েকটি বড় আক্রমণ চালায় স্বাগতিকরা। কিন্তু কোনোটি থেকেই চতুর্থ গোলের দেখা পায় না তারা। বরং ম্যাচে ৬৫ মিনিটে চেলসির হয়ে একটি গোল পরিশোধ করেন তরুণ উইঙ্গার ননি মাদুয়েকে।
৩-১ গোলের এই জয়ে আবার টেবিলের শীর্ষে উঠেছে আর্সেনাল। কিন্তু সিটির হাতে দুই ম্যাচ বেশি থাকায় এই দুই পয়েন্টের লিড হয়তো বেশিদিন ধরে রাখতে পারবে না তারা। তবে ক্ষুদ্রতম সম্ভাবনাকেও বাঁচিয়ে রাখতে এখন টানা ম্যাচ জিতে যেতে হবে আরতেতার শিষ্যদের।
এদিকে ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড দায়িত্ব নেওয়ার পর ছয় ম্যাচের ছয়টিতেই হারল চেলসি। ক্লাব ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে প্রিমিয়ার লিগ মৌসুম পার করার দ্বারপ্রান্তে আছে দলটি।