আবারও সান সিরো জয় করে ইস্তাম্বুলের পথে ইন্টার
ইন্টার মিলান (৩) ১:০ (০) এসি মিলান
প্রথম লেগ জেতার পর ইন্টার মিলানের উদযাপন দেখে অনেকেই ভ্রু কুঁচকেছিল। পুরো ম্যাচ না জিতে উদযাপন করার দৃশ্য অনেকের জন্যই দৃষ্টিকটু। কিন্তু ইন্টার জানত ইতালীয় ফুটবল ০-২ থেকে কামব্যাক করাটা কত কঠিন। সিমন ইনজাঘির দল মঙ্গলবার রাতে মিলানের কামব্যাকের স্বপ্ন মাথাচাড়া দেওয়ার কোনো সুযোগই দেয়নি। মাঠের প্রতিটি অংশে নিশ্ছিদ্র রক্ষণ রাখা ইন্টার দ্বিতীয় লেগে জয় পেয়েছে অধিনায়ক লাউতারো মার্টিনেজের একমাত্র গোলে।
সান সিরোর দ্বিতীয় লেগ কাগজে-কলমে ইন্টারের হোম ম্যাচ। সেই হিসেব অনুযায়ী এদিন মাঠে বেশি দর্শক ছিল ইন্টারের। নীল দলের আগ্রাসী সমর্থনের মাঝে শুরু থেকেই খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি মিলান। প্রথম লেগে অনুপস্থিত থাকা রাফায়েল লিয়াও এদিন মূল একাদশে ফিরলেও তিনি যে পুরোপুরি ফিট না, তা বুঝা গেছে তার শারীরিক ভাষাতেই। লিয়াও পূর্ণশক্তিতে খেলতে না পারায় স্বাভাবিকভাবেই মিলানের আক্রমণের ধার কমে যায় অনেকটা। শুরুর ২০ মিনিটে বলের দল মূলত মিলানের পায়ে থাকলেও তারা বড় সুযোগ তৈরি করে মাত্র একটি। ১১ মিনিটে সান্দ্রো টোনালির মাপা ক্রসে নেওয়া ব্রাহিম দিয়াজের দুর্বল শট জায়গা করে নেয় গোলরক্ষকের হাতে।
প্রথমার্ধে একবারই গোলের কাছে যেতে সক্ষম হন লিয়াও। ৩৭ মিনিটে ইন্টারের রক্ষণকে নাচিয়ে ভিতরে ঢুঁকে গোলকিপারের বাঁ পাশ থেকে ডান বার বরাবর নেওয়া তার শট অল্পের জন্য বাইরে দিয়ে যায়। পুরো ম্যাচে গোলের এতো কাছে যেতে আর সক্ষম হয়নি মিলান।
দ্বিতীয়ার্ধে মিলান আরেকটু চড়াও হওয়ার চেষ্টা করলেও ইন্টারের রক্ষণকে ভাঙার মতো সৃজনশীলতা দেখাতে পারেনি দলের কেউ। উল্টো স্রোতের বিপরীতে ইন্টারের করা কাউন্টার অ্যাটাকগুলোয় বিচলিত হতে শুরু করে স্টেফানো পিওলির দল। এরকম একটি প্রতি আক্রমণ থেকেই গোল করে বসে ইন্টার। ৭৪ মিনিটে রাইট উইং দিয়ে বল নিয়ে বক্সে ঢুঁকে একটু পিছনে লুকাকুকে পাস দেন লাউতারো। লুকাকু সাথে সাথেই পাস ব্যাক করে। বক্সভর্তি মিলান ডিফেন্ডারদের কেউই লাউতারোকে চার্জ করা থেকে বিরত থাকেন। আর অফসাইডের লাইন ধরতেও গণ্ডগোল করা মিলান রক্ষণের বদৌলতে অনসাইডে থেকেই নিয়ার পোস্টে শট নেন লাউতারো। গোলরক্ষক মাইক মাইক ম্যানিয়ানের হাতে লেগে জালে জড়ায় বল। ১৬ মিনিট হাতে রেখেই ইস্তাম্বুলের টিকিট নিশ্চিত করে ইন্টার।
দুই মাস আগেও বরখাস্ত হওয়া সিমন ইনজাঘি এখন দলকে ২০১০ সালের পর প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে নিয়ে যাচ্ছেন। জোসে মরিনহোর পর প্রথম ম্যানেজার হিসেবে ক্লাবকে এই শিরোপা জেতাতে পারেন কি না, সেটিই এখন দেখার বিষয়।