• আইপিএল ২০২৩
  • " />

     

    শাহরুখ-কারান ঝড় ম্লান করে পাডিক্কাল, হেটমায়ার, জাইসওয়ালদের জয়গান

    শাহরুখ-কারান ঝড় ম্লান করে পাডিক্কাল, হেটমায়ার, জাইসওয়ালদের জয়গান    

    পাঞ্জাব-রাজস্থান, ধর্মশালা (টস-রাজস্থান/বোলিং)
    পাঞ্জাব কিংস- ১৮৭/৫, ২০ ওভার (কারান ৪৯*, জিতেশ ৪৪, শাহরুখ ৪১*, সাইনি ৩/৪০, জাম্পা ১/২৬, বোল্ট ১/৩৫)
    রাজস্থান রয়্যালস- ১৮৯/৬, ২০ ওভার (পাডিক্কাল ৫১, জাইসওয়াল ৫০, হেটমায়ার ৪৬, রাবাদা ২/৪০, চাহার ১/২৮, এলিস ১/৩৪)
    ফলাফল: রাজস্থান ৪ উইকেটে জয়ী


     

    প্লে-অফের দৌড়ে গাণিতিক সমীকরণে টিকে থাকল রাজস্থান। বল হাতে দারুণ শুরু করেও জিতেশ শর্মার পর স্যাম কারান-শাহরুখ খান ঝড়ে চ্যালেঞ্জের মুখেই পড়ে গিয়েছিল রাজস্থান। দেবদূত পাডিক্কাল ও যশস্বী জাইসওয়ালের ফিফটির পর শিমরন হেটমায়ারের দারুণ ইনিংসের পরেও খেই হারিয়ে বসা রাজস্থান  শঙ্কা কাটিয়ে শেষমেশ জয় তুলে নিয়ে পাঞ্জাবকেও বিদায় জানিয়ে দিয়েছে।

    ১৮৮ রানের লক্ষ্যে এদিনও শুরুতেই রানের খাতা খোলার আগে ফেরেন জস বাটলার; সেই সাথে গড়েন এক আসরে সর্বোচ্চ ডাকের অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড। জাইসওয়ালকে নিয়ে সেই ধাক্কা দ্রুতই সামলে পাঞ্জাবকে পাওয়ারপ্লেতে ৫৭ রানে নিয়ে যান পাডিক্কাল। মৌসুমে বাদ পড়েছেন, ভাল করতে পারেননি তেমন একটা; তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জ্বলে উঠে পাডিক্কাল ফিফটি তুলে নেন ২৯ বলে। ফিফটির পরের বলেই অবশ্য ব্যাক ওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় তার ৩০ বলে ৫১ রানের ইনিংস। পরের ওভারে নিজের দারুণ স্পেলের ফলস্বরূপ সাঞ্জু স্যামসনকে ফিরিয়ে পাঞ্জাবকে ম্যাচে ফেরান রাহুল চাহার।

    সেই ধাক্কা সামলে হেটমায়ারের স্বভাবজাত ব্যাটিংয়ের কারণে নিজের মত করে খেলার সুযোগ পান জাইসওয়াল। তবে ৩৫ বলে ফিফটি পূর্ণ করার পর তিনিও ওই ওভারে ফেরেন ন্যাথান এলিসের শিকার হয়ে ৩৬ বলে ৫০ রানে। হেটমায়ারের সাথে যোগ দিয়ে দ্রুতই ফিরে যান রিয়ান পরাগ।ফেরার আগে রাবাদার করা ১৮-তম ওভারে দুই ছয় মেরে ১২ বলে ২০ রান করে ম্যাচটাও অবশ্য সহজ করে দিয়ে গিয়েছিলেন। তবে কারানের করা ১৯-তম ওভারে শিখর ধাওয়ানের দুর্দান্ত ক্যাচে যখন ২৮ বলে ৪৬ রান করে হেটমায়ার ফিরলেন তখন আবারও রাজস্থান শিবিরে জাগে শঙ্কা। শেষ ওভারে ৯ রান প্রয়োজন হলে চাহারের হাতে ধাওয়ান বল তুলে দিলে ভালই সামলাচ্ছিলেন এই লেগ স্পিনার। তবে চতুর্থ বল মাঠ ছাড়া করে ধ্রুব জুরেল রাজস্থানের জয় নিশ্চিত করেন।

    এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫০ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে পাঞ্জাব। নাভদিপ সাইনির গতি সামলাতে না পেরে লিয়াম লিভিংস্টোন যখন ফিরলেন তখন চলছিল ৭ম ওভার। সেখান থেকে কারানকে সঙ্গী করে দারুণ এক ইনিংস খেলেন জিতেশ। ১০ম ওভারে সন্দ্বীপ শর্মার ওভারে ১৬ রান নিয়ে গিয়ার পালটিয়ে ইনিংস বড় করার দিকে এগুচ্ছিলেন তিনি। সাইনিকে ১৪-তম ওভারে টানা চার,ছয়,চার মেরে যেই লাগামছাড়া হয়ে উঠছিলেন। ঠিক তখন তার পরের বলেই তিনি থামেন ২৮ বলে ৪৪ রান করে।

    উইকেটে এসে কারানের সাথে জুটি গড়ে সময় নিচ্ছিলেন এরপর শাহরুখ। ১৮-তম ওভার শেষেও শাহরুখের রান ১৪ বলে ১২, দলের রান ১৪১। সেখান থেকে শেষ দুই ওভারে ঝড় তুললেন তিনি, যোগ দিলেন কারানও। চেহেলের করা ১৯-তম ওভারে ২৮ রান নেওয়ার পর বোল্টের করা শেষ ওভারেও দুজনে মিলে নিলেন ১৮ রান। ৩১ বলে কারান ৪৯* রানে অপরাজিত থাকলে আক্রমণের ঝান্ডা বহন করে শাহরুখ ইনিংস শেষ করেন ২৩ বলে ৪১* রানে! দুজনের শেষ ঝড়টা অবশ্য কাজে আসেনি রাজস্থানের হিসেব করা আগানো রান তাড়ায়।