• আইপিএল ২০২৩
  • " />

     

    রিঙ্কু-বীরত্ব ম্লান করে লক্ষ্ণৌয়ের জয়

    রিঙ্কু-বীরত্ব ম্লান করে লক্ষ্ণৌয়ের জয়    

    লক্ষ্ণৌ-কলকাতা, ইডেন গার্ডেনস (টস-কলকাতা/বোলিং)
    লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস- ১৭৬/৮, ২০ ওভার (পুরান ৫৮, , ডি কক ২৮, মানকাড ২৬, ঠাকুর ২/২৭, নারাইন ২/২৮, অরোরা ২/৩০)
    কলকাতা নাইট রাইডার্স- ১৭৫/৬, ২০ ওভার (রিঙ্কু ৬৭*, রয় ৪৫, ভেঙ্কটেশ ২৫, বিষ্ণোই ২/২৩, ঠাকুর ২/৩১, গৌতম ১/২৬)
    ফলাফল: লক্ষ্ণৌ ১ রানে জয়ী


     

    রিঙ্কু সিং - এবারের আইপিএলে অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছেন বেশ কয়েকবার; আজও সেটার কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন প্রায়। শেষ ওভারে ১৯ রান প্রয়োজন; তবে পারলেন না ১৮ রানের বেশি নিতে। রবি বিষ্ণোইয়ের দারুণ স্পেল, কৃষ্ণাপ্পা গৌতমের হিসেবী স্পেলে কলকাতার স্বপ্ন পন্ড করে দিল লক্ষ্ণৌ।

    ১৭৭ রানের লক্ষ্যে শুরু থেকেই চড়াও হয়েছিলেন জেসন রয়। তবে সেই অর্থে কারও সহযোগিতা পাননি। বলা যায় লক্ষ্ণৌয়ের দুই স্পিনারের জন্য পারেনি। ২৮ বলে ৪৫ রান করে ক্রুনাল পান্ডিয়ার বলে বোল্ড হয়ে যখন ফিরলেন তখন মনে হচ্ছিল কলকাতা খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না। ১৫ থেকে ১৮ ওভারের মধ্যে ১৬ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসেছিল কলকাতা।

    সেখান থেকেই রিঙ্কু সিং আবারও ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন। ১৯-তম ওভারে নাভিন-উল-হককে আক্রমণ করে নিলেন ২০ রান। ১০১ মিটার এক ছয় মেরে ফিফটি করে ইঙ্গিতটাও দিয়ে রেখেছিলেন ম্যাচ বের করে ফেলার। শেষ ওভারে তৃতীয় বলে রান ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। শেষমেশ পোড়াল শেষটা। শেষ তিন বলে ছয়, চার, ছয় মেরেও তাই রিঙ্কুকে পুড়তে হল সেই আক্ষেপে।

    এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই হারশিত রানার শিকার হয়ে ফিরেছিলেন কারান শর্মা। প্রেরক মানকাডকে নিয়ে এরপর কুইন্টন ডি কক জুটি গড়ার চেষ্টা করলেও দুজনের কেউই তেমন সুবিধা করে উঠতে পারছিলেন না। পাওয়ারপ্লের পরের ওভারেই জোড়া আঘাত হানেন বৈভব অরোরা। ২০ বলে ২৬ রান করা মানকাডকে ফেরানোর পর দারুণ এক বাউন্সারে রানের খাতা খোলার আগেই মার্কাস স্টয়নিসকে ফিরিয়েছিলেন তিনি। এরপর অন্য প্রান্তে দারুণ বল করে সুনীল নারাইন লক্ষ্ণৌয়ের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ান। ক্রুনাল পান্ডিয়াকে নারাইন ফেরানোর পরের ওভারে ২৭ বলে ২৮ রানে থাকা ডি কককে ফেরান বরুন চক্রবর্তী।

    ১১-তম ওভারে যখন ডি কক ফিরলেন দলের রান তখন ৭৩। সেখান থেকে আয়ুশ বাদোনিকে নিয়ে প্রতি আক্রমণ শুরু করেন পুরান। এক প্রান্তে পুরান আক্রমণ চালাতে থাকলেও অন্য প্রান্তে বাদোনি একেবারেই সুবিধা করতে পারছিলেন না। নারাইনের করা ১৮-তম ওভারে টানা দুই চার ছয় মেরে বাদোনি লাগামছাড়া হতে চাইলে ওই ওভারের শেষ বলে তিনি ফেরেন ২১ বলে ২৫ রানে। পরের ওভারে ছয় মেরে ২৮ বলে ফিফটি পূর্ণ করা পুরান এক বল পরে ঠাকুরের শিকার হয়ে ৩০ বলে ৫৮ রানে ফিরলে ওই ওভারে রবি বিষ্ণোইকেও ফেরান তিনি। রাসেলের করা শেষ ওভারে চার-ছয় মেরে এরপর গৌতম কলকাতাকে এনে দেন লড়াকু সংগ্রহ।