কোহলি, গিলের 'ব্যাক টু ব্যাক'-এর মহড়ায় বেঙ্গালুরুর বিদায়
বেঙ্গালুরু-গুজরাট, বেঙ্গালুরু (টস-গুজরাট/বোলিং)
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু- ১৯৭/৫, ২০ ওভার (কোহলি ১০১*, ডু প্লেসি ২৮, ব্রেসওয়েল ২৬, নূর ২/৩৯, রশিদ ১/২৪, শামি ১/৩৯)
গুজরাট টাইটানস- ১৯৮/৪, ১৯.১ ওভার (গিল ১০৪*, শঙ্কর ৫৩, ঋদ্ধিমান ১২, সিরাজ ২/৩২, হার্শাল ১/২৯, বৈশাক ১/৪০)
ফলাফল: গুজরাট ৬ উইকেটে জয়ী
বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামি স্টেডিয়ামে যেন ভারতীয় ব্যাটিংয়ের ভরসার ব্যাটনটা বুঝে নিলেন শুবমান গিল। ভিরাট কোহলির টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরির জবাবে তিনিও করে দেখালেন টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। সেই সাথে কোহলির স্বপ্নভঙ্গ করে বেঙ্গালুরুকে বিদায় দিলেন গিল, অনবদ্য সেই সেঞ্চুরিতে।
১৯৮ রানের লক্ষ্যে ঋদ্ধিমান সাহা ১২ রানেই ফিরেছিলেন মোহাম্মদ সিরাজের দারুণ ওপেনিং স্পেলে। সেখান থেকেই বিজয় শঙ্করকে সঙ্গী করে এগিয়ে যান গিল। পাওয়ারপ্লেতে ৫১ রান তুলে ফেলার পর ২৯ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন গিল। অন্য প্রান্তে সহায়কের ভূমিকা পালন করে চলা শঙ্কর নিজেও ফিফটি পেয়ে যান ৩৪ বলে। বিজয়কুমার বৈশাকের পরের বলেই ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে অবশ্য শেষ হয় শঙ্করের ৫৩ রানের ইনিংস। পরের ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে হার্শাল পাটেল ফেরান দাসুন শানাকাকে, সেখান থেকেই ম্যাচে ফেরার গন্ধটাও পায় বেঙ্গালুরু। ১৮-তম ওভারে বল করতে এলে সিরাজকে ছয় মেরে গিল স্বাগত জানালেও মিলারকে ফিরিয়েছিলেন সিরাজ। তবে শেষ বলেও গিলের দরুন সিরাজের একই পরিণতি হলেও ওই ওভারে সিরাজ গোনেন ১৫ রান। সেখান থেকে গিলকে থামানো তো দায়! শেষ ওভার করতে এসে ওয়েইন পারনেল প্রথম বলেই নো বল করে বসলে ফ্রি হিটে ছয় মেরে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন গিল; ৫২ বলে ১০৪* রানের অসামান্য ইনিংস দিয়ে সেই সাথে বেঙ্গালুরুর স্বপ্নও মাটির সাথে মিশিয়ে দেন।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ফাফ ডু প্লেসিকে নিয়ে পাওয়ারপ্লেতেই ৬২ রান তুলে ফেলেন কোহলি। এক ওভার পরেই অবশ্য নূর আহমেদের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় ডু প্লেসির ১৯ বলে ২৮ রানের ইনিংস। পরের ওভারেই দারুণ করতে থাকা রশিদ খান ফেরান গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে। এরপরের ওভারে নূরের দ্বিতীয় শিকার হয়ে মাহিপাল লমরোর ফিরলে অন্য প্রান্তে কোহলিকে একাই লড়াই চালিয়ে যেতে হয়।
সেই দায়িত্ব বুঝে নিয়ে ৩৫ বলে ফিফটি পূর্ণ করে কোহলি গিয়ার পাল্টান। সঙ্গী মাইকেল ব্রেসওয়েল কিছুটা হাত খুলে খেললে কোহলিও হন চাপমুক্ত। মোহিত শর্মার ১৩-তম ওভারে দুজন মিলে ১৫ রান নিলে পরের ওভারে অবশ্য ১৬ বলে ২৬ রান শেষ শামির শিকার হয়ে থামতে হয় এই কিউইকে। পরের ওভারে আইপিএলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ডাকের রেকর্ড গড়ে দীনেশ কার্তিক ফিরলে কাজতা আবারও কঠিন হয়ে যায় কোহলির জন্য। তবে সেসব আমলে না নিয়ে শেষ ওভারে ঠিকই কোহলি সেঞ্চুরি পেয়ে যান, ৬১ বলে। ওই ওভারে অনুজ রাওয়াতের কল্যাণে ১৫ রান আসলে কোহলি অপরাজিত থাকেন ৬১ বলে ১০১* রানে। আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়ার রাতেও পরে উত্তরসূরি গিলের যথার্থ জবাবে কোহলিকে গ্রাস করেছে প্লে-অফ থেকে ছিটকে পড়ার গ্লানি।