• আইপিএল ২০২৩
  • " />

     

    আইপিএলে কীভাবে ইম্প্যাক্ট সাব ব্যবহার করেছে দলগুলো?

    আইপিএলে কীভাবে ইম্প্যাক্ট সাব ব্যবহার করেছে দলগুলো?    

    গেম চেঞ্জার। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হতে পারে গেম চেঞ্জার, রোমাঞ্চিত সঞ্জয় মাঞ্জরেকার বলেছিলেন এমনটাই। ক্রিকেটে এর আগেও বদলি প্লেয়ারের নিয়ম এসেছে, কিন্ত সবগুলোরই খামতি ছিল কিছু না কিছু। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের যে অবাধ ব্যবহারের সুবিধা, সেটিই আসলে আগ্রহ বাড়িয়ে দিয়েছিল। সেই আগ্রহের কতটুকু মিটেছে, আইপিএলের শেষেও কি তেমন থেকেছে? এর ভবিষ্যতই-বা কি? সেসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে, আগে দেখি তো দলগুলো কীভাবে ব্যবহার করেছে ইমপ্যাক্ট সাব। 

    প্রথম কথা, সব দলই সুযোগ নিয়েছে ইমপ্যাক্ট সাবের। প্রায় ৯৪ শতাংশ ইনিংসেই বদলি খেলোয়াড় ব্যবহার তার প্রমাণ। বৃষ্টিতে না হওয়া ইনিংসটি বাদ দিলে ১৪৭ ইনিংসের মাত্র ৮টিতেই ব্যবহৃত হয়নি ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার। মূলত তা দ্বিতীয় ইনিংসে আগেভাগেই লক্ষ্যতাড়া করে ফেলার কারণে। প্রথমে ব্যাটিং হলে দলগুলো এক তরিকায় ব্যবহার করেছে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার, পরে ব্যাটিং হলে ভিন্নভাবে। 

    প্রথমে ব্যাট করে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার কাজে লাগানোর ঘটনা ঘটেছে ৭৩ বার। তার মাঝে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে সবচেয়ে বেশি নামানো হয়েছে যাদের, তাদের ফেলতে হয় বোলার ক্যাটাগরিতেই। ৭৩ ইনিংসের মধ্যে ৫৭ বারই বদলি খেলোয়াড় হিসেবে নামানো হয়েছে কোন বোলারকে। যে ১৩ ইনিংসে অলরাউন্ডার নামানো হয়েছে, তাতে ৭ বার প্রথম ইনিংসে অবদান রাখতে পারেননি বদলি খেলোয়াড়। মানে দল প্রথমে ব্যাট করে ফেলার পরেই যেহেতু তিনি নেমেছেন, বোলিংয়ের কাজটাই মূলত তার ছিল। ৬ বার অবশ্য প্রথম ইনিংসেও অলরাউন্ডার নামিয়েছিল দলগুলো। তার মানে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে অবদান রাখার পরে বোলিংও করতে পারছেন। কিন্ত সেসব ক্ষেত্রে আসলে বড় প্রভাব রেখেছে, এমন পারফরম্যান্স দেখা যায়নি।

    ব্যাটার বা অলরাউন্ডারের জায়গায় বদলি খেলোয়াড় হিসেবে কোন এক বোলার নামিয়েছে দলগুলো, ৭৩ ইনিংসে এমনটা হয়েছে ৫৭ বার। যেসব অলরাউন্ডারকে নামিয়েছে শুধু বোলার হিসেবেই, সেই ৭ সংখ্যাও যোগ করলে এমন দাঁড়ায়, ৮৭.৬৭ শতাংশ সময়েই প্রথমে ইনিংসে ব্যাট করা দলগুলো ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নামিয়েছে বোলিংয়ের কাজেই। তার মানে একজনের ব্যাটিংটুকু পেয়ে গেলে, এরপর তার জায়গায় এক বোলার নামিয়ে বোলিং শক্তি বাড়িয়ে ফেললে। টসের ফল মোতাবেক দল দেওয়ার যে সুবিধা ছিল, প্রথমে ব্যাট পেলে ব্যাটিং-হেভি লাইনআপ নিয়ে নামলে, পরে ব্যাটিং করে ফেলা একজনের জায়গায় বোলার খেলালে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মের ব্যবহারে। কিছু ব্যতিক্রমও ছিল, তবে মোটাদাগে দলগুলো এগিয়েছে এ পথেই। 

     

    এক ব্যাটারের জায়গায় আরেক ব্যাটার, এমনটা দেখা গেছে মোটেই তিনবার। সেই তিনবারেই ১৪ ওভারের আগে ব্যাট করতে নামানো হয়নি কাউকে। ধরতেই পারছেন, প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে দুর্দশায় পড়ে গেলে সেটি কাটিয়ে উঠতেই এই কৌশল। এ তো গেল ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার কাদের ব্যবহার করেছে তা, কিন্ত কখন হয়েছে সেটিও দেখে নেই।

    ইনিংসের শুরুতে, ওভারের মাঝে, ওভার শেষে, উইকেট পড়লে- বলতে গেলে যেকোন সময়েই বদলি খেলোয়াড় নামানো যেত। সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার ঘোষণা করা হয়েছে দুই ইনিংসের মাঝে, মানে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করা দল দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর সময়েই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নামিয়েছে ৫১ বার। উইকেট পড়ার পরে কিংবা ওভার শেষে বা ওভারের ফাঁকে- বাকি ২২ বার ইমপ্যাক্ট সাব জানিয়ে দিয়েছে দলগুলো। তবে ৭৩ বারের মধ্যে ৬৩ বার ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার দ্বিতীয় ইনিংসেই কেবল অবদান রেখেছেন।

    পরে ব্যাট করা দল ইমপ্যাক্ট সাব নামিয়েছে ৬৬ ইনিংসে। তার মধ্যে ৫৪ বারই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার ছিলেন ব্যাটার। ১১ জন অলরাউন্ডারেরও নামার সুযোগ হয়েছিল, কিন্ত তারা প্রথম ইনিংসে রাখতে পারেননি অবদান। তার মানে ৬৬ ইনিংসের মাঝে ৬৫টিতেই বদলি খেলোয়াড়ের ভূমিকা ছিল ব্যাটিংয়ে। বোলার থেকে বোলার, এরকম অদল-বদল দেখা গেছে মাত্র একবার। মানে প্রথমে একজন বোলিং করে ফেললেন, পরে তার জায়গায় বোলিং ইনিংসে নামিয়ে দেওয়া হলো আরেক বোলারকে। এক ম্যাচে কলকাতা করেছিল এমনটা, হার্শিত রানাকে তিন ওভার করিয়ে তার জায়গায় নামিয়েছে সুয়াশ শর্মাকে, যদিও সুয়াশকে এক ওভারের বেশি করায়নি। 

     

    পরে ব্যাট করা দলের ক্ষেত্রে যেসব ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার ব্যবহৃত হয়েছে, সুয়াশের ঘটনা বাদে সবটিতেই বদলি খেলোয়াড় ভূমিকা রেখেছেন দ্বিতীয় ইনিংসে অর্থাৎ ব্যাটিংয়ে, সেটা অলরাউন্ডার হোন আর ব্যাটার। প্রথম ইনিংসে বোলিং করে ফেলা একজনকেই সবচেয়ে বেশি তুলে নিয়েছে দলগুলো, বোলারের জায়গায় ব্যাটার নামিয়েছে ৫২ বার, বোলারের জায়গায় অলরাউন্ডার নামিয়েছে ১১ বার। সেসব অলরাউন্ডারদের বোলিং ইনিংস শেষের পরেই যেহেতু নামানো হয়েছে, সেজন্য তাদের কাজটা আদতে ব্যাটিংয়েই ছিল।

    পার্ট-টাইম বোলিং করতে পারেন, এমন অনেকজনই তাই পুরোদস্তর ব্যাটারের ভূমিকায়ই খেলেছিলেন পুরো আইপিএল জুড়ে। ভেঙ্কটেশ আইয়ার, শিভাম দুবে, রাহুল তেওয়াতিয়া, বিজয় শঙ্করদের বোলিংয়ের প্রয়োজনই পড়েনি। তাহলে এক অর্থে বলা চলে, প্রথম ইনিংসে বোলারের জায়গায় ৬৩ বার ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে ব্যাটারই নামিয়েছে দলগুলো। বাকি তিন যে ঘটনা, তাতে সুয়াশের বাইরে যে দুটি খেলোয়াড় বদলের নজির আছে, তাতে ব্যাটার থেকে ব্যাটার ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারই নামিয়েছে দলগুলো। 

    এতক্ষণে পরিস্কার, পরে ব্যাট করা দলগুলো হেটেছে কোন পথে। প্রথম ইনিংসে বোলিংয়ের কাজ সেরে ফেলা একজনের পরিবর্তে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারে নামিয়েছে ব্যাটিংয়ে অবদান রাখতে পারেন এমন কেউ। তাহলে কী অনেকটা অনুমিতই হয়ে গেল না ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের কৌশল? কাকে, কখন নামাবে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার, তা নিয়ে যে অপেক্ষায় থাকার রোমাঞ্চ, সেটা কী কমে গিয়েছিল না কিছুটা? আইপিএল শুরুর পর সময়ের সাথে পরিস্কার হয়েছে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের ব্যবহার, আরও অনুমেয় হয়েছে ধীরে ধীরে, নিশ্চিতভাবেই এতে আগ্রহের পারদও নিচের দিকে নামতে শুরু করেছে। 

    অনুমেয় হওয়ার বড় আরেকটা কারণও ছিল। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নির্বাচনের জন্য যে পাঁচজনের নাম দিত দলগুলো, সেখানে যদি দেখেন সুরিয়াকুমার, শুবমানের নাম, আপনার তো মূহুর্তেই বুঝে ফেলার কথা, কে হবেন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার। দলগুলো শেষের দিকে এই পদ্ধতিই শুরু করেছিল, একাদশে না রেখে দলের নিয়মিত কোন সদস্যকে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামানো। প্রথমে বোলিং করা হলে যেমন শুবমান গিলকে রেখে দিয়েছে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের তালিকায়, পরে ব্যাটিংয়ের সময় তাকে নামিয়ে দিয়েছে। 

    আবার ওই পাঁচজনের মধ্যে দেখা গেল, বোলার-ব্যাটার সবই আছে। এখন কোনও দল প্রথমে বোলিং পেল, কিন্ত প্রথম ইনিংসে কোন বদলি খেলোয়াড় নামালো না। দ্বিতীয় ইনিংসে তাহলে ব্যাটারই নামাবে, সে কারণে ধরুন ওই পাঁচজনের মধ্যে থাকা দুই বোলার হিসেব থেকে বাদ। আবার অনেক সময় একাদশে চার বিদেশি থাকা সত্ত্বেও ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের তালিকায় বিদেশি রেখে দিত দলগুলো, সেই বিদেশিও বাদ। বাকি থাকাদের মধ্যে বুঝতে কষ্ট হওয়ার কথা না কে হবেন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার। এভাবেই অনেকটাই অনুমিত হয়ে গিয়েছিল ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার। 

    ভারতের সাবেক কোচ রবি শাস্ত্রীকে ইএসপিএনক্রিকইনফোর এক অনলাইন শোতে প্রশ্ন করেছিলাম, এই যে অনুমানযোগ্য হয়ে যাচ্ছে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার, এতে কীভাবে কোনও মাসালা যোগ করতে চাইবেন তিনি? উত্তরে শাস্ত্রী বলেছিলেন, ‘শেষ দুই ওভারে হুট করে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার এসেই তিন ছক্কা হাঁকিয়ে দিল, ম্যাচের মোড় পাল্টে দিল, স্পেশাল কিছু ঘটেনি আসলে। হঠাৎ ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার আসলো ম্যাচের শেষ দিকে। লক্ষ্যতাড়া চলছে, ৫০ রান লাগে ৪ ওভারে, ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার এসেই এক ওভারে ২০ রান এনে দিল। তখন সবাই বলবে ‘ইমপ্যাক্ট, ইমপ্যাক্ট’। কারণ এটাই তো ইমপ্যাক্ট। অথবা একজন বোলার এসে এক ওভারেই তিন উইকেট নিয়ে দিল।’ 

    সবমিলিয়ে শেষের দশ ওভারে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার ঘোষণা করেছে দলগুলো, ১৩৭ ইনিংসে এমনটা হয়েছেই তো মাত্র ১৬ বার। প্রায় ৮৮ ভাগ সময়েই খেলা শেষ দশ ওভারে প্রবেশের আগেই ঘোষিত হয়েছে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার। আর ম্যাচের শেষ পাঁচ ওভারে তো মাত্র ছয়বার ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নামিয়েছে দলগুলো। তার মধ্যে ম্যাচে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা দুটি পারফরম্যান্স আছে। ধ্রুব জুরেলের ৪ বলে ১০ রান ও আয়ুশ বাদোনির ১১ বলে ২১। কিন্ত সেসবও তেমন আকর্ষণের বিষয় হতে পারেনি। কারণ ওই অনুমানের ব্যাপারটাই। ফুটবলে বদলি খেলোয়াড়ের সংখ্যা নির্দিষ্ট করা থাকলেও স্কোয়াডের যে কাউকেই নামানো যায়। ইমপ্যাক্ট সাবের ক্ষেত্রে সেখানে পাঁচজনের তালিকা দিতে হচ্ছে। তাহলে কী সেদিকে পা রাখার চিন্তা করবে ইমপ্যাক্ট সাবের নিয়মও? 

     

    ফুটবলের মতো আকর্ষণীয় হওয়ার সুযোগ নেই যদিও ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের। ব্যাটিংয়ের সময় ব্যাটিং-হেভি সাইড নিয়ে বেশিরভাগ সময়েই দলগুলো নেমেছিল, তখন প্রথমে-ব্যাটিং একাদশে পাঁচজনের কম মূল বোলার পর্যন্ত দেখা গেছে, তার মানে দ্বিতীয় ইনিংসে একজন বোলারকে ইমপ্যাক্ট সাব করতেই হতো। এটিও অনিশ্চিয়তার ব্যাপারটা আরও ঢেকে দিয়েছিল। টসের ফলনির্ভর একাদশ দেওয়ার সুযোগ না থাকলে হয়তো অনুমানের ব্যাপারটা অনেকটাই কমে আসত।

    কিন্ত অনুমানযোগ্য হলেই-বা কী হচ্ছে? আসল বিষয় তো খেলায় এর প্রভাব, যাতে সফলই এটি। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার ও টসের নতুন নিয়মের সহায়তা নিয়ে দলগুলো ব্যাটিং-বোলিংয়ের শক্তি বাড়িয়েছে, ব্যাটিং-বোলিংয়ে ভারসাম্য নিয়ে নামতে পারছে মাঠে। ব্যাটাররা যেমন সে কারণে আরও আক্রমণাত্মক খেলার সুযোগ নিয়েছেন, পার্টটাইমারের বদলে মূল বোলারদের সাথে বোলিংয়ে দলগুলো নেমেছে বাড়তি বিকল্প নিয়ে। খেলার মানও বেড়েছে তাই নিঃসন্দেহে। 

    এক ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করা শেষে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ে বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসির কথায় একটু নজর দিন, ‘নতুন নিয়মের কারণে, অতিরিক্ত ব্যাটার, আপনার মনে হয় আরও রান দরকার। মনে হয় ১০ থেকে ১৫ রান বেশি এনে দেওয়া দরকার হয়তো।’  ডু প্লেসির কথার সুরে তো তাহলে বলা যায়, ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের আরেক মানে অতিরিক্ত বোলার বা ব্যাটার। আরেকভাবেও বলা যায়, যেমনটা বলেছিলেন চেন্নাইয়ের ব্যাটিং কোচ মাইক হাসি, ‘এটা আমার কাছে মনে হচ্ছে ১১ বনাম ১১ এর পরিবর্তে শুধু ১২ বনাম ১২ খেলছি।’ আপাতত মনে হচ্ছে- কখন, কাকে বদলি খেলোয়াড় নামাবেন, সেসব নিয়ে কোচদের আলাদা করে খুব একটা মাথা ঘামাতে হচ্ছে না, ১১ জনের পরিবর্তে তারা ১২ জনকেই নির্বাচক করছেন, এই যা! 

    খেলা বারোজনের হওয়ায় সুযোগের সংখ্যা বাড়ার সাথে বেরিয়েছে অনেক প্রতিভা। কিন্ত একই সাথে এটিও সত্য, ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের জন্য যে পাঁচজনের নাম দিত দলগুলো, তাতে ছিল না অত প্রতিভার ছড়াছড়ি। আনকোরাদের সংখ্যাই ছিল বেশি। তাহলে কী বিদেশিদের নিয়মে পরিবর্তন আনা যায়, একাদশে চারজন থাকলেও আরেক বিদেশিকে নামাতে পারবে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে?

    রবি শাস্ত্রীরও সে মতে সায় আছে, ‘সে পথে যদি যেতে চাও, সেটা কোনমতেই খারাপ ভাবনা না।’ অস্ট্রেলিয়ান সাবেক ক্রিকেটার ও কোচ টম মুডিরও একই মত, ‘আইডিয়াটা আমার পছন্দ হয়েছে। এটা খেলার মানকে আরও উন্নত করবে।’ কিন্ত সেক্ষেত্রে দেশিদের সুযোগ সংকুচিত হয়ে যাবে কিনা, সে চিন্তার পাহাড়ও থাকবে সামনে। আর সুযোগে কত দেশি প্রতিভার আবির্ভাব ঘটেছে, সেটি তো আবারও দেখা গেছে এই আইপিএলেই।