• আফগানিস্তানের বাংলাদেশ সফর ২০২৩
  • " />

     

    সংবাদ সম্মেলনে সবুজ গালিচার ইঙ্গিতটাই দিয়ে গেলেন লিটন, শহীদী

    সংবাদ সম্মেলনে সবুজ গালিচার ইঙ্গিতটাই দিয়ে গেলেন লিটন, শহীদী    

    নেই রশিদ খান, তাতে কী! প্রতিপক্ষের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানও তো নেই, সেটা মনে করিয়ে দিতে ভুললেন না আফগানিস্তান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদী। পুরো সংবাদ সম্মেলন জুড়েই আফগান অধিনায়কের কণ্ঠে ঠিকরে পড়ল আত্মবিশ্বাস। বাংলাদেশের মাটিতে ২০১৯ সালে টেস্ট খেলতে এসে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসের প্রথম জয়টা তুলে নেওয়া আফগানিস্তান এবারও চায় সেরকম কিছু। সেবারে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন রশিদ। এবার তার অনুপস্থিতি নিয়ে তাও চিন্তিত নন আফগান অধিনায়ক। চিন্তিত নন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। নিজেরা যেই নতুন পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন, সেই পথেই এগিয়ে আশানুরূপ ফলাফল নিয়ে আসতে চান তিনি।

    শ্রীলঙ্কার বিপক্ষ গত ওয়ানডে সিরিজেই মাঠের বাইরে ছিটকে গিয়েছেন আফগানিস্তানের তারকা লেগ স্পিনার। শুধু কী বল হাতে? ব্যাট হাতেও তো তিনি আফগানিস্তান দলে কম ভূমিকা রাখেন না। বাংলাদেশের বিপক্ষে চট্টগ্রামের সেই টেস্টে ১১ উইকেট তো ঠিকই নিয়েছিলেন; সেই সাথে প্রথম ইনিংসে খেলেছিলেন ৫১ রানের ইনিংস। সে সত্ত্বেও তাকে হারিয়ে বিচলিত নন শহীদী, “হ্যাঁ, সবাই জানে রশিদ আমাদের প্রধান বোলার; কাজটা তাই চ্যালেঞ্জিং তো বটেই। টেস্টেও ও অতীতে আমদের হয়ে দারুণ খেলেছে। তবে আমাদের দলে কিন্তু আরও অনেক বোলিং অপশন আছেন। আশা করছি তারাও নিজেদের মেলে ধরবেন।”

    রশিদকে হারিয়েও আফগান অধিনায়ক সম্ভবত আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে পারছেন উইকেট দেখেই। এবার ঘূর্ণি নয়, গতির প্রদর্শনীর পসরা সাজিয়ে বসতেই যেন ইচ্ছুক বাংলাদেশ। উইকেটটাও সাজানো হচ্ছে সেভাবেই। অন্তত আফগানদের সাথে বিসিবি কিউরেটরদের লুকোচুরির মাঝেও পিচে ঘাসের দেখা মেলায় সেরকমটাই মনে হচ্ছে। যেটা চোখ এড়ায়নি আফগান অধিনায়কেরও, “আজ মনে হয় পিচটা ভালমত দেখতে পেরেছি। দেখলাম সবুজ উইকেট বানিয়েছে ওরা। আমাদের জন্য সেটা আসলে ভালই কারণ আমাদের ভাল পেসার রয়েছে। সেই সাথে আমাদের দারুণ একটা স্পিন বোলিং বিভাগও রয়েছে। আমাদের নিজেদের শক্তির দিক্টা আমাদের বিবেচনা করতে হবে। আমাদের নিজেদের কী আছে, নিজেদের কী করতে হবে সেটা নিয়েই ভাবব আমরা, কারণ মাঠে আমরা যেকোনো কিছুর জন্যই প্রস্তুত।

    শহীদী যে উইকেট ভুল পড়েননি সেটার প্রতিফলন মিলল এরপর লিটনের কণ্ঠেও, “অনেক দিন ধরেই মিরপুরে ঘূর্ণি উইকেটেই বেশিরভাগ খেলা হয়। তো আমাদের এখন চ্যালেঞ্জ এটাই আমরা ঘাসের উইকেটে কীভাবে ভালো খেলি৷ এটাই এখন বিষয় যে, আমরা এখানে কীভাবে টিকে থাকতে পারি, বড় ইনিংস খেলতে পারি।”

    তবে আফগান অধিনায়কের সবুজ উইকেট দেখে খুশি হওয়ার খুব একটা জায়গা দেখছেন না লিটন। বাংলাদেশের পেস আক্রমণ যে এগিয়েছে বহুদূর, সেটাও যেন লিটন মনে করিয়ে দিলেন আরও একবার, “এরকম দলের সঙ্গে আপনি ইভেন উইকেটে খেলবেন, এটাই স্বাভাবিক। সেদিক থেকে বলব যে, আফগানিস্তানের অধিনায়ক যেটা বলেছে (ভালো পেসার থাকার কথা), আমাদের হাতেও খুব ভালো কোয়ালিটি পেস আক্রমণ আছে। দেখা যাক…”

    সেই সাথে পেসারদের যে একাদশে প্রাধান্য দেওয়া হবে সেটাও এক অর্থে খোলামেলা ভাবেই বলে দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, “আপনি যখন ইভেন উইকেটে খেলবেন, আপনার হাতে পাঁচ বোলার না থাকলে কিন্তু খুব কঠিন। আমি সবসময় প্রেফার করি, যখন ইভেন উইকেটে খেলা হবে তখন দলে পাঁচটা পেস বোলার নিতে।”

    তবে রশিদকে নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই বাংলাদেশ অধিনায়ক সোজাসাপ্টা জানিয়ে দিলেন যে ওসব নিয়ে ভাবছেন না তিনি, “রশিদ থাকলেও যেভাবে সিরিয়াসভাবে নিতাম, না থাকায়ও আমরা ওই ওয়েতে এগোব। টেস্ট ক্রিকেটে আমাদেরও বিরতি পড়েছে। সর্বশেষ আমরা এপ্রিলে খেলেছি। তারপর একটা সাদা বলের সংস্করণ খেলেছি আমরা। আমার মনে হয় তাদের চেয়ে আমরা একদিক দিয়ে ভালো - আমরা অনেক দিন ধরে টেস্ট ক্রিকেট খেলছি, আমাদের ম্যাচুরিটি লেভেলও বেশি কারণ আমরা ক্রিকেটাররা অনেক টেস্ট ক্রিকেট খেলি এখন।”