সবুজের সমারোহে বাংলাদেশের 'প্রথম' নাকি আরও একটি আফগান-রূপকথা
সবুজ গালিচা বিছিয়ে আফগানদের জন্য অপেক্ষা করছে বাংলাদেশ - এই খবরটা আর নতুন নয়। তবে এই সিদ্ধান্ত কি আফগানদের পক্ষে যাবে কি না তা নিয়ে চায়ের কাপে উঠেছে ঝড়। হ্যাঁ, আফগানিস্তানের সেরা বোলার রশিদ খান নেই দলে; সেই সাথে বাংলাদেশের সেরা অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসানও নেই। তবে দুই দলের দুই সেরা স্পিনার না থাকলেও দুই দলেই স্পিনের জন্য বোলারের কমতি নেই। বাংলাদেশের যেমন আছেন টেস্টে প্রতিষ্ঠিত তাইজুল ইসলাম, লাল বলে দলের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ; তেমনি আফগানদের আছে জাহির খান পাখতুনের মত বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে নজর কাড়া স্পিনার, আমির হামজার মত প্রতিভাবান স্পিনার। তবে স্পিনাররা নয়, উইকেটের জন্য এবার মূল আলোচ্য বিষয় পেসারদের নির্বাচন।
শুধু পেসারদের নির্বাচন নয়, সবুজ উইকেটে কোন ব্যাটাররা উপযুক্ত সেটাও মাথায় রাখতে হচ্ছে। বাংলাদেশের শিবিরে অবশ্য দুঃসংবাদ হানা দিয়েছে আগেই। তামিম ইকবাল ছিটকে গিয়েছেন ইতোমধ্যে, সেই সাথে অনিশ্চিত তাসকিন। তবে চার পেসার নিয়ে নামার পরিকল্পনা যদি আসলেই বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশ, তাহলে হয়ত কপাল খুলতে পারে অনভিষিক্ত পেসার মুশফিক হাসানের। মিডল অর্ডারে শাহাদাত হোসেন দীপুকেও দেখা যেতে পারে সবুজ উইকেটের কথা ভেবেই।
আফগানরা অবশ্য বড়সড় পরিবর্তন হয়ত আনবেন না। স্কোয়াড ঘোষণার আগেই তাদের যা রদবদল করে ফেলতে হয়েছে আরকি! তবে সবুজ উইকেটের কথা মাথায় রেখে হয়ত অভিষেক হতে পারে পেস বোলিং অলরাউন্ডার করিম জানাতের। সেই সাথে তাদের ঘরোয়া টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ উইকেট পাওয়া আমির দলে থাকায় রশিদের অনুপস্থিতি নিয়ে খুব একটা চিন্তিত না আফগানরা।
রেকর্ড
মোট টেস্ট: ১
বাংলাদেশ জয়ী: ০
আফগানিস্তান জয়ী: ১
এর আগে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে দুই দলের মধ্যে হয়েছিল একমাত্র টেস্ট। ২০১৯ সালের সেই দেখায় আফগানিস্তান পেয়েছিল নিজেদের টেস্ট ইতিহাসের প্রথম জয়। ২২৪ রানের সেই বিশাল জয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন রশিদ খান; সেটাও ১১ উইকেটের সাথে ১ ফিফটিতে। রশিদকে যে আফগানিস্তান মিস করবে তা বলাই বাহুল্য। সেই ম্যাচে বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিবের অনুপস্থিতিটা অবশ্য দুই দলকে এদিক থেকে একই কাতারে রেখেছে। এছাড়াও সেই ম্যাচে থাকা উভয় দলের অনেকেই এবার না থাকায় দেখা মিলবে বেশ কিছু ভিন্ন মুখের।
দুই দলের খবর
বাংলাদেশ শিবিরে নিশ্চিতভাবেই নেই তামিম ইকবাল। চোট কাটিয়ে তাসকিন স্কোয়াডে থাকলেও টেস্টের জন্য তিনি ফিট কি না সেটা নিয়ে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের আছে সন্দেহ। অন্যদিকে সংবাদ সম্মেলনে এসে লিটন দাস জানিয়েছিলেন পাঁচ পেসার নিয়ে খেলার ইচ্ছার কথা। তবে তাসকিন যদি শেষমেশ খেলতে না পারেন তাহলে বাংলাদেশকে হাঁটতে হবে চার পেসারের পথে।
অন্যদিকে আফগান শিবিরে কোনও নতুন ইনজুরির খবর না থাকলেও দল সাজাতে তাদের ভাবতে হচ্ছে নতুন করেই। স্পিনিং উইকেট পাবে ভেবেই স্পিনারের আধিক্য নিয়ে স্কোয়াড সাজালেও এখন একাদশ সাজাতে ভিন্ন পথে হাঁটতে হতে পারে তাদের। প্রথম দিনে ইব্রাহিম জাদরানের ইনজুরি শঙ্কা জাগলেও দুর্দান্ত শ্রীলঙ্কা সফর কাটানো এই প্রতিভাবান তরুণ ওপেন করতে যাচ্ছেন নিশ্চিতভাবেই। সেই সাথে অভিষেক হতে পারে করিম ও নাভিদের।
সম্ভাব্য একাদশ
বাংলাদেশ: জাকির হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস (অধিনায়ক, উইকেটকিপার), মেহেদী হাসান মিরাজ, শরিফুল ইসলাম, খালেদ আহমেদ, মুশফিক হাসান, এবাদত হোসেন
আফগানিস্তান: ইব্রাহিম জাদরান, আব্দুল মালিক, রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শহীদী (অধিনায়ক), বাহির শাহ, করিম জানাত, আফসার জাযাই (উইকেটকিপার), ইয়ামিন আহমাদযাই, আমির হামজা, ইজহারুলহক নাভিদ, জাহির খান