নির্বাচকদের আস্থার প্রতিদান দিতে চান এবাদত
দেশে বিশেষ করে মিরপুরে বাংলাদেশের পেসারদের খুব বেশি কিছু করার সুযোগ বেশির ভাগ সময়েই থাকে না। মিরপুরে এমনকি কোনো স্বীকৃত পেসার ছাড়াও টেস্ট খেলার রেকর্ড আছে বাংলাদেশের। সেখানে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টের প্রথম ইনিংসটা আশ্চর্য এক ব্যতিক্রম। তিন পেসার নিওয়ে নেমেছে বাংলাদেশ, এর মধ্যে তাসকিন আহমেদ ছাড়া বাকি দুই পেসার শরিফুল হক ও এবাদত হোসেনই আসলে আফগানদের গুটিয়ে দিয়েছেন দেড়শর নিচে। প্রথম দিন শেষে এবাদত হোশেন তাই বললেন, টিম ম্যানেজমেন্টের ভরসার প্রতিদান দিতে চান তারা।
কাল নতুন বলে শরিফুয়ল আর এবাদত রীতিমতো আগুন ঝরিয়েছেন। দুজন মিলে লাঞ্চের আগেই আফগানদের তিন উইকেট তুলে নিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত এবাদত নিয়েছেন চারটি, শরিফুল নিয়েছেন দুইটি। এবাদতের ৫ উয়িকেট নেওয়ার সুযোগ ছিল, কিন্তু চা বিরতির পর স্পিনারদের নিয়ে বল করুয়েছেন অধিনায়ক লিটন দাস। এবাদত বললেন, ওভাররেটে পিছিয়ে থাকার কারণে ওই সময় স্পিনারদের দিয়ে বল করার দরকার ছিল তাদের। নাহলে জরিমানা গুণতে হতো। সেজন্য ৫ উইকেট না পাওয়ায় আফসোস নেই তার। বরং বাংলাদেশের মাঠে এমন উইকেটে খেলতে পেরে নিজেদের সৌভাগ্যবান মনে করছেন, 'আমার দেখা, বাংলাদেশ এই প্রথম যে, আমরা এরকম উইকেট পেয়েছি। সবচেয়ে বড় জিনিস হচ্ছে, তিনটা ফাস্ট বোলার নিয়ে টেস্টে এরকম উইকেটে খেলা- এটা আমাদের জন্য অনেক বড় সৌভাগ্য। আমরা চেষ্টা করেছি, ওদেরকে যত কম রানে আউট করা যায়।'
সামনে এভাবে খেলে টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থার প্রতিদান দিতে চান সামনে, 'উইকেট অনেক ভালো। আমরা তিন ফাস্ট বোলার খেলেছি এখানে, ভালো বোলিং করেছি। এখনও ম্যাচটি শেষ হয়নি, মাত্র একটা ইনিংস বোলিং করেছি। দেখা যাক, দ্বিতীয় ইনিংসে এই ভালোটা করতে পারি কি না। আমরা তিনজনই আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে ভালো কিছু করব, ভালো শুরু এনে দেব।”
“আমরা চেষ্টা করেছি, উইকেটটা যেহেতু আমাদের পক্ষে আছে, আমরা তিনজন মিলে এটা ব্যবহার করার চেষ্টা করেছি। বাকিটা টিম ম্যানেজমেন্টের ব্যাপার। আমার মনে হয়, আমরা যদি ধারাবাহিকভাবে এরকম করতে পারি, অবশ্যই আমাদের ওপর তারা ভরসা করতে পারবেন