• আফগানিস্তানের বাংলাদেশ সফর ২০২৩
  • " />

     

    তাসকিন তোপে রেকর্ড বই এলোমেলো করে একবিংশ শতাব্দীতে বাংলাদেশের বৃহত্তম জয়

    তাসকিন তোপে রেকর্ড বই এলোমেলো করে একবিংশ শতাব্দীতে বাংলাদেশের বৃহত্তম জয়    

    একমাত্র টেস্ট, মিরপুর (টস-আফগানিস্তান/বোলিং)
    বাংলাদেশ- ৩৮২ ও ৪২৫/৪ (শান্ত ১২৪, মুমিনুল ১২১*, জাকির ৭১, জহির ২/১১২, আমির ১/৯০)
    আফগানিস্তান- ১৪৬ ও ১১৫ (রহমত ৩০, জানাত ১৮, শহীদী ১৩, তাসকিন ৪/৩৭, শরিফুল ৩/২৮, মিরাজ ১/৫)
    ফলাফল: বাংলাদেশ ৫৪৬ রানে জয়ী



    রেকর্ড বই ওলটপালট করে আফগানিস্তানকে বিধ্বস্ত করল বাংলাদেশ, জয় পেয়ে গেল ৪র্থ দিন প্রথম সেশনেই। একই ওভারে দুই বার নো বলের কারণে ৫-উইকেট থেকে বঞ্চিত হলেন তাসকিন আহমেদ, প্রলম্বিত হল বাংলাদেশের জয়। তবে সেটা মোটে এক বলের জন্যই। ওই ওভারের শেষ বলে মারণঘাতি এক বাউন্সারে জহির খান মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন, পরে শঙ্কা এড়াতে আর খেলা না চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে বাংলাদেশ পেয়ে যায় একবিংশ শতাব্দীর টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়, পুরো টেস্ট ইতিহাসে যা ৩য় বৃহত্তম।

    দিনের প্রথম ব্রেকথ্রুটা এনে দিয়েছিলেন আজ সকালেও দারুণ বল করা শরিফুল। ১৯-তম ওভারের প্রথম বলে গালিতে মিরাজের তালুবদ্ধ করে আফসার জাযাইকে ফেরান শরিফুল। আফগান অধিনায়কর বদলি হিসেবে নামা বাহির শাহ এরপর বেশিক্ষণ উইকেটে টিকতে পারেননি, ফিরেছেন শরিফুলের পরের ওভারেই। খাটো লেংথের বল সামলাতে না পেরে স্লিপে তাইজুলকে ক্যাচ দিয়ে তিনি ফেরেন শরিফুলের শিকার হয়ে।

    জয়টা তখন বেশিদূর বলে মনে হচ্ছিল না। জয়ের সুবাস পেয়েই যেন হিংস্র বাঘের মত ঝাঁপিয়ে পড়ল বাংলাদেশ। এর আগের ইনিংসে নিজেকে হারিয়ে খোঁজা তাসকিন নিজেকে পুনরুদ্ধার করলেন দোর্দণ্ড প্রতাপে। লড়তে থাকা রহমত শাহকে উইকেটের পেছনে তালুবদ্ধ করে তাসকিন ফেরান ৩০ রানে। নিজের পরের ওভারে এসে দুর্দান্ত এক লেংথ বলে ১৮ রানে থাকা করিম জানাতের স্টাম্প উপড়ে ফেললেন। সেখান থেকে ক্ষণিকের প্রতিরোধের পর সেই বাঁধ ভাঙেন আক্রমণে আসা মিরাজ। বলা ভাল শর্ট লেগে মুমিনুলের আরও একটি দারুণ ক্যাচে। ভিতরে ঢোকা বলে আমির হামজা মাটি গেড়ে বসতে চাইলে মুমিনুলের বিশ্বস্ত হাতেই তুলে দেন বল।

    এরপরের ওভারেই যত নাটক। ঠিক প্রথম বলেই আহমাদযাই শর্ট কাভারে ক্যাচ তুলে দেন মুশফিককে। তাসকিনের ওই উইকেটের পর ৩য় বলে তিনি মনে করেছিলেন ম্যাচ জিতে গিয়েছেন। জহির খান উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলে দেখা গেল সেটা নো বল। পরের বলে আবার আউট জহির। তবে আম্পায়ার সেবার ডেকে বসল নো বল, কোমর সমান উচ্চতার জন্য। এবার যেন কিছুটা রাগ ঝাড়লেন তাসকিন শেষ বলে বাউন্সার করে। তবে সেই বাউন্সারের তোপে শেষমেশ বিপদ না ঘটলেও আহত অবসরে যাওয়ায় সেখানেই বাংলাদেশ পেয়ে যায় নিজেদের সবচেয়ে বড় জয়।