টি-টোয়েন্টিতে আফগান জয়ের আত্মবিশ্বাস বিশ্বকাপে নিয়ে যেতে চান সাকিব
ওয়ানডে সিরিজে অমনভাবে হারের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটাকাশে যে মেঘ জমেছিল, সেটা অনেকটাই কেটে গেছে টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর। দুই ম্যাচ জয়ের সাথে রশিদ-মুজিব জুজুও অনেকটাই কাটিয়েছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আশাবাদী, এই আত্মবিশ্বাস বাংলাদেশ নিওয়ে যেতে পারবে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে।
দ্বিপাক্ষিক সিরিজের পরও আফগানিস্তানের সাথে নিয়মিতই দেখা হবে বাংলাদেশের। এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বে বা পরে সুপার ফোরেও দেখা হতে পারে। বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচটাই খেলবে আফগানদের বিপক্ষে। এই টি-টোয়েন্টি দলের প্রায় সবাওই থাকবেন বিশ্বকাপেও। বাংলাদেশের জন্য তাই আত্মবিশ্বাস বেশি হবে বলেই মনে করেন সাকিব, 'ওয়ানডের ক্রিকেটার এখানে বা টি-টোয়েন্টির ক্রিকেটার ওয়ানডেতে... বেশির ভাগই কিন্তু এরকম। এই আত্মবিশ্বাস তারা নিয়েই যেতে পারে। যেহেতু এশিয়া কাপে আমরা তাদের মুখোমুখি হব, বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে ওদের সঙ্গে খেলব। এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে যেতে পারলে আমাদের জন্যই ভালো হবে। টি-টোয়েন্টি দলের ৮০-৯০ শতাংশ ক্রিকেটারই ওয়ানডেগুলো খেলবে। আমি বলব, এশিয়া কাপের আগে তাদের জন্য এটা অনেক বড় আত্মবিশ্বাসের জোগান।'
টি-টয়েন্টিতেও এই বছর বাংলাদেশের রেকর্ড দুর্দান্ত। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ধবলধোলাই করেছে নিজেদের মাটিতে। পরের আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয় দেবে আত্মবিশ্বাস। মিরপুরের স্পিনিং ট্র্যাকের বাইরে গিয়ে সিলেট বা চট্টগ্রামের স্পোর্টিং ট্র্যাকেও সাফল্য পাচ্ছে। এর মধ্যে অবশ্য ওয়ানডে বিশ্বকাপের ডামাডোল শুরু হয়ে যাবে। এই বিশ্বকাপের আগে আর টি-টোয়েন্টি খেলবে না বাংলাদেশ। সাকিবও মনে করতে পারলেন না পরের ম্যাচ কবে। তবে বিপিএলের পর আবার টি-টোয়েন্টি মিশন শুরু হবে। সাকিব ওই সময়ের দিকেই তাকিয়ে, টি-টোয়েন্টিতে মোমেন্টাম গুরুত্বপূর্ণ। এই মুহূর্তে আমাদের খুব মোমেন্টাম খুব ভালো চলছে। তবে সামনে বিরতি আছে। অনেক দিন টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নেই। মনে হয়, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির দিকে হবে... বিপিএলের পর।”
“একটা ব্যাপার হলো, বিপিএলের পর আমাদের দেশীয় ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স ভালো থাকে। আমি আশাবাদী যে, বিপিএলে যারা ভালো করবে, ওদেরকে নিয়ে যখন আমরা সামনের দিকে এগোব, ভালো ফলই করতে থাকব আমরা
'