• অন্যান্য
  • " />

     

    বোলিং বিচক্ষণতায় জয়ের স্বপ্ন দেখা বাংলাদেশের সম্ভাবনা যেভাবে ধূলিসাৎ করলেন সিন্ধুরা

    বোলিং বিচক্ষণতায় জয়ের স্বপ্ন দেখা বাংলাদেশের সম্ভাবনা যেভাবে ধূলিসাৎ করলেন সিন্ধুরা    

    ইমার্জিং এশিয়া কাপ ২০২৩, কলম্বো (টস-বাংলাদেশ/ফিল্ডিং)
    ভারত এ-২১১, ৪৯.১ ওভার (ধুল ৬৬, অভিষেক ৩৪, সুথার ২১, রাকিবুল ২/৩৬, মাহেদি ২/৩৯, সৌম্য ১/৮)
    বাংলাদেশ এ- ১৬০, ৩৩.৪ ওভার (তামিম ৫১, নাঈম ৩৮, সাইফ ২২, সিন্ধু ৫/২০, সুথার ৩/৩২, অভিষেক ১/২১)
    ফলাফল: ভারত ৫১ রানে জয়ী


     

    ম্যাচে ভারতের ইনিংস শেষ হওয়ার পর যে স্বপ্ন বাঁধতে শুরু করেছিল বাংলাদেশ, ম্যাচ শেষে সেই স্বপ্ন ধূলিসাৎ। মাহেদী হাসান, রাকিবুল হাসানদের বোলিং দক্ষতায় ভারতকে ২১১ রানে বেঁধে ফেলার পর তানজিদ হাসান তামিমের ফিফটিতে ভাল শুরুর পরেও নিশান্ত সিন্ধুর ৫ উইকেটে মুখ থুবড়ে পড়ে সেমি-ফাইনালেই এই যাত্রার ইতি টেনেছে বাংলাদেশ এ দল।

    নাঈম শেখকে নিয়ে তামিম বাংলাদেশকে ২১২ রানের লক্ষ্যে এনে দিয়েছিলেন দারুণ শুরু। এদিন যেন স্ট্রাইক রেট সংক্রান্ত সকল প্রশ্নের জবাব দেওয়ার পণ করে নেমেছিলেন নাঈম। তবে ১৩-তম ওভারে তিনি থামেন মানব সুথারের বলে স্টাম্প খুইয়ে, ফেরেন ৪০ বলে ৩৮ রান করে। নাঈম ফিরলেও তামিম ফিফটি তুলে নেন ঠিকই। তবে ফিফটির পরপরই সিন্ধুর শিকার হয়ে ৫৬ বলে ৫১ রান করে থামেন তিনি। কিছুক্ষণের মধ্যেই সুথারের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে মাত্র ৫ রানেই জাকির হাসান ফিরলে অধিনায়ক সাইফ হাসানকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন মাহমুদুল হাসান জয়।

    ২৫-তম ওভারে সেই চেষ্টা ভেস্তে দেন অভিষেক শর্মা। ২৪ বলে ২২ রানে থাকা সাইফকে তিনি ফেরালে সেখান থেকে হুড়মুড় করেই ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। পরের ওভারেই যুবরাজসিন দোদিয়ার শিকার হয়ে সৌম্য সরকার ফিরলে এক ওভার পরে সিন্ধুর শিকার হয়ে ফেরেন আকবর আলীও। এক প্রান্ত জয় আগলে রাখলেও সুবিধা করতে পারছিলেন না জয়; অন্য প্রান্তে তো রীতিমত উইকেটের মিছিল চলছেই। প্রতি-আক্রমণের চেষ্টা করে মাহেদী হাসান ১২ রানে সেই সিন্ধুর শিকার হয়ে ফিরলে বাংলাদেশের আশাও ক্ষীণ হয়ে আসা। ১০০ রানে ২ উইকেট থেকে মুহূর্তেই ১৫৫ রানে ৯ উইকেট হয়ে ওঠে বাংলাদেশের স্কোরকার্ড। নবম উইকেট হিসেবে ৪৬ বলে ২০ রানের ইনিংস শেষে সিন্ধুর ৫ম শিকার হয়ে জয় ফিরলে টিমটিম করে জ্বলতে থাকা আশার প্রদীপটাও নিভে যায়। শেষমেশ ১৬০ রানে গুটিয়ে গিয়ে বাংলাদেশকে সেমিতেই বিসর্জন দিতে হয় শিরোপার স্বপ্নও।

    ব্যাট করতে নেমেও এর আগে ভারতের শুরুটা হয়েছিল রয়েসয়ে। সাই সুদর্শন এক প্রান্তে ছুটতে থাকলে অন্য প্রান্তে অভিষেক ধরে খেলার চেষ্টা করেন। ৮ম ওভারেই ২৪ বলে ২১ রান করে তানজিম হাসান সাকিবের শিকার হয়ে সুদর্শন ফিরলে একেবারেই খোলসে ঢুকে যান অভিষেক, সাথে যোগ দেওয়া নিকিন জোসে। ম্যাচের সবচেয়ে বিতর্কিত মুহূর্তটাও আসে ওই নিকিনের বদৌলতেই। স্টাম্পিং হয়েছেন বলে মনে হলেও টিভি আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে বেঁচে যান তিনি। যদিও ২৯ বলে ১৭ রানে সাইফের শিকার হয়ে নিকিন ফেরায় খুব একটা সমস্যা হয়নি তাতে বাংলাদেশের। পরের ওভারেি ৬৩ বলে ৩৪ রান করে ধুঁকতে থাকা অভিষেককে রাকিবুল ফেরালে চেপে বসার চেষ্টা করে বাংলাদেশ। ২৪-তম ওভারে রাকিবুলের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সিন্ধু ফিরলে সেই আশার পালে লাগে জোর হাওয়া। তবে অধিনায়ক যশ ধুল সব দায়িত্ব যেন একাই কাঁধে তুলে নিয়ে সেই আশা ভেস্তে দেন। অন্য প্রান্তে ব্যাটারদের আসাযাওয়ার মাঝেই দারুণ এক ফিফটি তুলে নেন ধুল। শেষ ব্যাটার হিসেবে যখন থামলেন ততক্ষণে ২০০ পার করে দলকে লড়াইয়ের রসদটাও এনে দিয়েছেন। ৮৫ বলে ৬৬ রানের সেই ইনিংসে ধুল দিনশেষে ব্যবধান গড়ে দিয়েছেন নিজেই।