এশিয়া কাপ-বিশ্বকাপ বাছাইয়ে প্রথম বাধা মালদ্বীপ: বাংলাদেশের বাকি প্রতিপক্ষ কারা?
ফিফা বিশ্বকাপের ২০২৬ সালের আসরকে সামনে রেখে আজ অনুষ্ঠিত হলো এশিয়ান অঞ্চলের বাছাইপর্বের ড্র। বাছাইপর্বের প্রথম রাউন্ডে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ মালদ্বীপ। যাদের বিপক্ষে মাস দুয়েক আগের জয়ের সুখস্মৃতি আছে বাংলাদেশের। সাফ ফুটবলের গত আসরে ৩-১ ব্যবধানে মালদ্বীপকে হারিয়েছিলেন জামাল-তারিকরা।
আগামী ১২ ও ১৭ অক্টোবর হোম ও অ্যাওয়ে ভিত্তিতে প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল। একটি ম্যাচ হবে ঢাকায়, অপরটি হবে মালেতে। দুই লেগ মিলিয়ে বিজয়ী দল উঠে যাবে দ্বিতীয় রাউন্ডে।
আজ কুয়ালালামপুরে একইদিন হয়েছে বাছাইপর্বের দুই রাউন্ডের ড্র। প্রথম রাউন্ডে ছিল সর্বশেষ ফিফা র্যাংকিং অনুযায়ী এশিয়ার ২৭ থেকে ৪৬তম দল। এই ২০ দলকে রাখা হয়েছিল অবাছাইকৃত পটে। আর দ্বিতীয় রাউন্ডে বাছাইকৃত পটে ছিল র্যাংকিংয়ের শীর্ষ ২৬ দল।
প্রথম রাউন্ডের ২০ দল থেকে ১০ জয়ী দল যাবে দ্বিতীয় রাউন্ডে, যুক্ত হবে ২৬ দলের সাথে। মোট ৩৬ দল নিয়ে শুরু হবে বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ড। ৩৬ দলকে ভাগ করা হবে নয়টি গ্রুপে। প্রতিটি গ্রুপে থাকবে চারটি করে দল।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করতে পারলে যুক্ত হবে বাছাইপর্বের ‘আই’ গ্রুপে। প্রতিপক্ষ হিসেবে সেখানে পাবে অস্ট্রেলিয়া, ফিলিস্তিন ও লেবাননকে। দ্বিতীয় রাউন্ডে তিন দলের বিপক্ষে হোম- অ্যাওয়ে ভিত্তিতে দুটি করে মোট ৬টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ।
৩৬ দল থেকে ১৮টি উত্তীর্ন হবে তৃতীয় রাউন্ডে। ১৮ দলকে ভাগ করা হবে তিনটি গ্রুপে। প্রতি গ্রুপে থাকবে ছয়টি করে দল। প্রতি গ্রুপের শীর্ষ দুই দল সরাসরি সুযোগ পাবে আগামী বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার। একইসঙ্গে এই ১৮ দল নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করবে ২০২৭ সালের এশিয়ান কাপের মূলপর্বে।
আর প্রতি গ্রুপের তৃতীয় ও চতুর্থ দলকে নিয়ে হবে বাছাইপর্বের চতুর্থ রাউন্ড। মোট ছয়টি দলকে দুই গ্রুপে ভাগ করে খেলা হবে রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে। দুই গ্রুপের শীর্ষ দুই দল সরাসরি খেলবে বিশ্বকাপে। অর্থাৎ এশিয়ান অঞ্চল থেকে মোট ৮ দল সুযোগ পাবে বিশ্বকাপে। চতুর্থ রাউন্ডের দুই রানার আপ দল নিজেদের মধ্যে খেলবে দুটি ম্যাচ। দুই লেগ মিলিয়ে জয়ী দল সুযোগ পাবে আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফ খেলার।