• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    সিজন প্রিভিউ: পচেত্তিনোর অধীনে পরিচিত চেলসি?

    সিজন প্রিভিউ: পচেত্তিনোর অধীনে পরিচিত চেলসি?    

    যারা এলেন: ক্রিশ্চোফার উঙ্কুঙ্কু, অ্যালেক্স দিসাসি, নিকোলাস জ্যাকসন, লেসলি উগোচুকো, রবার্ট সানচেজ, অ্যাঙ্গেলো। 

    যারা গেলেন: কাই হ্যাভার্জ, ম্যাসন মাউন্ট, মাতেও কোভাচিচ, কালিদু কুলিবালি, ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিক, এডওয়ার্ড মেন্ডি, এনগোলো কান্তে, সিজার আজপিলিকুয়েতা, রুবেন লফটাস-চিক। 

    ক্লাব কীভাবে পরিচালনা করতে হয় না, গত মৌসুমে তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন চেলসি চেয়ারম্যান টড বোয়েহলি। প্রথম মৌসুমে দলবদলে রেকর্ড পরিমাণ খরচ করেছেন বোয়েহলি (৬১১ মিলিয়ন ইউরো), রেকর্ড পরিমাণ ম্যানেজারও নিয়োগ দিয়েছেন (৪ জন), এবং মৌসুমে চেলসি লিগ শেষ করেছে তাদের রেকর্ড সর্বনিন্ম পয়েন্ট (৪৪) নিয়ে। গত মৌসুমের বিভীষিকা কাটিয়ে অবশ্য আবার পরিচিত রূপে ফিরতে শুরু করেছে লন্ডনের ক্লাবটি। 

    গত মৌসুমে চেলসির সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল দলের আকার। খেলোয়াড় কিনতে কিনতে দল এতটাই ভারী হয়েছিল চেলসির ড্রেসিং রুমে জায়গা পাচ্ছিলেন অনেক ফুটবলার। নতুন ম্যানেজার মরিসিও পচেত্তিনোর পরামর্শ অনুযায়ী এই গ্রীষ্মে ১৪ জন খেলোয়াড়কে বিক্রি বা ছেড়ে দিয়েছে চেলসি। দলের গড় বয়স এখন ২৪.৭ বছর। এই তরুণ প্রতিভাবানদের স্কোয়াড নিয়ে একটি পুরো প্রাক-মৌসুম সম্পন্ন করেছেন পচেত্তিনো, যেটি করার সুযোগ পাননি আগের তিন ম্যানেজার। প্রাক-মৌসুমে দল অনেকটা গুছিয়ে আনলেও মিডফিল্ডে এখনো এক-দুইজন নতুন খেলোয়াড়ের জন্য বাজারে আছে চেলসি। ব্রাইটনের মইসেস কাইসেডো ও লিডসের টাইলর এডামসের সঙ্গে চলছে আলোচনা। এই দুটি দলবদল সম্পন্ন করতে পারলে পরিপূর্ণ একটি দল নিয়েই এবার মাঠে নামবে চেলসি। 

    যা জানা আছে 

    এ মৌসুমে কোনো ইউরোপীয় ফুটবল থাকছে না চেলসির। যার মানে, খেলোয়াড়দের নিয়ে কাজ করায় আরও বেশি সময় পাবেন পচেত্তিনো। দলে কোনো সুপারস্টার নেই, প্রতিভাবান স্কোয়াড, কিন্তু দলের সিংহভাগ খেলোয়াড় এখনো সর্বোচ্চ স্তরে নিজেদের প্রমাণ করার সুযোগ পায়নি; পচেত্তিনোর জন্য এটা একদম যুতসই প্রজেক্ট। গত মৌসুমের হররের পর এবার বড় কিছু করার প্রত্যাশাও থাকবে না তাদের ঘাড়ে। চেলসিকে একটি নতুন শুরু এনে দেওয়াই হবে এ মৌসুমে পচেত্তিনো লক্ষ্য। কোনো শিরোপায় না, ভক্তদের চোখ থাকবে এবার লুয়িস হল, ইয়ান ম্যাটসেন, নিকলাস জ্যাকসন, কার্নি চুকুমেকা, ননি মাদেয়াকু, লেভি কোলউইল, মিখাইলো মুদ্রিকরা কেমন করে তার উপর। 

    যা নিয়ে সংশয় 

    তরুণদের নিয়ে দল ঢেলে সাজানোয় চেলসির একাদশে অভিজ্ঞতার অভাব স্পষ্ট। থিয়াগো সিলভা ও রহিম স্টার্লিং বাদে দলে তেমন ২৫-ঊর্ধ্ব খেলোয়াড়ই নেই। আর দলে এখনো বিশ্বস্ত কোনো গোলস্কোরার নেই। লাইপজিগের ক্রিশ্চোফার উঙ্কুঙ্কুর উপর ভরসা করবেন পচেত্তিনো। কিন্তু জার্মান লিগে ভালো খেলা এই স্ট্রাইকার প্রিমিয়ার লিগেও মানিয়ে নিতে পারবেন কি না, সেটি দেখার বিষয়। 

    প্রাক-মৌসুমে 

    যুক্তরাষ্ট্রে কাটানো প্রাক-মৌসুমে মোট পাঁচটি ম্যাচ খেলেছে চেলসি, যার মধ্যে তিনটিই প্রিমিয়ার লিগ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। কোনো ম্যাচে হারেনি চেলসি। নিউক্যাসল ইউনাইটেড ও বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে করেছে ড্র। মুদ্রিক, জ্যাকসনের মতো অনেক তরুণ ফুটবলারই তাদের জাত চিনিয়েছেন এ ম্যাচগুলোয়। 

    শেষ পাঁচ মৌসুমে চেলসি    

    ২০২২-২৪: ১২তম 

    ২০২১-২২: ৩য় 

    ২০২০-২১: ৪র্থ  

    ২০১৯-২০: ৪র্থ  

    ২০১৮-১৯: ৩য় 

    প্যাভিলিয়নের প্রেডিকশন: ৬ষ্ঠ।  

    চেলসির লক্ষ্য থাকবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফুটবল। কিন্তু প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষে যে পরিমাণ প্রতিযোগিতা, পচেত্তিনোর অপরিপক্ব দলের জন্য শীর্ষ চারে শেষ করাটা অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। তবে যেকোনো ইউরোপীয় স্পটে থাকলেই চেলসির মৌসুম সফল বলে ধরে নেওয়া হবে।