সিজন প্রিভিউ: টেন হাগের দ্বিতীয় মৌসুমে কতটা এগুবে ইউনাইটেড?
যারা এলেন: রাসমাস হইলান্ড, ম্যাসন মাউন্ট, আন্দ্রে ওনানা।
যারা গেলেন: অ্যান্থনি ইলাঙ্গা, অ্যালেক্স টেলেস, ডেভিড ডি হেয়া।
ক্লাবে যোগ দেওয়ার এক বছরের মধ্যে দলবদলে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করেছেন ম্যানেজার এরিক টেন হাগ। ঢেলে সাজিয়েছেন পুরো দল। স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন পরবর্তী কোনো ম্যানেজারই দলবদল বাজারে এরকম অর্থনৈতিক স্বাধীনতা পাননি। পর্দার আড়ালে মালিকানা বদলের কাজ চলতে থাকলেও ম্যানেজার এরিক টেন হাগ ও নতুন অধিনায়ক ব্রুনো ফার্নান্দেজের অধীনে এবার শিরোপার প্রত্যাশা নিয়েই মৌসুম শুরু করবে ইউনাইটেড।
যা জানা আছে
গত মৌসুমে শিরোপার লড়াইয়ে যোগ দিতে না পারলেও টেবিলের তিনে থেকে মৌসুম শেষ করেছে রেড ডেভিলরা। দুই ঘরোয়া কাপে খেলেছে ফাইনাল পর্যন্ত। কারাবায়ো কাপে চ্যাম্পিয়ন ও এফএ কাপে রানার আপ হওয়া ইউনাইটেডের প্রথম টেন হাগ মৌসুম বেশ সফলই বলা চলে। দ্বিতীয় মৌসুমে দলে আরও পরিবর্তন এনেছেন টেন হাগ। বল প্রেয়িংয়ে দুর্বল ডেভিড ডি হেয়ার জায়গায় এসেছেন ইন্টার মিলানের সুপার কিপার আন্দ্রে ওনানা। সাত নাম্বার জার্সি নিয়ে মিডফিল্ডে যোগ দিয়েছেন চেলসি গ্র্যাজুয়েট ম্যাসন মাউন্ট। আর সামনের স্ট্রাইকারশূন্যতা পূরণ করতে এসেছেন আটালান্টার ওয়ান্ডার-কিড রাসমাস হইলান্ড।
পরিপূর্ণ একটি দল নিয়ে এবার চার কম্পিটিশনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ইউনাইটেড। তবে মৌসুম শুরুর আগে কোনো কম্পিটিশনেই তাদেরকে ঠিক ফেভারিট বলা যাবে না।
যা নিয়ে সংশয়
দলে পছন্দসই পরিবর্তন আনলেও ম্যান সিটির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সক্ষমতা আছে কি না এই ক্লাবের, সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। সামনে অ্যান্টনি ও সাঞ্চো পারফরম্যান্সের দিক দিয়ে ধারাবাহিক নন, নতুন সাইনিং হইলান্ডের রয়েছে সর্বোচ্চ স্তরে অভিজ্ঞতার অভাব। যার মানে, আরও একটি মৌসুম মার্কাস রাশফোর্ডের উপর অতি-নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হবে ইউনাইটেড। রক্ষণে হ্যারি ম্যাগুয়ের বিদায় নিলে সমর্থকরা সন্তুষ্ট হবে, কিন্তু নতুন কোনো বিকল্প সাইনিং না আসলে মৌসুমের এক পর্যায়ে সেন্টার-ব্যাক পজিশনে যথেষ্ট ব্যাক-আপের অভাবে ভুগতে পারে ইউনাইটেড।
শেষ পাঁচ মৌসুমে ম্যান ইউনাইটেড
২০২২-২৪: ৩য়
২০২১-২২: ৬ষ্ঠ
২০২০-২১: ২য়
২০১৯-২০: ৩য়
২০১৮-১৯: ৬ষ্ঠ
প্যাভিলিয়নের প্রেডিকশন: চতুর্থ।