• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    টাইব্রেকারে জিতে সুপার কাপ সিটির

    টাইব্রেকারে জিতে সুপার কাপ সিটির    

    ম্যান সিটি ১(৫) : ১(৪) সেভিয়া


    সেভিয়াকে পেনাল্টি শ্যুট-আউটে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসের প্রথম ইউয়েফা সুপার কাপ জিতল ম্যান সিটি। প্রথমার্ধে ইউসুফ এন-নেসেরির গোলে ইউরোপা লিগজয়ীরা এগিয়ে গেলেও তরুণ কোল পালমারের গোলে দ্বিতীয়ার্ধে সমতা ফেরায় সিটিজেনরা, এবং টাইব্রেকারে সেভিয়া ডিফেন্ডার নেমানিয়া গুডেলির মিসে জয় পায় পেপ গার্দিওলার দল। 

    মৌসুমে এখনো যেন পরিচিত রূপে ফেরেনি সিটি। নতুন সাইনিংদের নিয়ে ট্যাকটিকালি দল গুছানো যেমন পুরোপুরি সম্পূর্ণ করেননি গার্দিওলা, তেমনি দলের অনেক খেলোয়াড়ই এখনো রয়েছেন কিছুটা প্রাক-মৌসুমের মেজাজে। কমিউনিটি শিল্ডের মতো এই ম্যাচেও প্রায়-অদৃশ্য ছিলেন আর্লিং হালান্ড। পুরো ৯০ মিনিটে নিয়েছেন মাত্র ১৫টি টাচ, শট মাত্র একটি। বিদায়ী অধিনায়ক ইলকাই গুন্ডোয়ানের জায়গা নেওয়া মাতেও কোভাচিচ নতুন ক্লাবে পুরোপুরি থিতু হননি। থিতু হননি নতুন সাইনিং জস্কো ভার্দিওলও, যাকে এই ম্যাচে লেফটব্যাক পজিশনে খেলিয়েছেন গার্দিওলা। 

    অনেক প্রশ্নেরই উত্তর বের করতে না পারা সিটিকে প্রথমার্ধে বড় একটি ধাক্কা দেয় সেভিয়া ফরওয়ার্ড এন-নেসেরি। ২৫ মিনিটে লেফটব্যাক মার্কাস আকুনার ক্রসে গগনচুম্বী লাফ দিয়ে হেড করেন বক্সে দুই সিটি সেন্টার-ব্যাকের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা এন-নেসেরি। তার হেডার এডারসনকে ফাঁকি দিয়ে জড়ায় জালে। এই গোলেই প্রথমার্ধে গুরুত্বপূর্ণ লিড পায় বলের দখলে পিছিয়ে থাকা সেভিয়া। 

    দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে নিজেদের আরও প্রতিষ্ঠিত করে সিটি। বলের দখল বাড়িয়ে বাড়ায় আক্রমণের মাত্রাও। সেরকমই এক আক্রমণ থেকে ৬৩ মিনিটে সমতা ফেরায় তারা। বক্সের বাঁ কোণ থেকে রদ্রির নেওয়া ক্রসে হেড করে সমতা ফেরান পালমার, সিটির ২১ বছর বয়সী মিডফিল্ডার। নির্ধারিত সময়ে আর কোনো গোল না হলে টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ। 

    টাইব্রেকারের প্রথম ৯টি শটেই গোল দেয় দুই দলের সব খেলোয়াড়। ১০ম পেনাল্টি নিতে যাওয়া সেভিয়া ডিফেন্ডার গুডেলির শট ফিরে আসে ক্রসবারে লেগে। কোনো সেভ না করেই শ্যুট-আউটে জয় পায় সিটি।